রবিবার ৫ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২২শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম

রবিবার ৫ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম

বিশ্ব বাণিজ্যে ভয়াবহ প্রতিযোগিতার মুখে বাংলাদেশ

সোমবার, ২২ জানুয়ারি ২০১৮
350 ভিউ
বিশ্ব বাণিজ্যে ভয়াবহ প্রতিযোগিতার মুখে বাংলাদেশ

কক্সবাংলা ডটকম(২২ জানুয়ারি) :: স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে যখন উন্নয়নশীল (ডেভেলপিং) দেশে প্রবেশ করবে, তখন বাংলাদেশকে বিশ্ব বাণিজ্যে ভয়াবহ প্রতিযোগিতার মুখে পড়তে হবে। যা সরাসরি রফতানি বাণিজ্যে আঘাত হানতে পারে বলে শঙ্কা সংশ্লিষ্টদের।

তাদের মতে, এলডিসি উত্তরণের সীমা শেষ হওয়ামাত্র উন্নত দেশগুলোর চলমান সুবিধা বাংলাদেশের জন্য স্থগিত হয়ে যাবে। তখন বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) ছাড়কৃত শুল্ক ও কোটামুক্ত বাজার সুবিধা থাকবে না।

একই কারণে ইউরোপীয় ইউনিয়নের জিএসপি সুবিধাও উঠে যাবে। ফলে এলডিসির দেশগুলোর তুলনায় বাংলাদেশকে রফতানির ক্ষেত্রে ৬ দশমিক ৭ শতাংশ বেশি শুল্ক পরিশোধ করতে হবে।

ইউনাইটেড নেশনস কনফারেন্স অন ট্রেড অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (আঙ্কটাড) সাম্প্রতিক এক জরিপে এসব তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে।

এতে আরও বলা হয়েছে, রফতানি আয় ৫ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ পর্যন্ত কমে যেতে পারে। ফলে মোট রফতানি আয় থেকে দেড় বিলিয়ন থেকে ২.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হারাতে হবে বাংলাদেশকে। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় (এক ডলারে ৮২ টাকা হিসাবে) দাঁড়াবে ১৮ হাজার ৪০ কোটি টাকা।

জাতিসংঘের এ সংস্থাটি ২০১৬-১৭ অর্থবছরকে ভিত্তি ধরে এ হিসাব করেছে। এ ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে যাওয়া প্রায় সাড়ে পাঁচ বিলিয়ন ডলারের রফতানি আয়ের হিসাব অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। কারণ এ মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্রে জিএসপি সুবিধা ছাড়াই বাংলাদেশ থেকে পণ্য রফতানি করা হয়।

অন্যদিকে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) এক গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় প্রবেশের পর অতিরিক্ত হারে শুল্ক দেয়ার কারণে বাংলাদেশ রফতানি হারাতে পারে ২ দশমিক ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০১৫-১৬ অর্থবছরের ২১ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলারের রফতানি আয়ের হিসাব পর্যালোচনা করে এ পূর্বাভাস দিয়েছে সিপিডি।

এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ব্যবসায়ী নেতা জানিয়েছেন, যখন এটি কার্যকর হবে তখন রফতানি আয় কমে যাওয়ার যে তথ্য এখন ফোরকাস্ট করা হচ্ছে তা এ সীমার মধ্যে থাকবে না। কেননা এর নেতিবাচক বহুমাত্রিক প্রভাব যোগ করলে সার্বিকভাবে রফতানি আয় কমে যাওয়ার পরিমাণ আরও বেড়ে যাবে। এছাড়া সক্ষমতা অর্জনের বিষয়ে সরকারের তরফ থেকে যা বলা হচ্ছে, সেটি তো ব্যবসায়ীদের ফেস করতে হবে।

যেখানে সুষ্ঠুভাবে ব্যবসা বা বিনিয়োগ করার ক্ষেত্রে এখনও পদে পদে আমলাতান্ত্রিক নানা জটিলতা ও হয়রানি ফেস করতে হয় সেখানে উদ্যোক্তারা চাইলেই রাতারাতি সক্ষমতা বাড়াতে পারবে না। সেজন্য প্রয়োজন হবে সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহায়তা ও সমর্থন।

প্রসঙ্গত, চলতি বছরের মার্চে এলডিসি থেকে উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার বিষয়টি চূড়ান্ত করবে জাতিসংঘের ইকোনমিক ও সোশ্যাল কাউন্সিল। উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হতে যে তিনটি শর্ত পূরণ করতে হয়, তা বাংলাদেশ ইতিমধ্যে অর্জন করেছে।

শর্তগুলো হচ্ছে- ১. মাথাপিছু আয় ১২৪২ মার্কিন ডলার; বর্তমানে বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু আয় ১৬১০ মার্কিন ডলার।

২. মানবসম্পদের উন্নয়ন অর্থাৎ দেশের ৬৬ ভাগ মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত হতে হবে। বর্তমানে বাংলাদেশ সেটি ৭০ ভাগে উন্নীত করেছে। ৩. অর্থনৈতিকভাবে ভঙ্গুর না হওয়ার মাত্রা ৩০ ভাগের নিচে থাকতে হবে। বাংলাদেশ এ মুহূর্তে তা ২৬ ভাগ অর্জন করেছে।

বিশ্বের ইকোনমিক ও সোশ্যাল কাউন্সিল এ তিনটি বিষয় বিবেচনা করে কোনো দেশকে এলডিসি থেকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হওয়ার ঘোষণা দেয়। আগামী মার্চে অনুষ্ঠেয় এ কাউন্সিলের মূল্যায়ন কমিটির সভায় বাংলাদেশের বিষয়টি চূড়ান্ত করা হবে।

উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় অন্তর্ভুক্তির জন্য ২০২১ সালের মধ্যে এ তিনটি শর্ত পূরণের সময়সীমা দেয়া হয় বাংলাদেশকে। কিন্তু শর্তগুলো নির্ধারিত সময়ের আগেই পূরণ করায় বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এ ঘোষণা তিন বছর আগেই আসছে।

গ্রেস পিরিয়ড সুবিধা :

২০২১ সালে বিশ্বে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হওয়ার পর বিধান অনুযায়ী, পরবর্তী তিন বছর অর্থাৎ ২০২৪ সাল পর্যন্ত গ্রেস পিরিয়ড সুবিধা নিতে পারবে বাংলাদেশ। এরপর নিয়ম অনুযায়ী শুল্ক সুবিধাসহ অন্যান্য বিশেষ সুবিধা ছাড়ের প্রক্রিয়া কঠোর হতে শুরু করবে।

এরপরও পরবর্তী তিন বছর অর্থাৎ ২০২৭ সালের মার্চ পর্যন্ত ক্রমহ্রাস মানহারে কিছু সুবিধা মিলবে। সব মিলিয়ে এলডিসি থেকে উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় প্রবেশের পরও বাংলাদেশের হাতে থাকবে প্রায় ১০টি বছর। এ সময়ের মধ্যে বিশ্ব বাণিজ্য প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে প্রয়োজনীয় সক্ষমতা অর্জন করা সম্ভব বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

এ প্রসঙ্গে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ একাধিকবার বলেছেন, এলডিসি থেকে বাংলাদেশ বের হয়ে গেলে রফতানি বাণিজ্যের ওপর একটা চাপ তৈরি হবে, এটা সত্যি। কিন্তু সেই চাপ মোকাবেলার সক্ষমতা উদ্যোক্তাদের তৈরি হয়েছে। আগামীতে এ সক্ষমতা আরও বাড়বে। এ নিয়ে শঙ্কার কোনো কারণ নেই।

তিনি আরও বলেন, আমেরিকার বাজারে বাংলাদেশ উচ্চশুল্ক দিয়েই পণ্য রফতানি করছে। তারা আমাদের জিএসপি দেয় না। বাংলাদেশের রফতানি আয়ের সিংহভাগ আসে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশ থেকে।

এলডিসি থেকে বের হলে ইইউতে জিএসপি থাকবে না, তখন বিকল্প হিসেবে আমরা তাদের সঙ্গে জিএসপি প্লাসে যাব। পাশাপাশি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে আমরা ফ্রি ট্রেড অ্যাগ্রিমেন্টে (এফটিএ) যাব। আঞ্চলিক জোটগুলোয় বাংলাদেশের অংশগ্রহণ আরও জোরালো হবে।

অর্থনীতিবিদদের মন্তব্য :

বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ কার্যালয়ের প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, ডব্লিউটিওর সুযোগ-সুবিধা হারানোর পর ঋণের ঝুঁকি বাড়বে। অতিরিক্ত শুল্ক পরিশোধ করতে হবে বিধায় রফতানি আয় কমবে।

আঙ্কটাড ও সিপিডি যে হিসাব দেখিয়েছে, সেটি কোনো একটি বছরের তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে করেছে। এভাবে প্রতি বছর রফতানির পরিমাণ বাড়লে অতিরিক্ত শুল্ক পরিশোধের হারও বাড়তে থাকবে। এলডিসি থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ সুখবর হলেও রফতানি বাণিজ্যের জন্য এটা বড় শঙ্কারও কারণ।

তবে তিনি আশা করছেন, ২০২১ সালে বাংলাদেশ এলডিসি থেকে বের হলেও এর গ্রেস পিরিয়ড সুবিধা পাবে ২০২৪ সাল পর্যন্ত। এরপরও পরবর্তী তিন বছর অর্থাৎ ২০২৭ সাল পর্যন্ত ক্রমহ্রাসমান হারে পাওয়া যেতে পারে। অর্থাৎ হাতে প্রায় ১০ বছর সময় পাচ্ছে বাংলাদেশ।

এ সময়ে উদ্যোক্তাদের সক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে হবে। শ্রমিকের দক্ষতা ও উৎপাদনশীলতা- দুটোই বাড়ানোর সুযোগ থাকবে। পণ্যের বৈচিত্র্য ও গুণগত মান বৃদ্ধিরও সুযোগ থাকবে। ফলে সম্ভাব্য বিপর্যয় কাটিয়ে ওঠা সম্ভব।

পলিসি রিসার্চ ইন্সটিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, দেশের অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামক হচ্ছে রফতানি খাত। এলডিসি থেকে উত্তরণের পর এ খাতের প্রবৃদ্ধিতে বড় ধরনের ধাক্কা আসবে। কারণ তখন শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধা থাকবে না। পাশাপাশি বিদেশি ঋণের উচ্চ সুদ দিতে হবে। ফলে আপাতদৃষ্টিতে এগুলো আমাদের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ।

তিনি দাবি করেন, এ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার সক্ষমতা বাংলাদেশের রয়েছে। তিনিও মনে করেন, ভবিষ্যতে উদ্যোক্তাদের সক্ষমতা বাড়বে, এটি আমরা বলতেই পারি। ফলে তাদের উৎপাদন ও রফতানি উভয়ই বাড়বে।

এক প্রশ্নের জবাবে ড. মনসুর বলেন, এ ক্ষেত্রে আমরা ভিয়েতনামকে অনুসরণ করতে পারি। এলডিসি উত্তরণ-পরবর্তী সময়ে তারা (ভিয়েতনাম) বিশ্বের ৮০টি দেশের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি করেছে। বাংলাদেশকেও সে পথে যেতে হবে। পাশাপাশি জিএসপির পরিবর্তে জিএসপি প্লাসসহ আরও বিকল্প পথ খুঁজতে হবে।

উদ্যোক্তাদের বক্তব্য :

এলডিসি থেকে উত্তরণ-পরবর্তী সময়ে রফতানি খাতে ধাক্কা কিভাবে মোকাবেলা করা হবে- জানতে চাইলে বিজিএমইএর সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, আপাতদৃষ্টিতে এটি উদ্যোক্তাদের মধ্যে শঙ্কা হিসেবে উঁকি দিলেও কার্যত তার নেতিবাচক প্রভাব খুব একটা আমাদের রফতানিতে পড়বে না। কারণ প্রস্তুতি গ্রহণের জন্য বাংলাদেশ বেশ লম্বা সময় পাবে। এ সময়ে নিশ্চয়ই আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্প-কারখানার আধুনিকায়ন এবং সম্প্রসারণ হবে।

উদ্যোক্তা, ব্যবস্থাপনা পর্যায় এবং শ্রমিকের দক্ষতা ও সক্ষমতা আরও বাড়বে। মালিক-শ্রমিকের মধ্যে সম্পর্কের উন্নতি ঘটবে। এর ফলে কারখানার অসন্তোষ দূর হবে এবং উৎপাদন বহুলাংশে বৃদ্ধি পাবে। একই সঙ্গে তৈরি পোশাকের উৎপাদনেও অনেক বৈচিত্র্য আসবে। পাশাপাশি অন্যান্য রফতানি পণ্যেরও বহুমুখীকরণ হবে। এতে আমাদের বাজার বাড়বে ও বিদেশে বাংলাদেশি পণ্যের চাহিদা তৈরি হবে। ফলে আমরা প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে পারব। আমরা তো মনে করি উত্তরণ-পরবর্তী সময়ে আমাদের রফতানির পরিমাণ আরও বাড়বে এবং আয়ও বাড়বে।

রফতানি ক্ষতিগ্রস্ত হলে উন্নয়নশীল দেশে যাত্রার সার্থকতা কী- এমন প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশ রফতানিকারক সমিতির সভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী বলেন, সার্থকতা হচ্ছে তলাবিহীন ঝুড়ির বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে নিজেদের যোগ্যতা ও অর্জন দিয়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে। এতে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি বাড়বে।

তাছাড়া আমরা চাইলেই যেমন স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা (এলডিসি) থেকে বের হতে পারব না, তেমনি উন্নয়নশীল দেশেও নিজেদের ইচ্ছামতো পৌঁছাতে পারব না। এর জন্য বিশ্বব্যাংক ও জাতিসংঘ যেসব মানদণ্ডে এই স্বীকৃতি দিয়ে থাকে, তা অর্জন করতে হবে। এর কোনো একটির দুর্বলতা বা ঘাটতি থাকলে উত্তরণের সুযোগ নেই।

বাংলাদেশের জন্য সুসংবাদ হচ্ছে- সংস্থাগুলোর বিবেচ্য বিষয়ের সব কটিতেই উত্তীর্ণ হতে পেরেছি আমরা। ফলে চলতি বছর মার্চে জাতিসংঘের চূড়ান্ত সভায় তারা যদি বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে ঘোষণা দেয়, তাহলে আমরা চাইলেও আর এলডিসিতে থাকতে পারব না।

তিনি দাবি করেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ যখন একের পর এক উন্নত দেশে পরিণত হচ্ছে, সেখানে আমাদের সুযোগ থাকলে কেন আমরা পেছনে পড়ে থাকব?

রফতানি পণ্য : বিশ্ববাজারে বর্তমানে দেশে রফতানিযোগ্য পণ্যের সংখ্যা ৭৪৪টি। বিশ্বের ১৯৮টি দেশে এসব পণ্য রফতানি হচ্ছে। এর মধ্যে এককভাবে তৈরি পোশাক খাতই রফতানি অবদান রাখছে ৮১ শতাংশ।

এ ছাড়া কৃষিপণ্য ও অ্যাগ্রো প্রসেস পণ্য, বহুমুখী পাটজাত পণ্য, চামড়াজাত পণ্য ও জুতা, ইলেকট্রুনিক পণ্য, মূল্য সংযোজিত হিমায়িত মৎস্য, রাবার, রেশমসামগ্রী, সিরামিক পণ্য, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং পণ্য (অটো পার্টস ও বাইসাইকেল), ওষুধ, ফার্নিচার, জাহাজ, প্লাস্টিক পণ্য, আসবাবপত্র, টেরিটাওয়েল, লাগেজ, গরু-মহিষের হাড়, নারকেলের ছোবড়া, আইটি পণ্য, কুঁচে, পাঁপড়, প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং, অমসৃণ হীরা ও জুয়েলারি, পেপার ও পেপার পণ্য, হস্ত ও কারুপণ্য, লুঙ্গি, তাঁত শিল্পজাত পণ্য ইত্যাদি।

রফতানির পরিসংখ্যান :

চলতি ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ৪ হাজার ১০০ কোটি মার্কিন ডলার বা ৩ লাখ ৩২ হাজার কোটি টাকার রফতানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত রয়েছে। যা গত ২০১৬-১৭ অর্থবছরের রফতানি আয়ের তুলনায় ১৭ দশমিক ৭০ শতাংশ বেশি।

এর মধ্যে পণ্য খাতে রফতানি লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩ হাজার ৭৫০ কোটি ডলার বা ৩ লাখ কোটি টাকা। এর মধ্যে শুধু তৈরি পোশাক খাত থেকেই প্রায় ২ হাজার ৮১৫ কোটি ডলার বা ২ লাখ ২৫ হাজার ২০০ কোটি টাকার রফতানি আয় আসবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। বাকি ৭৪ হাজার ৮০০ কোটি টাকার রফতানি আসবে অন্যান্য পণ্য থেকে।

এ ছাড়া প্রথমবারের মতো রফতানি তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হওয়া সেবা খাত থেকে রফতানি লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩১৫ কোটি ডলার বা ২৮ হাজার কোটি টাকা। সেবা খাতের মধ্যে টুরিজম, ইঞ্জিনিয়ারিং ও আইসিটি খাতকে রফতানি তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

রফতানি উন্নয়ন বু্যুরোর (ইপিবি) তথ্যমতে, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ৩ হাজার ৭০০ কোটি ডলার রফতানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। এর বিপরীতে আয় হয়েছিল ৩ হাজার ৪৮৩ কোটি ৫০ লাখ ৯০ হাজার মার্কিন ডলার বা প্রায় ২ লাখ ৮২ হাজার ৯৭০ কোটি টাকা। যা এর আগের ২০১৫-১৬ অর্থবছরে রফতানি আয়ের তুলনায় ১ দশমিক ৬৯ শতাংশ বেশি। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে বাংলাদেশের রফতানি আয় ছিল ৩ হাজার ৪২৫ কোটি ৭১ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার।

350 ভিউ

Posted ৩:৫৯ পূর্বাহ্ণ | সোমবার, ২২ জানুয়ারি ২০১৮

coxbangla.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

এ বিভাগের আরও খবর

Editor & Publisher

Chanchal Dash Gupta

Member : coxsbazar press club & coxsbazar journalist union (cbuj)
cell: 01558-310550 or 01736-202922
mail: chanchalcox@gmail.com
Office : coxsbazar press club building(1st floor),shaheed sharanee road,cox’sbazar municipalty
coxsbazar-4700
Bangladesh
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
বাংলাদেশের সকল পত্রিকা সাইট
Bangla Newspaper

ABOUT US :

coxbangla.com is a dedicated 24x7 news website which is published 2010 in coxbazar city. coxbangla is the news plus right and true information. Be informed be truthful are the only right way. Because you have the right. So coxbangla always offiers the latest news coxbazar, national and international news on current offers, politics, economic, entertainment, sports, health, science, defence & technology, space, history, lifestyle, tourism, food etc in Bengali.

design and development by : webnewsdesign.com