হাবিবুর রহমান সোহেল,নাইক্ষ্যংছড়ি(২৬ আগস্ট) :: রামু উপজেলার বৃহত্তর গর্জনিয়ার ইউনিয়নের মাঝির কাটা গ্রামে বাঁকখালী নদীর মারত্বক ভাঙ্গনে হাজারও ঘর বাড়ি নদী গর্ভে বিলীন হচ্ছে প্রতি নিয়ত।
রবিবার বিকেলে ভাংঙ্গন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, শত শত মানুষ বাকঁখালী নদীর ভাংঙ্গন কবলিত হয়ে খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবন যাপন করছে। ঘর বাড়ি হারা ওই সব মানুষের একটাই আকুতি তারা সরকারের কাছে টাকা পয়সা চায় না চায় শুধু একটু মাথা গোজার ঠাই, আর বাকঁখালী নদীর ভাংঙ্গন রোধে কার্যকর পদক্ষেপ।
ককসবাজার জেলার এক জন সাংবাদিক বাকঁখালী নদীর বিষয়ে তার পেইজ বুক আইডিতে লিখেছেন, “স্থানীয় প্রশাসন, এমপি মহোদয়,ও চেয়ারম্যানের সমীপে বলছি,..চাল,ডাল চাই না, বাঁকখালী নদী ভাঙ্গনটা ঠেকান”।
সুত্রে জানা গেছে গত দশ বছর ফসলি জমিসহ আনুমানিক হাজারেরও অধিক ঘর বাড়ি
নদী ভাংঙ্গন ও বন্যায় ভেসে গেছে। স্তানীয় ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম প্রথমবার যখন নির্বাচনে জয়লাভ করে তখনকার সময় গিলাতলি পয়েন্ট থেকে বিশটি গাছের বাঁধ দিয়েছিল। ওই বাঁধ গুলো তিন বছরের মাথায় আবার ভেঙ্গে যায়, এরপর সংশ্লিষ্ট প্রশাসন সহ অনেক জন প্রতিনিধি বহু বার প্রতিশ্রুতি দিলেও ভাংঙ্গ রোধে আর কোন কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে জানান, এলাকার সচেতন মহল।
ওই এলাকার মাষ্টার ইউনুচ জানান, স্থানীয় বাসিন্দা হাজী ইসলামের ঘরবাড়ি ও তাদের বাপ দাদার কবরস্থান পাঁচ বছর আগেই বাঁকখালী নদীতে তলিয়ে গেছে। একই এলাকার জয়নাল হেটম্যান জানান, তাদের এলাকার লোক জন প্রতি বছর বন্যা হলে অথৈই পানির দিকে তাকিয়ে তাদের নিজের ঘর বাড়ি গুলো রক্ষা করার চেষ্টা করেন। কিন্তু তখন তাদের চেয়ে থাকা ছাড়া কিছুই করার থাকে না বলে কেঁদে ফেলেন আওয়ামীলিগ নেতা ও সেচ প্রকল্পের পরিচালক নুরুল আমিন।
বাঁকখালী বুকে হাত দেখিয়ে মোহাম্মদ কাশেম নামে আরেক ভাংঙ্গন কবলিত এলাকার লোক বলছেন,”ওই যে ওইখানে আমার বাড়ি ছিল, দশ বছর আগে ওই বাড়িটি আমরা করেছিলাম। কিন্তু এখন আর তার কিছুই নেই। তারও সামনে আমার চাচা হাজী মোহাম্মদ হোসেনের বাড়ি ছিল। সেটি দুই বছর আগে নদীর ভাংঙ্গনে নিয়ে গেছে,,। একই এলাকার সোলতান আহমদ বলেন তারা সব সময় আতংকে আছেন কখন যে বাপ দাদার ঘরটা ভেঙ্গে যায়। নদী যে এত কাছাকাছি চলে আসবে, তা কারও কল্পনায়ও ছিল না বলে জানান স্থানীয় এমইউপি কামাল মেম্বার।
তিনি জানান, তাদের বাড়ি এখনো ভাঙ্গনের শিকার হয়নি। কিন্তু নদী দুই আড়াইশ গজ দুরে রয়েছে। তাই তারাও প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ভয়ে থাকেন বলে আমাদের সময় ডট কমকে দেওয়া সাক্ষাতকারে জানান। এলাকার আরেক বৃদ্ধ লোক জানান, সন্ধ্যা হলে তারা নদী পাড়ে এসে বসে থাকেন।
এর কারন কি জানতে চাইলে ওই লোক বলেন, কখন কোনদিকে নদী যাবে, তা বোঝা যায়না। ভাংঙ্গন কবলিত এই সব মানুষের একটাই দাবী, তাদের জন্য সরকারি কোন রিলিফের দরকার নেই, বরং কর্তৃপক্ষ নদী ভাঙ্গন ঠেকানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করুক।
স্থানীয় বাসিন্দা রশিদ আহমেদ প্রতিবেদককে বলেন ‘‘ আপনি এখন যেখানে দাঁড়িয়ে আছেন, রাস্তার দুইপাশে বাড়িঘর ছিল।আর ওই জায়গাটি গত বছর আর এ বছর মিলিয়ে ভেঙ্গে গেছে,,। এলাকার হাজারও লোকের একটাই দাবী সংশ্লিষ্ট প্রসাশন ও জন প্রতিনিধিরা নদী ভাঙ্গন বন্ধে কার্যকরি ব্যবস্থা নেওয়ার।