মো: ফারুক,পেকুয়া(২৮ নভেম্বর) :: এক সময় পেকুয়া ছিল অজপাড়া গাঁ। চকরিয়ার অধিন হয়ে সমস্ত কার্যক্রম চালাত পেকুয়াবাসী। সেই পেকুয়াকে উপজেলায় উন্নতি করণে ভূমিকা রাখেন পেকুয়ার সন্তান সালাউদ্দিন আহমেদ। তিনি উপজেলা সদর ইউনিয়নের সিকদার পাড়া এলাকার মরহুম মাওলানা ছায়দুল হকের পুত্র। পিতার অক্লান্ত পরিশ্রম ও আর্থিক অভাবের মাঝেও ছেলেকে সরকারী উচ্চপদস্ত চাকরিজীবি হিসাবে প্রতিষ্ঠা করতে ভূমিকা রাখেন। সেই চাকরিজীবি থেকে হয়ে ওঠেন পুরুদস্তর রাজনীতিবিদ। সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার এপিএস থেকে সাংসদ।
সাংসদ থেকে প্রতিমন্ত্রী। প্রতিমন্ত্রী থেকে বিএনপির যুগ্ন-মহাসচিব। যুগ্ন-মহাসচিব থেকে নির্বাহী কমিটির সদস্য ও বিএনপির মুখপাত্রের ভূমিকা রাখেন। সাংসদ ও প্রতিমন্ত্রী থাকা অবস্থায় কক্সবাজার জেলায় উন্নয়নের ভূমিকা রাখায় সাধারণ জনগণের মাঝে জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। তার স্ত্রী হাসিনা আহমেদও বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য। চকরিয়া-পেকুয়া থেকে সাংসদ নির্বাচিত হন স্বামী সালাউদ্দিন আহমেদের জনপ্রিয়তায়।
আর্থিক অভাবের মাঝে গড়ে ওঠা সালাউদ্দিন আহমেদ প্রতিমন্ত্রী থাকাবস্থায় এলাকায় উন্নয়নের পাশাপাশি নিজেও অর্থ সম্পদের মালিক হন। এরই ধারাবাহিকতায় পৈত্রিক সম্পত্তির উপর গড়ে ওঠা বহুতল ভবনের পাশাপাশি উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন আরেকটি বিলাসবহুল নতুন ভবনের কার্যক্রম শুরু করেন। দৃষ্টিনন্দন ও কারুকার্য বিশিষ্ট বহুতল ভবনটি যখন শুরু করেন তখন ছিল বিএনপির সরকারের শাষন। এক পর্যায়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করলে ভবনের কাজ বন্ধ হয়ে যায়। গ্রেপ্তার হন সালাউদ্দিন আহমেদ। গ্রেপ্তার হওয়ার আগে এবং পরে কখনো সালাউদ্দিন আহমেদ ও তার স্ত্রী হাসিনা আহমেদ বিলাসবহুল বাড়িতে আসেননি বলে জানা গেছে।
এরই মাঝে আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করলে সালাউদ্দিন আহমেদ দেশে অবস্থান করলেও ওই বাড়িতে যাননি। বাড়িটির দেখভাল ও কাজ করার দায়িত্ব ছিল ভাতিজা সাফওয়ানুল করিমের। দীর্ঘ বছর পর সালাউদ্দিন আহমেদের অবর্তমানে তার স্ত্রী হাসিনা আহমেদ চকরিয়া-পেকুয়ার মনোনয়ন নিয়ে পেকুয়ায় আসলে ওই বাড়িতে হাসিনা আহমেদের দর্শন হয়। দীর্ঘ ৯ বছরে পেকুয়ার শীর্ষ নেতারাও ওই বাড়িতে কখনো যায়নি। সর্বশেষ বুধবার পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর মনোনয়ন ফরমের ছায়াকপি জমা দেয়ার পর ওই বাড়িতে অবস্থান নিয়ে নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন। নেতাকর্মীদের পদচারণায় ভরে ওঠে পুরো বাড়ি।
ওই বাড়িতে অবস্থান করা কয়েকজন নেতাকর্মী বলেন, প্রিয় নেতা সালাউদ্দিন আহমেদ না থাকলেও তার আদর্শ নিয়ে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। তিনি থাকলেও তার নির্দেশে ম্যাডাম হাসিনা আহমেদকে বিজয়ী করতে যা যা করার তা করব।
এ বাড়িতে আর কখনো আসছিল কিনা প্রশ্ন করলে তারা বলেন, নেতার বাড়িতে নেতা না আসতে পারলে আমরা কেন আসব। এখন থেকে নেতার বাড়িতে আমরা নেতাকর্মীরা পাহারা দিয়ে রাখব।
Posted ৮:১৭ অপরাহ্ণ | বুধবার, ২৮ নভেম্বর ২০১৮
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta