নাজিম উদ্দিন,পেকুয়া(২৬ জুন) :: পেকুয়ায় সুতার দোকানে তল্লাশি চালালো পুলিশ। দোকানীকে ফাঁসাতে চক্রান্তের ফাঁদ পাতে কিছু দুষ্কৃতকারী। এ সময় বাজারের বিপুল ব্যবসায়ী ওই দোকানে জড়ো হয়। তারা পুলিশিং তল্লাশির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে। এ সময় তুমুল তোপের মুখে পড়ে পুলিশ।
২৬ জুন মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬ টার দিকে পেকুয়ায় কবির আহমদ চৌধুরী বাজারে পুলিশিং তল্লাশি হয়েছে।
স্থানীয় সুত্র জানায়, ওই দিন মাগরিবের ঠিক আগ মুহুর্তে কবির আহমদ চৌধুরী বাজারের মোনতাছির স্টোর নামক ব্যবসা প্রতিষ্টানে পুলিশ আকষ্কিক তল্লাশি চালায়। পেকুয়া থানার এস,আই কামরুল হাসানসহ সঙ্গীয় ফোর্স ওই প্রতিষ্টানে ঢুকে পড়ে। এ সময় ক্যাশ বক্স, দোকানের স্টল সমুহ তন্ন তন্ন করে তল্লাশি করে। মুনতাছির স্টোর নামক প্রতিষ্টানটিতে সুতার ব্যবসা চলছিল।
রাজাখালী ইউনিয়নের টেকঘোনা গ্রামের মৃত মোজাফ্ফর আহমদের ছেলে আলি হোসেন ওই দোকানের স্বত্তাধিকারী। পুলিশ এসে প্রথমে তার শরীরে তল্লাশী চালায়। এ সময় পকেটে কি আছে জানতে চান পুলিশ কর্মকর্তা।
এ সময় আলী হোসেন দ্রুত পকেটে যা ছিল তা পুলিশকে দেখাতে সক্ষম হয়। এক পর্যায়ে বিকাশ ও মোবাইল ক্যাশে কি আছে জানতে চান পুলিশ। ব্যবসায়ী দ্রুত ওই ক্যাশটি চেক করতে খুলে দেয় পুলিশকে। দোকানের ভিতরে অপর একটি ক্যাশ বাক্স ছিল সেটিতেও পুলিশ অনুসন্ধান চালায়। এমনকি দোকানের ভিতরে সবকিছু তন্ন তন্ন করে তল্লাশি চালায় পুলিশ।
এ সময় চক্রান্তের গন্ধ খুঁজে পান বাজারের ব্যবসায়ীরা। তারা দ্রুত আলী হোসেনের দোকানে এসে জড়ো হয়। এক পর্যায়ে পুলিশের প্রশ্নবিদ্ধ এ তল্লাশিতে যাতে ওই ব্যবসায়ীকে ঘায়েল করতে না পারেন সেদিকে দৃষ্টি ছিল ব্যবসায়ীদের। বেগতিক অবস্থা দেখতে পান পুলিশ।
প্রচুর লোকজন ওই নাটকীয় তল্লাশির বিরুদ্ধে ক্ষেপে যায়। এ সময় তুমুল তোপের মুখে পড়ে পুলিশ। তারা ওই স্থান ত্যাগ করেন। এ সময় পুলিশ কর্মকর্তা উপস্থিত লোকজনকে জানায়, তথ্য ছিল ওই দোকানে মাদক ছিল। আসলে এ তথ্য ভূল। আমরা তাকেত হয়রানি করেনি। একটু দেখে গেলাম আর কি।
আলী হোসেন জানায়, জমি নিয়ে বিরোধ আছে। গত কয়েক বছর ধরে প্রতিপক্ষ আমাকে বার বার ঘায়েল করছে। কয়েকবার প্রাননাশ চেষ্টার সম্মুখীন হয়েছি। প্রতিপক্ষ পুলিশকে ম্যানেজ করে একাধিক কাল্পনিক মামলায় আসামী করে।
রাজা মিয়া নামে এক ব্যক্তির স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। অথচ তার ছেলেরা তাকে হত্যা দেখিয়ে মামলা রুজু করে। এ মামলায় আমি ৩ নং আসামী। এ সব তারা করেছে। এখন মাদক নিয়ে আমাকে চরমভাবে বেকায়দায় ফেলতে তারা প্রস্তুত।
গত কয়েকদিন ধরে এর পূর্বাভাস পাচ্ছিলাম। রাতে বাড়ি যেতেও ভয় হচ্ছিল। বাড়িতে অস্ত্র ও ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর গভীর চক্রান্ত চলছে। হয় খুন করবে না হয় এ ধরনের চক্রান্ত করবে। ওই দিন পুলিশকে ভূল তথ্য দিয়েছে। আসলে পুলিশের কোন দোষ নেই। তারা আমি সম্পর্কে জেনেছেন। এমনকি ভূল স্বীকার করেছেন।
পুলিশ অফিসার মানবিক লোক ছিলেন। আসলে আমি মাদক কি সেটি জীবনে দেখিও নি। নিজে বিড়ি সিগেরেট জীবনে পান করেনি। পেকুয়া বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হাজী আক্তার আহমদ জানায়, এখন নিরীহ লোকজনকে মাদক দিয়ে ঘায়েল করার প্রমান মিলছে। আমরা অত্যন্ত বিচলিত। যেহেতু আলী হোসেন প্রতিপক্ষের চক্রান্তে আছে। তিনি ব্যবসা করছেন অনেক দিন।
একজন প্রশংসনীয় ব্যবসায়ী। আমরা ব্যবসায়ীরা চিন্তিত। কারন এ ধরনের ভাল ব্যবসায়ীরা এ ধরনের চক্রান্তের শিকার হলে মানুষের জানমাল বিঘিœত হবে। চক্রান্তকারীরা আরও অধিক বেপরোয়া হবে।
পেকুয়া থানার এস,আই কামরুল জানায়, তল্লাশি নই। মুলত মাদকের তথ্য ছিল। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন তিনি আসলে একজন ভাল মানুষ। পুলিশতো যাচাই বাছাই করবে। ন্যুনতম হয়রানি করা হয়নি। আমরা বিষয়টি অনুসন্ধান করছিলাম। এখানে দোষের কিছুই নেই।
Posted ১:০৪ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ২৭ জুন ২০১৮
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta