কক্সবাংলা রিপোর্ট(১৪ ডিসেম্বর) :: বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ সৃষ্টি হওয়ায় আগামী দুই-তিন দিন পর বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে নিম্নচাপটি এখনো উপকূল থেকে বেশ দূরে থাকায় কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অধিদফতর।
শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৫২০ কি.মি. দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হতে পারে।
গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৮ কি.মি. এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কি.মি. যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৬০ কি.মি. পর্যন্ত বাড়ছে।
গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের কাছে সাগর উত্তাল রয়েছে। এ কারণে উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলেছে আবহাওয়া অফিস।
আবহবিদরা জানাছেন, সম্ভবত এটাই চলতি বছরের শেষ সাইক্লোন, যা তছনছ করতে শক্তি বাড়িয়ে নিয়েছে। এই মুহূর্তে ঝড়টি নিম্নচাপে পরিণত হয়ে রয়েছে। ১৪ তারিখ বিকেল পর্যন্ত এর অবস্থান ছিল দক্ষিণ পূর্ব বঙ্গোপসাগরে যা শ্রীলঙ্কার ত্রিকোণমালি থেকে ৬৭০ কিলোমিটার পূর্বে, তামিলনাড়ুর চেন্নাইয়ের ৯৩০ কিলোমিটার পূর্ব এবং দক্ষিণ পূর্বে এবং অন্ধ্রের মছলিপটনমের ১০৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ পূর্বে।
আজ ১৫ ডিসেম্বর সেটি সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। এর পরবর্তী ৩৬ ঘণ্টায় অর্থাৎ রবিবার এটি আরও মারাত্মক ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। এরপর ১৭ তারিখ অর্থাৎ সোমবার সেটি উত্তর এবং উত্তর পশ্চিমের দিকে এগিয়ে যাবে। অন্ধ্র , ওঙ্গলে এবং দক্ষিণ ভারতের কাকিনাড়ার দিকে। ফল লণ্ডভণ্ড হতে চলেছে দক্ষিণ ভারতের উপকূল।
Posted ১১:৪৪ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৮
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta