এম.জিয়াবুল হক,চকরিয়া(১ সেপ্টেম্বর) :: মহেশখালী গভীর সমুদ্র বন্দর সংযোগ সড়কের চকরিয়া উপজেলার বদরখালী এলাকায় মূল নক্সা পরিবর্তনের ক্ষেত্রে জরিপকারী সার্ভেয়ারের বিরুদ্ধে দূর্নীতির অভিযোগ তুলেছে স্থানীয় লোকজন। অভিযোগকারী ভুক্তভোগীরা দূর্নীতিতে জরিপদলের সঙ্গে আকতার নামের একব্যক্তির মাধ্যমে মধ্যস্থতা করেছেন বলেও অভিযোগ করেছেন।
এলাকাবাসি অভিযোগ তুলেছেন, হেশখালী গভীর সমুদ্র বন্দর সংযোগ সড়কের মূল নক্সার চকরিয়া উপজেলার বদরখালী এলাকায় যে জায়গার উপর ইতিপূর্বে জরিপ কাজ চূড়ান্ত ভাবে সমাপ্ত করা হয়েছে সেই জায়গায় কতিপয় মহলের ভূমি ও স্থাপনা থাকায় তারা মাদ্রাসা ও কলেজ ভাঙ্গনের কবলে পড়েছে বলে গুজব ছড়িয়ে জরিপকারীর মাধ্যমে নক্সা পরিবর্তন করার উদ্যোগ নেন।
বদরখালী সমিতির মিলনায়তনে আগস্ট মাসের প্রথম সপ্তাহে অংশীজনের সাথে জাইকা প্রতিনিধিদের এতদ্সংক্রান্তে ২ দফা মতবিনিময় সভায় প্রস্তাবিত নতুন জায়গার ব্যাপারে অভিযুক্ত জরিপকারীর অতি উৎসাহ দেখে ভুক্তভোগীরা তাদের বিরুদ্ধে দূর্নীতির অভিযোগ তুলেন।
বদরখালী সমিতির মালিকানাধীন জমি দেশের বৃহৎ স্বার্থে ইতিপূর্বে অনেক ক্ষেত্রে প্রদান করা হয়; বন্দর সংযোগ সড়কের জন্যও সমিতির এলাকার দক্ষিণ পার্শ্বে জমি দেওয়ার জন্য সমিতির পক্ষে সম্পাদক ও বহু সদস্য অনুরোধ করলেও জরিপ দলের সদস্যরা পানি উন্নয়ন বোর্ড ও সরকারি খাদ্য গুদাম এর উপর দিয়ে সংযোগ সড়ক এর জরিপ শুরুর জন্য উঠেপড়ে লাগে। এরই জেরে কলেজ ও মাদ্রাসা ভাঙ্গনের মধ্যে পড়ার গুজবটি জরিপদলের সৃষ্ট বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় লোকজন।
অভিযোগকারী ভুক্তভোগীরা বলেন, মাদ্রাসার একটা পরিত্যক্ত ভবনের অংশ বিশেষ ও কলেজ এর উত্তর পার্শ্বে মাঠের অংশ হয়তো পড়তে পারে। প্রস্তাবিত নতুন এলাকার ঘন বসতি, মূল্যবান কৃষি জমি সর্বোপরি দূর্যোগ প্রবণ এলাকার আশ্রয় কেন্দ্র ও খাদ্য নিরাপত্তার অপরিহার্য অনুসঙ্গ খাদ্যগুদাম ভেঙ্গে সংযোগ সড়ক নির্মাণের চেয়ে ধলঘাটা হতে সোজা কালারমার ছড়া হয়ে পাহাড়ের উপর পুরাতন সড়ক কিছুটা সম্প্রসারণ করে জেএম ঘাট হতে মহেশখালী ক্যানেলে ব্রীজ দিয়ে বদরখালী আর বদরখালী হতে ফাঁসিয়াখালী সংযুক্ত করতে ব্যক্তিগত জমির চেয়ে সরকারী খাস জমি থাকায় ক্ষতিপূরণ বলতে গেলে গুণতে হবে না সংশ্লিষ্টদের।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত লোকজন বদরখালী এলাকার জমির মৌজা দরের ব্যাপারেও প্রবল আপত্তি উত্থাপন করেন। সমিতির সদস্য ও পোষ্যরা দাবী করেন, বদরখালী সমিতি এলাকার জমি সাব্-রেজিষ্ট্রি অফিসে ক্রয় বিক্রয় করা নিয়ম নেই। সাংবিধানিক আইনের আওতায় এলাকার জমি সমিতির ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় অনুমোদন করা হয় নির্দিষ্ট ফি: আদায়ের মাধ্যমে।
আদায়কৃত ফি: থেকে সমিতি কর্তৃপক্ষ সরকারী তহবিলে পুরো বদরখালীর জনগনের ৪-৫ হাজার একর জমির রাজস্ব পরিশোধ করেন। এ অবস্থায় সরকারী প্রচলিত মৌজা দর বদরখালীর জনগনের উপর চাপিয়ে দিলে তা হবে তাদের জন্য চরম ক্ষতি।
জনগনকে ক্ষতিসাধন থেকে রক্ষা করতে বিষয়গুলো বিবেচনায় নেওয়ার জন্য সরকার প্রধান এবং বন্দর কর্তৃপক্ষ ও জাইকার নীতি নির্ধারণী কর্তৃপক্ষের কাছে আহবান জানিয়েছেন স্থানীয় লোকজন। তাঁরা আগের পরিকল্পনা মতে বদরখালীর দক্ষিণ পাশে নতুন সংযোগ সড়ক নির্মাণের দাবী জানিয়েছেন।
Posted ১২:৫৭ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ০২ সেপ্টেম্বর ২০১৮
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta