সোমবার ৬ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৩শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম

সোমবার ৬ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম

বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু ৭২ বছর ১৮ দিন

রবিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮
340 ভিউ
বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু ৭২ বছর ১৮ দিন

কক্সবাংলা ডটকম(১৬ সেপ্টেম্বর) :: বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু ২০০৭ সালে ছিল ৬৬ দশমিক ৬ বছর। ২০১৭ সালে তা দাঁড়িয়েছে ৭২ বছর ১৮ দিন। সে হিসাবে এক দশকের ব্যবধানে মানুষের গড় আয়ু বেড়েছে ৫ বছর ৫ মাস ১২ দিন। বর্তমানে মানুষের গড় আয়ুর দিক থেকে বাংলাদেশ বিশ্বে নবম এবং সার্কভুক্ত দেশের মধ্যে তৃতীয়। তবে দেশে পুরুষের তুলনায় নারীর আয়ুষ্কাল বেশি বেড়েছে।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) মনিটরিং দ্য সিচুয়েশন অব ভাইটাল স্ট্যাটিস্টিকস অব বাংলাদেশ (্এমএসভিএসবি) প্রকল্পের স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিস্টিকসের বিভিন্ন বছরের তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

বিবিএসের তথ্য বলছে, এক দশকের মধ্যে প্রতি বছরই ধারাবাহিকভাবে বেড়েছে বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু। প্রতি বছর গড়ে শূন্য দশমিক ৫৪ বছর করে বাড়ছে তা। ২০০৭ সালে মানুষের গড় আয়ু ছিল ৬৬ দশমিক ৬ বছর।

ধারাবাহিক বৃদ্ধির ফলে তা ২০০৮ সালে ৬৬ দশমিক ৮ বছর, ২০০৯ সালে ৬৭ দশমিক ২ বছর, ২০১০ সালে ৬৭ দশমিক ৭ বছর, ২০১১ সালে ৬৯ বছর, ২০১২ সালে ৬৯ দশমিক ৪ বছর, ২০১৩ সালে ৭০ দশমিক ৪ বছর, ২০১৪ সালে ৭০ দশমিক ৭ বছর, ২০১৫ সালে ৭০ দশমিক ৯ বছর এবং ২০১৬ সালে ৭১ দশমিক ৬ বছরে উন্নীত হয়।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শিশু ও মাতৃমৃত্যুর হার হ্রাস পাওয়া, ছোঁয়াচে রোগের প্রাদুর্ভাব কমে যাওয়া, শিক্ষার হার বৃদ্ধি, অর্থনৈতিক সচ্ছলতার পাশাপাশি খাদ্য ও স্বাস্থ্য বিষয়ে মানুষের মধ্যে সচেতনতা গড় আয়ু বৃদ্ধির ক্ষেত্রে কার্যকর ভূমিকা রেখেছে। তাছাড়া স্বাস্থ্যসেবার উন্নতিও এক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখছে।

এ বিষয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, শিশুমৃত্যু, মাতৃমৃত্যু, পোলিওসহ নানাবিধ রোগ নির্মূলে বাংলাদেশ অসামান্য সাফল্য দেখিয়েছে। দেশে কমিউনিটি ক্লিনিক, ইউনিয়নভিত্তিক স্বাস্থ্য উপকেন্দ্র, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, জেলা ও সদর হাসপাতাল, মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল এবং বিশেষায়িত হাসপাতালের সমন্বয়ে স্বাস্থ্যবিষয়ক বিশাল নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা হয়েছে।

এসব স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে সেবা প্রদানের কারণে একদিকে শিশু ও মাতৃমৃত্যুর হার যেমন কমছে, অন্যদিকে বৃদ্ধি পাচ্ছে আয়ুষ্কাল। তাছাড়া মানুষকে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করে তোলার মাধ্যমে দারিদ্র্য কমিয়ে আনতেও কার্যকর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অন্তর্ভুক্তিমূলক হওয়ার কারণে সবাই উন্নয়নের সুবিধা পাচ্ছে। ফলে মানুষের মধ্যে সচেতনতা আসছে। আর সুবিধাপ্রাপ্তির কারণে আয়ুষ্কালও বাড়ছে।

তবে গড় আয়ুষ্কাল বৃদ্ধির পেছনে শিশু ও মাতৃমৃত্যুর হার হ্রাস প্রধান ভূমিকা পালন করেছে বলে মনে করেন এমএসভিএসবি প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক এ কে এম আশরাফুল হক। এছাড়া নারীদের পুষ্টি পরিস্থিতির উন্নতি ও রোগের প্রাদুর্ভাব কমাতে আগেই পদক্ষেপ নেয়ার কারণে মৃত্যুহার কমছে।

২০০৭ সালে প্রতি হাজার জীবিত শিশু জন্মের ক্ষেত্রে মাতৃমৃত্যুর হার ৩ দশমিক ৫১ জন হলেও ২০১৭ সালে এ সংখ্যা কমে মাত্র ১ দশমিক ৭২ জনে দাঁড়িয়েছে। একইভাবে শিশুমৃত্যুর হার কমানোর ক্ষেত্রেও দক্ষতা দেখিয়েছে বাংলাদেশ। ২০০৭ সালে যেখানে বাংলাদেশে এক বছরের নিচে শিশুমৃত্যুর হার ছিল প্রতি হাজারে ৪৩ জন, সেখানে ২০১৭ সালে তা কমে ২৪ জনে দাঁড়িয়েছে।

অন্যদিকে ২০০৭ সালে এক মাসের কম বয়সী শিশুমৃত্যুর হার ছিল প্রতি হাজারে ২৯ জন। ২০১৭ সালে তা কমে দাঁড়ায় ১৭ জনে। ২০০৭ সালে ১ থেকে ৪ বছর বয়সী শিশুর ক্ষেত্রে প্রতি হাজারে ৩ দশমিক ৬ জনের মৃত্যু হলেও ২০১৭ সালে এ সংখ্যা ১ দশমিক ৮ জনে নেমে এসেছে। পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের ক্ষেত্রে এ সংখ্যা ২০০৭ সালে ছিল প্রতি হাজারে ৬০ জন, যা ২০১৭ সালে কমে দাঁড়ায় ৩১ জনে।

স্বাস্থ্য খাতে বাংলাদেশের উন্নতি শিশুমৃত্যুর হার কমানোর পেছনে মুখ্য ভূমিকা পালন করেছে। পাশাপাশি শিক্ষার হার বৃদ্ধিও স্বাস্থ্যসচেতনতা বাড়িয়েছে।

হয়। সাত বছর বা তার চেয়ে বেশি বয়সের শিশুদের মধ্যে শিক্ষার হার ২০১৭ সালে ছিল ৭২ দশমিক ৩ শতাংশ, যা এক দশক আগে ২০০৭ সালে ছিল মাত্র ৫৬ দশমিক ১ শতাংশ। ১৫ বছর ও তার চেয়ে বেশি বয়সী মানুষের ক্ষেত্রে শিক্ষার হার ২০০৭ সালে ছিল ৫৮ দশমিক ৩ শতাংশ। ২০১৭ সালে এ হার ৭২ দশমিক ৯ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।

অর্থনৈতিক উন্নয়নও গড় আয়ু বৃদ্ধিকে প্রভাবিত করেছে। একটি পরিবার যখন দরিদ্র অবস্থা থেকে বের হয়ে আসে, তখন সদস্যরা বেশি করে পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ করে এবং স্বাস্থ্যের প্রতি যত্নবান হয়। পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়, যা মানুষকে দীর্ঘকাল সুস্থ জীবনযাপনে সহায়তা করে। গত ১০ বছরে অর্থনৈতিক সচ্ছলতার হিসাবে উল্লেখযোগ্য উন্নতি করেছে বাংলাদেশ। ২০১৭ সালে ৩৯ শতাংশের বেশি পরিবারকে অর্থনৈতিকভাবে সচ্ছল হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে, যা এক দশক আগে ছিল এর অর্ধেকেরও কম।

স্বাস্থ্য খাতে উন্নতি ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের সঙ্গে স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধি পাওয়ায় বাংলাদেশে ছোঁয়াচে রোগের সংখ্যা কমেছে। পাশাপাশি মানুষের মধ্যে চিকিৎসায় প্রাতিষ্ঠানিক সেবা নিতে যাওয়ার প্রবণতাও অনেক বেড়েছে। বাংলাদেশে দরিদ্র ও অতিদরিদ্র হিসেবে চিহ্নিত মানুষের সংখ্যাও উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার উন্নতিও গড় আয়ু বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখছে। ঝড়, বন্যা, জলোচ্ছ্বাসে একসময় ব্যাপক মৃত্যুর ঘটনা ঘটলেও যোগাযোগ ও প্রযুক্তিগত উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে এসব প্রাকৃতিক দুর্যোগে মৃত্যুর সংখ্যাও কমেছে।

340 ভিউ

Posted ৮:০৫ অপরাহ্ণ | রবিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮

coxbangla.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

এ বিভাগের আরও খবর

Editor & Publisher

Chanchal Dash Gupta

Member : coxsbazar press club & coxsbazar journalist union (cbuj)
cell: 01558-310550 or 01736-202922
mail: chanchalcox@gmail.com
Office : coxsbazar press club building(1st floor),shaheed sharanee road,cox’sbazar municipalty
coxsbazar-4700
Bangladesh
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
বাংলাদেশের সকল পত্রিকা সাইট
Bangla Newspaper

ABOUT US :

coxbangla.com is a dedicated 24x7 news website which is published 2010 in coxbazar city. coxbangla is the news plus right and true information. Be informed be truthful are the only right way. Because you have the right. So coxbangla always offiers the latest news coxbazar, national and international news on current offers, politics, economic, entertainment, sports, health, science, defence & technology, space, history, lifestyle, tourism, food etc in Bengali.

design and development by : webnewsdesign.com