নাজিম উদ্দিন,পেকুয়া(১১ জুলাই) :: পেকুয়ায় মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করল পুলিশ। যুবলীগ পেকুয়া সদর ইউনিয়ন শাখার ২নং ওয়ার্ড সম্পাদক ও মাছ চাষী মোহাম্মদ জহিরকে প্রাননাশ চেষ্টাসহ মারধর করা হয়েছে।
এ সময় মোটরসাইকেল ছিনিয়ে নেয় হামলাকারীরা। এক পর্যায়ে তাকে বেদম পিটিয়ে মোটর সাইকেল, মুঠোফোন ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নেয়। এর সুত্র ধরে যুবলীগ নেতা জহির পেকুয়া থানায় ৩ জনের বিরুদ্ধে এজাহার পৌছায়।
১০ জুলাই দুপুর ১২ টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের ভোলাইয়াঘোনা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ওই দিন জহির বাদী হয়ে থানায় এজাহার প্রেরন করে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এজাহারে অভিযুক্ত তিনজন হলেন একই এলাকার মো: শওকত, মো: সুজন ও নুরুল আলম।
সুত্র জানায়, এ ৩ জন জাতীয়তাবাদী শ্রমিকদল পেকুয়া উপজেলার রাজনীতিতে সম্পৃক্ত। সরকার বিরোধী আন্দোলন সংগ্রাম ও রাজপথ উত্তপ্ত করতে এদের জুড়ি পেকুয়ায় মেলে না। এদের মধ্যে ১ জন অথবা ২ জন নাশকতা মামলার আসামী বলে বাদী নিশ্চিত করে। ছিনতাই সেই মোটরসাইকেল পুলিশ উদ্ধার করেছে। ওই দিন রাত ৯ টার দিকে ভোলাইয়াঘোনা এলাকা থেকে জহিরের মোটরবাইক উদ্ধার করে।
এদিকে শ্রমিকদলের শীর্ষ ক্যাডার এ ৩ জন মিলে যুবলীগ ২ নং ওয়ার্ডের সম্পাদককে হামলা চালায়। এ ঘটনা জানাজানি হলে সর্বত্রে উদ্বেগ ও ক্ষোভ দেখা দেয়।
অপরদিকে দায়েরকৃত এজাহারটি নিয়মিত মামলা হিসেবে এখনও অন্তর্ভূক্ত হয়নি। পুলিশ মামলা নিতে গড়িমসি করছেন বলে ক্ষমতাসীন দল সুত্র জানায়। তারা এ নিয়ে ক্ষোভ ও বিবৃতি দিয়েছেন।
এক বিবৃতিতে যুবলীগ পেকুয়া উপজেলা শাখার সাধারন সম্পাদক মো: বারেক, সহসভাপতি জিয়াবুল হক জিকু, মোহাম্মদ হোসাইন, যুগ্ম সম্পাদক সাংবাদিক নাজিম উদ্দিন, জালাল উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হক চৌধুরী, ফরহাদুজ্জামান চৌধুরী, সহ-সম্পাদক আবদুল করিম, সদস্য হোসাইন মো: বাদশা বিবৃতি দেন।
একইভাবে বিভিন্ন ইউনিয়ন আ’লীগ ও যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ ক্ষমতাসীন দলের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশসহ বিবৃতি দেয়। মগনামা ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি খাইরুল এনাম, সাধারন সম্পাদক রশিদ আহমদ, টইটং ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি ছরওয়ার কামাল, সাধারন সম্পাদক জাহেদুল ইসলাম চৌধুরী চেয়ারম্যান, শিলখালীর সভাপতি ওয়াহিদুর রহমান ওয়ারেচী, সম্পাদক বেলাল উদ্দিন, বারবাকিয়ার সভাপতি আবুল হোসেন শামা, সম্পাদক কামাল হোসেন, রাজাখালীর সভাপতি নুরুল ইসলাম বিএসসি, সম্পাদক আবুল কাসেম আজাদ, উজানটিয়ার সাধারন সম্পাদক শাহজামাল মেম্বার ও সদরের সভাপতি আজমখানসহ ইউনিয়ন আ’লীগের নেতৃবৃন্দ বিবৃতি দেয়।
ছাত্রলীগ পেকুয়া উপজেলা শাখার সভাপতি কফিল উদ্দিন বাহাদুর, সহসভাপতি মো: জকরিয়া, যুগ্ম সম্পাদক আমিনুর রশিদ, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহজাহান মিয়াসহ ছাত্রলীগ এ ঘটনায় বিবৃতিসহ ক্ষোভ প্রকাশ করে। বিবৃতিতে তারা জানায়, জহির রাজপথের প্রহরী।
বিএনপির দুর্ধর্ষ ক্যাডাররা তাকে পিটিয়ে মোটরসাইকেল ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নেয়। তারা তাকে ধরে নিয়ে প্রাননাশ চেষ্টা চালায়। অথচ পুলিশ এ সব জেনেও না জানার ভান করছে।
পেকুয়া থানা পুলিশ আ’লীগের নেতা-কর্মীদের বিপরীত অবস্থানে। তারা অহরহ মামলা দেয় আমাদের কর্মীদের। আর বিএনপি-জামায়াতের সাথে সম্পর্ক অত্যন্ত সুগভীর। তারা চায় এ ভাবে আ’লীগকে নিগৃহীত করতে হবে।
ওসি আ’লীগের নেতা-কর্মীদের নিয়ে প্রায় সময় বিদ্বেষপূর্ন আচরন করে। এ সব মেনে নেওয়া যায় না। আমরা জহিরের বিষয়টি গভীরভাবে মুল্যায়ন ও পর্যবেক্ষন করছি। প্রয়োজনে কঠোর হব আমরা।
Posted ১২:৫৪ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১২ জুলাই ২০১৮
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta