কক্সবাংলা রিপোর্ট(৮ ডিসেম্বর) :: বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপ সৃষ্টি হয়েছে। ধীরে ধীরে বাতাসের গতি বেড়ে নিম্নচাপটি আরো শক্তিশালী হয়ে ওঠার সম্ভাবনা রয়েছে। আগামীকালই ঘূর্ণিঝড়টি উপকূল অতিক্রম করে যেতে পারে। শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় গভীর নিম্নচাপটি কক্সবাজার সমুদ্র বন্দর থেকে ৮৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। নিম্নচাপের প্রভাবে শনিবারও ভারি বৃষ্টিপাত দেখা দেয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
অার গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে ঝড়ো হাওয়ার শঙ্কায় কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরকে তিন নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে কক্সবাজারের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির আভাস দিয়েছেন আবহাওয়া অফিস।
কক্সবাজার আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, গভীর নিম্নচাপটি শুক্রবার সন্ধ্যায় পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছিল। এর প্রভাবে আগামী দুদিন হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে অনেক জায়গায়। তবে এটি ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নেওয়ার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। সমুদ্রবন্দর থেকে এখনও অনেক দূরে নিম্নচাপটি। আরও দুদিন তিন নম্বর সতর্কতা বহাল রাখা হতে পারে।
শুক্রবার প্রায় সারাদিনই কক্সবাজারের আকাশ ছিল মেঘলা আর কুয়াশায় ঢাকা। বেলা ৩টার দিকে ফোঁটা ফোঁটা এবং সন্ধ্যা থেকে বৃষ্টির দেখাও মিলেছে বিভিন্ন এলাকায়।
অন্যদিকে নিম্নচাপের ফলে উত্তাল হয়ে উঠছে উত্তর বঙ্গোপসাগর। ফলে এ সময় সাগরে সাঁতার কাটা ও ছোট ছোট নৌযান চলাচল বিপজ্জনক হয়ে উঠবে বলে জানিয়েছে অ্যাকুওয়েদার।
আবহাওয়ার তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার সন্ধ্যায় গভীর নিম্নচাপটির কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার, যা দমকা বা ঝড়ো হাওয়ার আকারে কখনো কখনো ৬০ কিলোমিটারেও উঠে যাচ্ছিল। গভীর নিম্নচাপের কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে। এ কারণে উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
Posted ২:২৬ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta