রবিবার ৫ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২২শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম

রবিবার ৫ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম

পোপ ফ্রান্সিসের সফর নিয়ে বাংলাদেশে প্রত্যাশা তুঙ্গে : ‘আশার আলো’ খুঁজছে রোহিঙ্গারা

সোমবার, ২৭ নভেম্বর ২০১৭
314 ভিউ
পোপ ফ্রান্সিসের সফর নিয়ে বাংলাদেশে প্রত্যাশা তুঙ্গে : ‘আশার আলো’ খুঁজছে রোহিঙ্গারা

কক্সবাংলা ডটকম(২৭ নভেম্বর) :: বাংলাদেশ এবং মিয়ানমারে ৬ দিনের সফরে রোববার রাতে ইটালির রাজধানী রোম থেকে রওনা হয়েছেন পোপ ফ্রান্সিস। প্রথমে তিনি যাবেন মিয়ানমারে। সেখান থেকে ৩০ নভেম্বর বিকাল ৩টায় ঢাকা পৌঁছানোর কথা রয়েছে খৃষ্ট ধর্মাবলম্বীদের সর্বোচ্চ ধর্মীয় এই নেতার।তিন দিনের বাংলাদেশ সফরে তিনি রাষ্ট্রীয়, সামাজিক ও ধর্মীয় বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন। পোপকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ।

এদিকে মুসলিম-সংখ্যাগরিষ্ঠ বাংলাদেশে পোপ ফ্রান্সিসের আসন্ন সফর মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশটিতে সহমর্মিতা ও সহনশীলতা জোরদার করবে বলে  বিভিন্ন ধর্মের নেতারা  আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। তবে পোপ যদি “অপ্রত্যাশিত ও অগ্রহণযোগ্য” কিছু বলেন বা করেন তবে কঠোর প্রতিবাদ করা হবে বলেও জানিয়ে দিয়েছে একটি কট্টরপন্থী দল।

দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে জনবহুল, দরিদ্র দেশটিতে ৩০ নভেম্বর থেকে ২ ডিসেম্বর পর্যন্ত পোপ সফর করবেন। এটি বাংলাদেশে পোপের তৃতীয় সফর। ১৯৭০ সালের  বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড়ের পর ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য সহানুভূতি প্রকাশ করে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে কয়েক ঘণ্টার সফরে গিয়েছিলেন পোপ ষষ্ঠ পল।  পোপ জন পল দ্বিতীয়  ১৯৮৬ সালের ১  নভেম্বর স্বাধীন বাংলাদেশ আসেন।

এবার বাংলাদেশে সফরকালে পোপ ফ্রান্সিস প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, প্রেসিডেন্ট রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ এবং কূটনৈতিক সম্প্রদায় ও নাগরিক সমাজের সদস্যদের সাথেও সাক্ষাত করবেন। তিনি দুই জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।

বাংলাদেশে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের একটি উপাসনা অনুষ্ঠান পরিচালনা করবেন তিনি। ওই অনুষ্ঠানে ১৬ জন ডিকনকে ধর্মযাজক পদে অভিষিক্ত করা হবে। বাংলাদেশের কার্ডিনাল, আর্চবিশপ ও বিশপদের সাক্ষাৎ দেবেন পোপ ফ্রান্সিস।

তেজগাঁওয়ে মাদার তেরেসা হাউসেও যাবেন তিনি। এছাড়া ২ ডিসেম্বর ঢাকা ছাড়ার আগে নটরডেম কলেজে তরুণদের সমাবেশে ভাষণ দেওয়ার কথা রয়েছে তার।

 

রোহিঙ্গা সঙ্কট

রোহিঙ্গা সঙ্কট সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে বাংলাদেশে। এ সময় পোপের সফরে সমাধান পাওয়ার আশা করছেন অনেকে।  সফরকালে মিয়ানমার থেকে বাস্তচ্যুত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন পোপ ফ্রান্সিস। ঢাকা সফরকালে বিশেষ ব্যবস্থায় শরণার্থীদের সঙ্গে পোপের সাক্ষাৎ হবে।

ভ্যাটিকান মুখপাত্র গ্রেগ বার্ক সাংবাদিকদের জানান, মিয়ানমার সফরে ইয়াঙ্গুনে বিশপের বাসভবনে দেশটির সেনাপ্রধানের সঙ্গে একান্তে সাক্ষাৎ হবে পোপের।  বাংলাদেশ ক্যাথলিক চার্চের নেতা কার্ডিনাল প্যাট্রিক ডি’রোজারিও রোহিঙ্গাদের উপর হামলাকে মানবতার প্রতি হুমকি বলে আখ্যায়িত করেছেন।

সফর-পূর্ব এক ভিডিও বার্তায় পোপ ফ্রান্সিস বলেন, তিনি মিয়ানমারের জনগণের সাথে সাক্ষাতের জন্য অপেক্ষা করছেন। তবে তিনি রোহিঙ্গা শব্দটি পরিহার করেন। তিনি বলেন, তিনি সকলের মঙ্গলের জন্য সম্প্রীতি ও সহযোগিতা সৃষ্টির যে কোনো প্রচেষ্টাকে উৎসাহিত করতে মিয়ানমারে যাচ্ছেন।

ডি’ রোজারিও ভ্যাটিকান রেডিওকে বলেন, পোপের সফর বিশেষ করে সামরিক বাহিনীর সঙ্গে বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠির যে লড়াই চলছে, সে গৃহযুদ্ধ থামাতে আসলেই সাহায্য করতে পারে বলে তিনি আশা করছেন।

পোপের সফরে ‘আশার আলো’ খুঁজছেন রোহিঙ্গারা

ক্যাথলিক চার্চপ্রধান পোপ ফ্রান্সিসের মিয়ানমার ও বাংলাদেশ সফরে ‘আশার আলো’ খুঁজছে রাখাইনে জাতিগত নিধনের শিকার রোহিঙ্গারা। রোহিঙ্গাদের পোপের সাক্ষাতের বিষয়টি এখনও নিশ্চিত না হলেও বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গারা আশা করছেন, পোপ তাদের অধিকারের পক্ষে সোচ্চার হবেন। তাদের নাগরিকত্ব ফিরে পেতে সহায়তা করবেন ও শান্তি ফিরিয়ে আনবেন।

পোপ ফ্রান্সিসএ বছরের ২৫ আগস্ট রাখাইনে সহিংসতা শুরু হওয়ার পর রোহিঙ্গাদের ওপর নিধনযজ্ঞ চালানো শুরু করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। হত্যা ও ধর্ষণ থেকে বাঁচতে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে ছয় লাখের বেশি রোহিঙ্গা। জাতিসংঘ এই সেনা অভিযানকে ‘জাতিগত নিধনযজ্ঞের পাঠ্যপুস্তকীয় উদাহরণ’ বলে উল্লেখ করেছে।

নিন্দা জানিয়েছে মানবাধিকার সংগঠন ও মানবতার পক্ষের মানুষেরা। তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে মিয়ানমারের সরকার ও সেনাবাহিনী। দেশটির রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা অং সান সু চি’ও রোহিঙ্গাদের পক্ষে কোনও ইতিবাচক ভূমিকা নেননি।

সোমবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে ইয়াঙ্গুনের বিমানবন্দরে অবতরণ করেন পোপ ফ্রান্সিস। এমন এক সময় তিনি মিয়ানমার সফর করছেন, যখন রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মানুষের ওপর জাতিগত নিধন আর মানবতাবিরোধী অপরাধ একটি প্রশ্নচিহ্ন হয়ে বিশ্ববাসীর সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছে।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম লস অ্যাঞ্জেলস টাইমস-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পোপ ফ্রান্সিসের এই সফর মূলত কূটনৈতিক হলেও চলমান বাস্তবতায় এটি হবে তার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ।  বাংলাদেশ সফরে পোপ রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করবেন না। তবে তিনি রোহিঙ্গাদের ছোট একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে ঢাকায় বৈঠক করতে পারেন।

সোমবার সকালে এই তথ্য জানিয়েছেন বাংলাদেশের প্রথম কার্ডিনাল প্যাট্রিক ডি রোজারিও। তিনি বলেছেন, ‘রোহিঙ্গাদের কথা যাতে পোপের কাছে পৌঁছায় সে জন্য চেষ্টা করছে আর্চবিশপ হাউস। পোপ শান্তির বার্তা নিয়ে বাংলাদেশে আসবেন। দরিদ্র, সুবিধা বঞ্চিত, শরণার্থীদের পক্ষে কথা বলবেন।’

রোহিঙ্গা ইস্যুতে পোপের ভূমিকা প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘পোপের সফর অনেক আগে থেকেই নির্ধারিত। সে সময় পোপের সফরসূচি ছিল একদিনের। এমনকি তখন রোহিঙ্গা ইস্যুটি আলোচনায় ছিল না। যদি সময় থাকতো আমরা পোপকে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যাওয়ার অনুরোধ করতাম। কিন্তু সেটা সম্ভব হচ্ছে না। তাই আমরা সরকারের অনুমোদন ও সযোগিতায় রোহিঙ্গাদের একটি ছোট প্রতিনিধি দলকে ঢাকায় নিয়ে আসার চেষ্টা করছি। তাদের সঙ্গে কথা বলবেন পোপ।’

তবু পোপের এই সফর নিয়ে আশাবাদী বাংলাদেশে পালিয়ে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গারা।

কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আশ্রয় নেওয়া মোহাম্মদ রফিক জানান, পোপ ফ্রান্সিসের সফরের কথা শুনে তিনি খুব খুশি হয়েছেন। গত মাসে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছেন ২০ বছর বয়সী এ তরুণ।

মার্কিন বার্তা সংস্থা এপিকে রফিক বলেন, ‘মিয়ানমার সরকার আমাদের অধিকার ও নাগরিকত্ব ছিনিয়ে নিয়েছে। আমরা আশা করছি, তার আলোচনা ও প্রচেষ্টার মধ্য দিয়ে আমরা আমাদের সব কিছু ফিরে পাব।’

মোহাম্মদ নাদির হোসেন নামে ২৫ বছর বয়সী এক তরুণ বলেন, ‘রোহিঙ্গারা কী ধরনের বাজে পরিস্থিতিতে আছে তা পোপ দেখতে পাবেন। তিনি চাইলে মিয়ানমার সরকারকে শান্ত করতে পারবেন এবং আমাদের সঙ্গে কথা বলে শান্তি ফিরিয়ে আনতে পারবেন। এ মুহূর্তে আমরা অনেক কষ্টে আছি। আমরা বেশ উদ্বিগ্ন। এমন সময়ে তার আগমনে আমরা কৃতজ্ঞ।’

সেপ্টেম্বরে মিয়ানমার ছেড়েছেন ৩৫ বছর বয়সী সেনু আরা। পোপের সফরকে স্বাগত জানিয়েছেন তিনিও। বলেন,  ‘আমরা মরিয়া হয়ে যে শান্তিকে খুঁজে বেড়াচ্ছি তা আমাদের পেতে আমাদের সহায়তা করতে পারেন তিনি। এমনকি আমরা যদি এখানে থাকি তিনি (পোপ) আমাদের পরিস্থিতির উন্নয়ন ঘটাতে পারবেন। তিনি যদি আমাদেরকে ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন, তবে তিনি তা শান্তিপূর্ণ উপায়ে করবেন।’

৩৫ বছরের  রোহিঙ্গা নারী হামিদা বেগমও বিশ্বাস করেন, পোপ তাদের সহায়তা করার জন্যই মিয়ানমার সফর করছেন। তিন মাস আগে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছেন তিনি। হামিদা বলেন, ‘তিনি (পোপ) আমাদেরকে মিয়ানমারে বৈধভাবে ফিরে যেতে সহায়তা করতে পারেন। এখান থেকে অন্য কোথাও নিয়ে যেতে পারেন। অন্য কোনও দেশে নিয়ে যেতে পারেন। তিনি যা চান, তাই করতে পারেন।’

উল্লেখ্য, এ বছরের আগস্টে রোহিঙ্গাদের ওপর জাতিগত নিধনযজ্ঞের ভয়াবহতায় তাদের জন্য প্রার্থনা করেছিলেন পোপ ফ্রান্সিস। বলেছিলেন, ঈশ্বরের কাছে আমরা সবাই প্রার্থনা করি তিনি যেন তাদের সুরক্ষিত রাখেন। তাদের সাহায্যে বাকিদের এগিয়ে আসতে বলেন; যারা তাদের অধিকার নিশ্চিত করতে পারবে।

পরে মিয়ানমার সফর নিয়ে এক ভিডিও বার্তায় পোপ ফ্রান্সিস বলেছেন, এমন সম্মান ও উৎসাহের জায়গা থেকে আমি দেশটি সফর করতে চাই যেখানে ইতিবাচক পদক্ষেপের প্রতি পারস্পরিক মেলবন্ধন ও সহযোগিতার প্রচেষ্টা বিদ্যমান থাকবে।

তবে মিয়ানমার সফরকালে ‘রোহিঙ্গা’ শব্দটি উচ্চারণ না করতে পোপের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন মিয়ানমারের কার্ডিনাল চার্লস মং বো।  রোহিঙ্গা শব্দ উচ্চারণে মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন দলের নেত্রী অং সান সু চি এবং দেশটির সেনাবাহিনীর আপত্তি থাকায় কার্ডিনাল চার্লস মং বো পোপকে তা উচ্চারণ করতে মানা করেছেন। মিয়ানমারের উগ্র বৌদ্ধ ভিক্ষুদের সংগঠন মা বা থাও পোপ ফ্রান্সিসকে হুঁশিয়ারি দিয়েছে, রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে কথা বললে তা মেনে নেওয়া হবে না।

উল্লেখ্য, মিয়ানমার রোহিঙ্গা জাতিগোষ্ঠী হিসেবে স্বীকৃতি দেয়নি। মিয়ানমার সরকার ও দেশটির বৌদ্ধ সম্প্রদায় রোহিঙ্গাদের ‘অবৈধ বাঙালি অভিবাসী’ হিসেবে দাবি করে আসছে।

পোপের সফরকে সতর্কভাবে স্বাগত জানিয়েছে কট্টরপন্থীরা

বাংলাদেশের ধর্মীয় গ্রুপ ‘হেফাজত ইসলাম’ ধর্ম বিরোধী ব্লাসফেমি আইনের কঠোর প্রয়োগ, নাস্তিকদের মৃত্যুদকণ্ড প্রদান, স্কুল পাঠ্যপুস্তকে ইসলামীকরণ এবং প্রকাশ্য স্থান থেকে মূর্তি অপসারণের জন্য সরকারকে চাপ দেয়। কিছু এলাকায় খ্রিস্টানবাদের  প্রচারের উপরও  মৌখিক আক্রমণ করেছে এরা।

এরপরও পোপের আসন্ন বাংলাদেশ সফর স্বাগত জানিয়েছেন দলটির এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। তিনি বলেন, তার দল সফরটি ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করবেন।

দলটির যুগ্ম সম্পাদক মুফতি ফায়জুল্লাহ বলেন, ইউসিএ নিউজকে বলেন, “পোপ ফ্রান্সিস খ্রিস্টানদের সর্বোচ্চ নেতা এবং ভ্যাটিকান রাষ্ট্রের প্রধান। তাই আমরা আমাদের দেশে তাকে স্বাগত জানাই।”

314 ভিউ

Posted ১০:২৪ অপরাহ্ণ | সোমবার, ২৭ নভেম্বর ২০১৭

coxbangla.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

এ বিভাগের আরও খবর

Editor & Publisher

Chanchal Dash Gupta

Member : coxsbazar press club & coxsbazar journalist union (cbuj)
cell: 01558-310550 or 01736-202922
mail: chanchalcox@gmail.com
Office : coxsbazar press club building(1st floor),shaheed sharanee road,cox’sbazar municipalty
coxsbazar-4700
Bangladesh
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
বাংলাদেশের সকল পত্রিকা সাইট
Bangla Newspaper

ABOUT US :

coxbangla.com is a dedicated 24x7 news website which is published 2010 in coxbazar city. coxbangla is the news plus right and true information. Be informed be truthful are the only right way. Because you have the right. So coxbangla always offiers the latest news coxbazar, national and international news on current offers, politics, economic, entertainment, sports, health, science, defence & technology, space, history, lifestyle, tourism, food etc in Bengali.

design and development by : webnewsdesign.com