নাজিম উদ্দিন,পেকুয়া(৩ এপ্রিল) :: পেকুয়ায় মামলার খপ্পরে চিংড়ি চাষী। মৎস্য উৎপাদন করে জীবিকা নির্বাহ করে। দরিদ্র থেকে সংসারে ফিরে পায় সচ্ছলতা। মৎস্য চাষ করে নিজের ভাগ্যের আমুল পরিবর্তন ঘটিয়েছেন। তবে ওই মৎস্য শিকারী মামলার খপ্পরে পড়ে। গত ৩ বছরে ওই মৎস্য শিকারী অন্তত ১০টির বেশী মামলার খপ্পরে পড়ে।
অধিকাংশ মামলা গায়েবী বলে নিশ্চিত করে ভোক্তভোগী এ মৎস্য চাষী ও এলাকাবাসী। এ সব মামলায় তাকে অহেতুক ও কাল্পনিক ভাবে ফাঁসানো হয়। মৎস্য শিকারীর নাম নুরুল আজিম(৩০)।
তিনি উপজেলার মগনামা ইউনিয়নের বাইন্যাঘোনা গ্রামের নুরুল আবছারের সন্তান। পেশায় ১ জন মৎস্য আহরনকারী। নুরুল আজিম সুশিক্ষিত। পড়ালেখায় ¯œাতক ডিগ্রীধারী। এক সময় বেকার ছিলেন। মৎস্য চাষ তার ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটে।
অত্যন্ত কর্মঠ ও পরিশ্রমী নুরুল আজিম মৎস্য চাষে দারিদ্র বিমোচন ঘটাতে সক্ষম হয়। বেকার দুরীভূত করতে মৎস্য চাষের দিকে ঝুকে। শিক্ষিত যুবক এ নুরুল আজিম ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটান কঠোর পরিশ্রমে। মগনামা রুপাইখাল অংশে ২০১২ সালে চিংড়ি মহাল ইজারা নেয়।
ভূমি মন্ত্রনালয় নুরুল আজিমের নামে ৫ একর জমি ইজারা দেয়। ওই জায়গায় মৎস্য চাষ করে এ যুবক। বর্ষায় মৎস্য উৎপাদন ও শুষ্ক মৌসুমে লবণ চাষ করে। বর্তমানে নুরুল আজিম পরিশ্রমের মাধ্যমে স্বাবলম্বী।
এ দিকে নুরুল আজিমকে নিয়ে চক্রান্ত চলছে বলে তার পরিবারের দাবী। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ৪ বছরে ব্যবধানে তার বিরুদ্ধে অন্তত ১০ টি মামলা হয়েছে। এ সব মামলা কল্পনিক ঘটনায় হয়েছে বলে তার পিতা নুরুল আবছার জানায়।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, পেকুয়া থানায় সর্বোচ্চ ফৌজধারী ধারায় তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে প্রায় ৮টি। এ ছাড়া সিআর মামলাও আছে একাধিক।
একটি সিআর মামলায় তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ খারিজ করে আদালত। যার নং ৭০১/১৪। ফৌজধারী কার্যবিধির ২০৩ ধারামতে সেটি খারিজ হয়। এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে জিআর ৬৫/১৫, জিআর ২৩/১৫, জিআর ১৭/১৫ সহ আরও একাধিক মামলার জট তৈরী হয়েছে।
সম্প্রতি একটি চাঁদাবাজ চক্র নুরুল আজিমকে টাকার জন্য চাপ প্রয়োগ করে।
এ বিষয়ে নুরুল আজিম বাইন্নাঘোনা এলাকার আবুল কালাম সহ আসামীদের বিরুদ্ধে আদালতে সিআর মামলা রুজু করে।
পেকুয়া থানা তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে পৌছায়। নুরুল আজিম জানায়, কালাম দীর্ঘদিন ধরে আমার কাছ থেকে চাঁদা দাবী করছিল। আমি টাকা দেয়নি।
আমাকে ১০টিরও বেশী মামলায় জড়ায়। এ সব মামলা গায়েবী। আমি নি:শেষ হয়ে গেছি। প্রায় ১০ লক্ষ টাকার বেশী ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছি। ন্যায় বিচারের পরিপন্থী হয়েছে এ সব মামলা। রাষ্ট্র নাগরিকের নিরাপত্তা ও বেচে থাকার অধিকার নিশ্চিত করে।
অথচ মামলাবাজ চক্র আমাকে একের পর এক মামলা দিয়ে চরম হয়রানি করছে। আমি পিষ্ট হয়েছি। কালসাপ আমাকে গিলে ফেলানোর চেস্টা করছে। আমি অত্যন্ত নিরপরাধ। ন্যায় সংগত সমাধান চাই।
নারী কোর্টে মামলা দিয়ে আবারও ফাঁসানোর চক্রান্ত চলছে। হাকাবকা ও গতিবিধি সন্দেহজনক। কালামসহ আমাকে আবারও মামলায় জড়াতে ব্যস্ত।
Posted ১০:০৬ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ০৩ এপ্রিল ২০১৮
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta