কাদের হোছাইন,ডুলাহাজারা(১৬ ডিসেম্বর) :: মহান বিজয় দিবসের প্রথম প্রহরে শনিবার ভোরে ডুলাহাজারায় শহীদ মিনারে শহীদদের স্বরণে পুস্পমাল্য অর্পন করেছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, শিক্ষার্থীসহ নানা শ্রেণী-পেশার মানুষ। এদিন সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত নানা শ্রেণী-পেশার মানুষ শহীদ মিনারে উপস্থিত হয়ে শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
ডুলাহাজারা ডিগ্রি কলেজে উদয়ন আদর্শ বিদ্যালয়ে র্যালি,আলোচনা সভা ও সাংষ্কৃতিক অনুষ্ঠান
————————-
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে ডুলাহাজারা ডিগ্রি কলেজের মাঠ প্রাঙ্গনে নানা আয়োজনে বর্ণাঢ্য র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। শহীদ মিনারে রাত ১২.০১ মিনিটে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও সকাল ৭টায় জাতীয় সংগীত পরিবেশনের পর জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে উক্ত বিজয় দিবসের কার্যক্রম শুরু হয় । সকাল সাড়ে ৭ টায় সকল শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের বিজয় র্যালি বের হয়ে বঙ্গবন্ধু সাফারী পার্কের স্মৃতিসৌধ এ গিয়ে শেষ হয় ।
িবজয় র্যালি শেষে উক্ত কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র মো: তাজ উদ্দীনের কুরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে আলোচনা সভা ও সাংষ্কৃতিক অনুষ্ঠান কলেজ হল রুমে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ফিরোজ আহমদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।
বিজয় দিবসের তাৎপর্য নিয়ে উক্ত কলেজের গর্ভনিং বডির সভাপতি ও কক্সবাজার জেলা আ’লীগের সহ-সভাপতি কেন্দ্রীয় নেতা রেজাউল করিম প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, আজ মহান বিজয় দিবস।
১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বরের এই দিনে নয় মাসের মুক্তিযুদ্ধ শেষে ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) আত্মসমর্পণ করেছিল পাক হানাদার বাহিনী। চূড়ান্ত বিজয়ের মধ্য দিয়ে অভ্যুদয় ঘটে বাঙালির স্বাধীন রাষ্ট্র বাংলাদেশের। বিজয়ের অনুভূতি সবসময়ই আনন্দের। তবে একই সঙ্গে দিনটি বেদনারও।
স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে সফল নেতৃত্ব দেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। কোটি কোটি মানুষকে তিনি স্বাধীনতার মন্ত্রে উজ্জীবিত করে তুলেছিলেন। আমরা আজ শিক্ষিত জাতি গঠনে সবাইকে শিক্ষার আলোই আলোকিত করতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে । জাতির পিতা , মুক্তিযোদ্ধা ও স্বাধীনতা সংগ্রামের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরে ছাত্র-ছাত্রীদের গড়ে তুলতে হবে। উক্ত কলেজের অধ্যাপক পরীক্ষিৎ বড়–য়ার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত হয় পুরষ্কার বিতরণী সভা।
অধ্যাপকদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, অধ্যাপক পরীক্ষিৎ বড়–য়া , ইংরেজী বিভাগের মো: মুজিবুর রহমান, ইতিহাস বিভাগের আজিজুল ইসলাম সোহেল । শিক্ষার্থীদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন অত্র কলেজের একাদশ শ্রেণির ব্যাবসায় শিক্ষা বিভাগের মইনুল হাসান , মানবিক বিভাগের মনজুর আলম , বিজ্ঞান বিভাগের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী সুরাইয়া জন্নাত , মানবিক বিভাগের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী রূপসী বেগম ।
অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, চকরিয়া উপজেলা আ’লীগের সহ-সভাপতি মোক্তার আহমদ চৌধুরী , কলেজ প্রতিষ্ঠাতা সদস্য আব্দুল মোতালেব সিকদার ডুলাহাজারা ইউনিয়ন আ’লীগের সহ-সভাপতি মাষ্টার রোকন উদ্দীন , সহ-সভাপতি মো: আবু ছালাম, মো: জাফর আলম , মো: জসিম উদ্দীন ।
উদয়ন আদর্শ বিদ্যালয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালিত
————————————-
যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবসের প্রথম প্রহরে পতাকা উত্তোলন ও নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে উৎসবমুখর পরিবেশে উদয়ন আদর্শ বিদ্যালয়ে ৪৭ মহান বিজয় দিবস উদযাপিত হয়েছে।
বিজয় দিবস উপলক্ষে রাত ১২টা ১ মিনিটে ছাত্র-শিক্ষক শহীদ মিনারে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন । বিজয় দিবসে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে স্কুল প্রাঙ্গনে সকাল ৭: ০০ ঘটিকায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন, ৮ ঘটিকার সময় কোরআন তিলোয়াত , সকাল ৯ ঘটিকায় শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিজয় র্যালি বের করে। বিজয় র্যালি শেষে অত্র স্কুলের শিক্ষক মহি উদ্দীন এর সঞ্চালনায় ও অত্র স্কুলের প্রধান শিক্ষক এরশাদ মজুমদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা। উক্ত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অত্র স্কুলের পরিচালনা কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব নুরুল হোছাইন চৌধুরী ।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন , অত্র স্কুলের পরিচালক ডাঃ ছমিদুল হক , পরিচালক এনামুল হক খাঁন , পরিচালক ডাঃ নাজিম উদ্দীন , পরিচালক নবীউল হক চৌধুরী , পরিচালক ডাঃ মাহাবুবুর রহমান , পরিচালক ডা: জিয়াউল হক ।
বক্তারা বলেন , জাতি গভীর ভালোবাসায়, শ্রদ্ধায় ও আবেগের সাথে পালন করছে ৪৬তম মহান বিজয় দিবস। একটি নিজস্ব ভূখন্ড, দেশপ্রাপ্তি জাতির জন্য অতুলনীয় আনন্দের; কিন্তু জাতির জীবনে একই সঙ্গে বেদনারও।
৩০ লাখ শহীদের রক্তে রঞ্জিত এই প্রিয় মাতৃভূমি। যারা শহীদ হয়েছেন-তাদের সন্তানেরা ৪৬ বছর পরে কি ভাবছেন, কি তাদের অনুভূতি, কি তাদের চাওয়া-পাওয়া এবং প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তি। আজ ১৬ই ডিসেম্বর, মহান বিজয় দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে পৃথিবীর বুকে বাংলাদেশ নামের একটি স্বাধীন রাষ্ট্র ভূমিষ্ট হয়। বাংলাদেশের এই বিজয় ছিনিয়ে আনতে দীর্ঘ নয় মাস পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে রক্তাক্ত যুদ্ধ করেছে এ দেশের দামাল ছেলেরা।
এ যুদ্ধ ছিলো অন্যায়ের বিরুদ্ধে ন্যায়ের জন্য যুদ্ধ, পরাধীনতার বিরুদ্ধে স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ, মায়ের ভাষায় কথা বলার অধিকার আদায়ের জন্য যুদ্ধ। মাতৃভুমির কপালে বিজয়ের লাল টিপ পড়াতে লাখো শহীদ তাদের বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছে, হাজারো মা বোন সম্ভ্রম হারিয়েছেন। আমরা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করি লাখ লাখ বীর শহীদের যারা তাদের বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়ে আমাদের জন্য এনে দিয়েছে স্বাধীনতা। অনেক ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে যে স্বাধীনতা, আমরা পেয়েছি যে বিজয়… সেই বিজয় অর্জনের পথে বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলো এদেশেরই কিছু মানুষরূপী নরপশু। আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে অনুষ্ঠিত হয় চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা ।
ডুলাহাজারা নি¤œ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে বিজয় দিবস উদ্যাপন
——————————
ব্যপক উৎসাহ, উদ্দীপনা ও বৈচিত্রপূর্ণ আয়োজনের মধ্য দিয়ে উৎসবমুখর পরিবেশে ডুলাহাজারা নি¤œ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে ১৬ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখে বাংলাদেশের ৪৭তম মহান বিজয় দিবস উদযাপন করা হয়েছে। সকালে স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা ও ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে নিয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে বিজয় দিবসের কর্মসূচীর সূচনা করেন ।
বিজয় দিবস উপলক্ষে রাত ১২টা ১ মিনিটে ছাত্র-শিক্ষক শহীদ মিনারে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন ।
অনুষ্ঠান উদ্বোধন করে উপস্থিত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে অত্র স্কুলের প্রধান শিক্ষক সরওয়ার আলম বলেন, আজ ১৬ডিসেম্বর বাঙালির জীবনে এক পরমানন্দের দিন,শৃঙ্খল ভাঙার দিন,স্বাধীন আকাশে মুক্ত পাখির মতো উড়ে বেড়াবার দিন । আজকে স্বাধীনতার এই দিনে দাড়িয়ে স্মরণ করছি আমাদের আতœত্যাগী ভাইবোনদের যারা তাদের প্রাণের বিনিময়ে ফিরিয়ে এনেছেন আমাদের মাতৃভূমি ।
প্রিয় স্বাধীনতাভোগী দেশপ্রেমিক ছাত্র-ছাত্রী ,আজ এই মহান বিজয় দিবসে তোমাদের কাছে আমার অনুরোধ আমরা যেন কখনোই ভুলে না যাই এই রক্তঝরা ইতিহাস।বাঙালিরা তাদের জীবন উৎসর্গ করেছেন ৫২ এর ভাষা আন্দোলনে ৭১ এর স্বাধীনতা অর্জনে আমাদের তা করতে হবে না শুধু দেশপ্রেমকে জাগ্রত করে ন্যায়ের সঙ্গে কাজ করলে সোনার বাংলাকে বাস্তবে রূপ দিতে পারব । বিজয়ের অনুভূতি সবসময়ই আনন্দের। তবে একই সঙ্গে দিনটি বেদনারও। অগণিত মানুষের আত্মত্যাগের ফসল আমাদের স্বাধীনতা। আমরা গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করি মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের; যেসব নারী ভয়াবহ নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন, তাদের।
এদেশের মানুষের আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক অধিকার তথা স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে সফল নেতৃত্ব দেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। কোটি কোটি মানুষকে তিনি স্বাধীনতার মন্ত্রে উজ্জীবিত করে তুলেছিলেন। তার সঙ্গে ছিলেন একই লক্ষ্যে অবিচল একদল রাজনৈতিক নেতা। তাদের সবাইকেই আমরা গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি। বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকে তারুণ্যের একতাবদ্ধতার মধ্য দিয়ে এগিয়ে নিতে হবে। তরুণদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সাথে সম্পৃক্ত হতে হবে।
বিজয় দিবসে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে স্কুল প্রাঙ্গনে সকাল ৭: ০০ ঘটিকায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন, ৮ ঘটিকার কোরআন তিলাওয়াত, সকাল ৯ ঘটিকায় শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিজয় র্যালি বের করে।এরপর শুরু হয় আলোচনা সভা । আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন অত্র স্কুলের শিক্ষক সুনীল কুমার সুশীল , কাজী মোবাশ্বের আহমেদ , মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক , আব্দু সালাম , কানিজ ফাতেম রিফাত , রাশেদা বেগম , রীনা রাণী ধর , মাঈন উদ্দীন ।
ডুলাহাজারা আরবিয়া মারুফিয়া ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসায় বিজয় দিবস উদ্যাপন
———————————–
যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবসের প্রথম প্রহরে পতাকা উত্তোলন ও নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে উৎসবমুখর পরিবেশে ডুলাহাজারা আরবিয়া মারুফিয়া ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসায় ৪৭ মহান বিজয় দিবস উদযাপিত হয়েছে।
বিজয় দিবস উপলক্ষে রাত ১২টা ১ মিনিটে মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষক শহীদ মিনারে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন ।
বিজয় দিবসে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে মাদ্রাসা প্রাঙ্গনে সকাল ৭: ০০ ঘটিকায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন, ৮ ঘটিকার সময় খতমে কোরআন, সকাল ৯ ঘটিকায় মাদ্রাসার শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিজয় র্যালি বের করে। অত্র মাদ্রাসার অধ্যক্ষ এস.এম আব্দুর রহমান আযাদ এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয় । আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন অত্র মাদ্রাসার পরিচালনা কমিটির সভাপতি ডাঃ ফরিদুল হক ।
তিনি বলেন, বিজয় দিবস আজ। ১৯৭১ সালের এই দিনে নয় মাসের মুক্তিযুদ্ধ শেষে ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) আত্মসমর্পণ করেছিল পাক হানাদার বাহিনী। চূড়ান্ত বিজয়ের মধ্য দিয়ে অভ্যুদয় ঘটে বাঙালির স্বাধীন রাষ্ট্র বাংলাদেশের। বিজয়ের অনুভূতি সবসময়ই আনন্দের। তবে একই সঙ্গে দিনটি বেদনারও। অগণিত মানুষের আত্মত্যাগের ফসল আমাদের স্বাধীনতা। আমরা গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করি মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের; যেসব নারী ভয়াবহ নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন, তাদের।
এদেশের মানুষের আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক অধিকার তথা স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে সফল নেতৃত্ব দেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। কোটি কোটি মানুষকে তিনি স্বাধীনতার মন্ত্রে উজ্জীবিত করে তুলেছিলেন। তার সঙ্গে ছিলেন একই লক্ষ্যে অবিচল একদল রাজনৈতিক নেতা। তাদের সবাইকেই আমরা গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি। স্বাধীন বাংলাদেশের যাত্রা শুরু হয়েছিল একরাশ স্বপ্ন বুকে নিয়ে।
সাড়ে চার দশকের এ পথপরিক্রমায় সে স্বপ্নের কতটা পূরণ হয়েছে, আজ সে হিসাব মেলাতে চাইবে সবাই। এর মধ্যে আমাদের অনেক চড়াই-উৎরাই মোকাবেলা করতে হয়েছে। আমরা আজ শিক্ষিত জাতি গঠনে সবাইকে শিক্ষার আলোই আলোকিত করতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে । এ সরকারের সময়ে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা অভূতপূর্ব অগ্রগতি হয়েছে।
দেশের বর্তমান শিক্ষার হার বিগত সরকারের চেয়ে অনেকগুণ উন্নতি হয়েছে। ইতিহাস বিকৃতি রোধ করতে পাঠ্য পুস্তককে স্বাধীনতার স্থপতি, জাতির পিতা , মুক্তিযোদ্ধা ও স্বাধীনতা সংগ্রামের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরে ছাত্র-ছাত্রীদের গড়ে তুলতে হবে। না হয় শিক্ষার্থীরা স্বাধীনতার ইতিহাস সম্পর্কে সম্পূর্ণ অনঙ্গ হয়ে থাকবে। জাতীয় শিক্ষানীতি প্রণয়ন করেছে এ সরকার । বর্তমান সরকার মাধ্যমিক পর্যায় পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে ১৯৩ কোটি বই শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দিয়েছে।
আরো বক্তব্য রাখেন , মাওলানা মিছবাহ উদ্দীন , মাওলানা নুরুল আবচার , মাষ্টার কুতুব উদ্দীন , মাষ্টার জাহাঙ্গীর আলম , মাওলানা মোফাচ্ছের আহমদ প্রমূখ শিক্ষকগণ । এতে সকল শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকগণ উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা শেষে মুক্তিযোদ্ধাদের মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত পরিচালনা করেন আলহাজ্ব মাওলানা আবুল হোছাইন । অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মাওলানা ফরিদুল আলম ।
ডুলাহাজারা বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ে বিজয় দিবস উদ্যাপন
——————————-
ব্যপক উৎসাহ, উদ্দীপনা ও বৈচিত্রপূর্ণ আয়োজনের মধ্য দিয়ে উৎসবমুখর পরিবেশে ডুলাহাজারা বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ে বর্ণাঢ্য আয়োজনে ৪৭তম মহান বিজয় দিবস উদযাপন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে শনিবার বিদ্যালয়ে উদ্যোগে র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বিজয় দিবস উপলক্ষে রাত ১২টা ১ মিনিটে বিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক শহীদ মিনারে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন । বিজয় দিবসে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে স্কুল প্রাঙ্গনে সকাল ৭: ০০ ঘটিকায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন, ৮ ঘটিকার কোরআন তিলোওয়াত, সকাল ৯ ঘটিকায় সকল শিক্ষক-শিক্ষিা, ছাত্র-ছাত্রী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিজয় র্যালি বের করে। অত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহিন মীরজাদা চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয় । প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অত্র বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও ডুলাহাজারা ইউনিয়ন আ’লীগের সংগ্রামী সভাপতি আলহাজ্ব জামাল হোছাইন ।
তিনি বলেন , আজ ১৬ ডিসেম্বর, মহান বিজয় দিবস। বাঁধভাঙা আনন্দের দিন। বাঙালি জাতির জীবনের সবচেয়ে বড় অর্জনের দিনটি আজ। এক সাগর রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতার স্বপ্ন পূরণের দিন। পাকিস্তানি শাসকদের শোষণ, নিপীড়ন আর দুঃশাসনের জাল ভেদ করে ১৯৭১ সালের এই দিনে বিজয়ের প্রভাতী সূর্যের আলোয় ঝিকমিক করে উঠেছিল বাংলাদেশের শিশির ভেজা মাটি। অবসান হয়েছিল পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর সাড়ে তেইশ বছরের নির্বিচার শোষণ, বঞ্চনা আর নির্যাতনের কালো অধ্যায়।
তিনি আরো বলেন , জননেত্রি শেখ হাসিনা বিশ্বে সৎ সরকার নির্বাচিত হয়েছেন। বিশ্বের দরবারে মাদার অফ হিউম্যানিটি হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছেন। মানবতার জন্য তিনি এক অনন্য ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন। তিনি বেঁচে থাকতে বাংলার জনগণ আর ক্ষমতায় বসাবে না । তিনি অত্র বিদ্যালয়ের সকল ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে করেন বলেন ,তোমাদের কাছে আমার অনুরোধ আমরা যেন কখনোই ভুলে না যাই এই রক্তঝরা ইতিহাস। উক্ত আলোচনা সভায় অত্র বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক-শিক্ষিকা , ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকবৃন্ধ উপস্থিত ছিলেন।
ডুলাহাজারা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বিজয় দিবস উদ্যাপন
—————————-
ব্যপক উৎসাহ, উদ্দীপনা ও বৈচিত্রপূর্ণ আয়োজনের মধ্য দিয়ে উৎসবমুখর পরিবেশে ডুলাহাজারা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১৬ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখে বাংলাদেশের ৪৭তম মহান বিজয় দিবস উদযাপন করা হয়েছে। সকালে স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা ও ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে নিয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে বিজয় দিবসের কর্মসূচীর সূচনা করেন ।
বিজয় দিবস উপলক্ষে রাত ১২টা ১ মিনিটে ছাত্র-শিক্ষক শহীদ মিনারে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন ।
বিজয় দিবসে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে স্কুল প্রাঙ্গনে সকাল ৭: ০০ ঘটিকায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন, ৮ ঘটিকার কোরআন তিলাওয়াত, সকাল ৯ ঘটিকায় শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিজয় র্যালি বের করে।বিজয় র্যালি শেষে অত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এম. ফরিদুল হকের সভাপতিত্বে ও নুর উদ্দিন জাহেদ এর সঞ্চালনায় শুরু হয় আলোচনা সভা । আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন অত্র সহকারী শিক্ষিকা রাশেদা কানম ,লাকী দে , শিক্ষক আমির হোছাইন , রূপালী দাশ, মোস্তাফিজুর রহমান , জেবরুন্নেছা চাম্মী । আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে শুরু হয় পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠান ।
যথাযোগ্য মর্যাদায় মালুমঘাট আইডিয়াল স্কুলে বিজয় দিবস উদ্যাপন
——————————–
ব্যপক উৎসাহ, উদ্দীপনা ও বৈচিত্রপূর্ণ আয়োজনের মধ্য দিয়ে উৎসবমুখর পরিবেশে মালুমঘাট আইডিয়াল স্কুলে ১৬ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখে বাংলাদেশের ৪৭তম মহান বিজয় দিবস উদযাপন করা হয়েছে। সকালে স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা ও ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে নিয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে বিজয় দিবসের কর্মসূচীর সূচনা করেন ।
বিজয় দিবস উপলক্ষে রাত ১২টা ১ মিনিটে ছাত্র-শিক্ষক শহীদ মিনারে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন ।
অনুষ্ঠান উদ্বোধন করে উপস্থিত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে অত্র স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো: আব্দু মালেক বলেন, আজ ১৬ডিসেম্বর বাঙালির জীবনে এক পরমানন্দের দিন,শৃঙ্খল ভাঙার দিন,স্বাধীন আকাশে মুক্ত পাখির মতো উড়ে বেড়াবার দিন । আজকে স্বাধীনতার এই দিনে দাড়িয়ে স্মরণ করছি আমাদের আতœত্যাগী ভাইবোনদের যারা তাদের প্রাণের বিনিময়ে ফিরিয়ে এনেছেন আমাদের মাতৃভূমি ।
প্রিয় স্বাধীনতাভোগী দেশপ্রেমিক ছাত্র-ছাত্রী ,আজ এই মহান বিজয় দিবসে তোমাদের কাছে আমার অনুরোধ আমরা যেন কখনোই ভুলে না যাই এই রক্তঝরা ইতিহাস।বাঙালিরা তাদের জীবন উৎসর্গ করেছেন ৫২ এর ভাষা আন্দোলনে ৭১ এর স্বাধীনতা অর্জনে আমাদের তা করতে হবে না শুধু দেশপ্রেমকে জাগ্রত করে ন্যায়ের সঙ্গে কাজ করলে সোনার বাংলাকে বাস্তবে রূপ দিতে পারব ।
বিজয়ের অনুভূতি সবসময়ই আনন্দের। তবে একই সঙ্গে দিনটি বেদনারও। অগণিত মানুষের আত্মত্যাগের ফসল আমাদের স্বাধীনতা। আমরা গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করি মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের; যেসব নারী ভয়াবহ নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন, তাদের। এদেশের মানুষের আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক অধিকার তথা স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে সফল নেতৃত্ব দেন এদেশের দামাল ছেলেরা । কোটি কোটি মানুষকে তারা স্বাধীনতার মন্ত্রে উজ্জীবিত করে তুলেছিলেন। তার সঙ্গে ছিলেন একই লক্ষ্যে অবিচল একদল রাজনৈতিক নেতা। তাদের সবাইকেই আমরা গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি। বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকে তারুণ্যের একতাবদ্ধতার মধ্য দিয়ে এগিয়ে নিতে হবে। তরুণদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সাথে সম্পৃক্ত হতে হবে।
বিজয় দিবসে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে স্কুল প্রাঙ্গনে সকাল ৭: ০০ ঘটিকায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন, ৮ ঘটিকার কোরআন তিলাওয়াত, সকাল ৯ ঘটিকায় শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিজয় র্যালি বের করে।এরপর শুরু হয় আলোচনা সভা । আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন অত্র স্কুলের শিক্ষক জাবের আহমদ , সরওয়ার , মিজানুর রহমান , আরফিন , শিহাব , নাজমা , মিনহাজ উদ্দীন, পরিচালনা কমিটির সদস্য জসিম উদ্দীন, সদস্য আলী আজম, ইয়াছমিন আক্তার সহ সকল শিক্ষক-শিক্ষিকা , ছাত্র-ছাত্রী, পরিচালনা কমিটির ও অভিভাবকমন্ডলী। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন তৌহিদুল ইসলাম তৌহিদ ।
Posted ১১:২১ অপরাহ্ণ | রবিবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta