হাবিবুর রহমান সোহেল,নাইক্ষ্যংছড়ি(৩ আগস্ট) :: নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নের আলিক্ষং সড়কের মাল্টা বাগান থেকে অপহৃত রাবার বাগানের ব্যবস্থাপক আরিফ উল্লাহকে অবশেষে মুক্তি দিয়েছে অপহরণকারীরা।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে , অপহরণের পর মোবাইল ফোনে ৫ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবী করে অপহরণকারীরা। পরের দিন দরকষাকষির পর পরিশেষে শুক্রবার ভোর ৪ টায় তাকে ৪ লাখ টাকার বিনিময়ে ৩৯ ঘন্টার মাথায় তাকে মুক্তি দেয় অপহরণকারীরা।
তারা আরো জানান অপহৃত আরিফকে বাইশারী ইউনিয়নের পিএইসপি রাবার বাগানের ৭ নং এলাকায় ছেড়ে দেয় সন্ত্রাসীরা। এর আগে তাকে চোঁখ বেঁধে রাখা হয় গহিন পাহাড়ের ঢালুতে জঙ্গলে ঝোঁপঝাড় ঢেকে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানান, বুধবার দিন দুপুরে মূখোশপরা ৭/৮ জনের স্বশস্ত্র দলটি আরিফ উল্লাকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়ার পর তার পরিবারে লোকজন ভেঙ্গে পড়ে। কিন্তু সন্ত্রাসীদলের কবল থেকে মুক্ত করতে মরিয়া হয়ে সব চেষ্টা চালায় তারা।
স্থানীয় চেয়ারম্যান মোঃ আলম কোম্পানি আমাদের সময় ডট কমকে জানায়,অপহরণের পর একদিকে পুলিশ,বিজিবি অপর দিকে স্থানীয় লোকজনের উদ্ধার চেষ্টা চালাতে থাকে প্রাণপণ।
এতে অপহরণকারীদের শর্ত ছিল পুলিশ বা র্যাব নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে হত্যা করা হবে তাকে। এ জন্যে পরিবার ৪ লাখ টাকা দিয়ে উদ্ধার করা হয় তাকে। বর্তমানে অসুস্থ অবস্থায় রয়েছে আরিফ।
এদিকে বিগত ৫ বছর ধরে বিরতি দিয়ে রামু উপজেলার গর্জনিয়া ইউনিয়ন এবং পাশার্বর্তী নাইক্ষ্যংছড়ির বাইশারী-দৌছড়ির বাকঁখালী এলাকায় নিয়মিত অপহরণ বানিজ্য চলে আসছিল। এমনতি এ ধরণের ঘটনায় শিশু হাসান-হোছাইন নামের দুই সহোদরকে অপহরণের পর মুক্তিপণ অনাদায়ে হত্যা করা হয়।
এভাবে অনেক নাটকের জন্ম দেয় এ অপহরণকারী ডাকাত দল। মাত্র ২০ বর্গকলোমিটারের এলাকায় এসব ঘটনা বন্ধ করতে এবং জড়িতদের আটকে চেষ্টা করা হলেও সুফল পাওয়া যায় নি মোটেও।
ডাকাতদলের গড়ফাদার সকলের সাথে ভারসম্য রক্ষা করে দিনের পর দিন ডাকাতি ও অপহরণবানিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে দিব্ব্যি। যার সর্বশেষ দৃষ্টান্ত গত বুধবার রবার বাগনের ব্যবস্থাপক আরিফ উল্লাহ অপহরণ বানিজ্য।
Posted ৩:১৫ অপরাহ্ণ | শুক্রবার, ০৩ আগস্ট ২০১৮
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta