কক্সবাংলা ডটকম(২০ ফেব্রুয়ারী) :: রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো মূলধন ঘাটতি পূরণে আবারো বরাদ্দ চেয়েছে। ব্যাংকগুলোকে বারবার জনগণের করের টাকা দিলে নৈতিক বিপত্তি ঘটবে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।
ঋণখেলাপিদের কাছ থেকে অর্থ আদায়ে জোর দেয়ার পরামর্শ তাদের। তবে সঙ্কট কাটাতে ব্যাংকগুলোকে আরো সময় দেয়ার পক্ষে অর্থ প্রতিমন্ত্রী।
ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণের পরিমাণ ১ লাখ ২৫ হাজার কোটি টাকার বেশি। এর অর্ধেকই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের। ঋণের অর্থ আদায় না হওয়ায় বাড়ছে রাষ্ট্রায়ত্ত আট ব্যাংকের মূলধন ঘাটতি।
গত বছর সেপ্টেম্বরে এসব ব্যাংকের মূলধন ঘাটতি ছিল ১৬ হাজার কোটি টাকা। আর গত ডিসেম্বরে ঘাটতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা।
ঘাটতি মেটাতে প্রায় প্রতি বছরই বাজেটে অর্থ বরাদ্দ রাখছে সরকার। গত ৪ বছরে এসব ব্যাংকে যোগান দেয়া হয়েছে ১০ হাজার কোটি টাকা। তবে এবার বরাদ্দের প্রায় ১০ গুণ বেশি অর্থাৎ ২০ হাজার কোটি টাকা চায় ব্যাংকগুলো।
এ অবস্থায় জনগণের ঘাড়ে চাপছে নতুন নতুন করের বোঝা। সম্প্রতি ঋণ কেলেঙ্কারির ও অব্যবস্থাপনায় তারল্য সঙ্কটে থাকা বেসরকারি ফারমার্স ব্যাংককেও মূলধন যোগানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।
তবে, অর্থ প্রতিমন্ত্রী বলছেন, আমানতকারীর স্বার্থে সঙ্কট কাটিয়ে উঠতে ব্যাংকগুলোকে কিছুটা সময় দেয়া প্রয়োজন।
অর্থনীতিবিদদের মতে, ব্যাংক খাতে একের পর এক ঋণ কেলেঙ্কারির নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। জড়িতদের দ্রুত শাস্তির আওতায় আনা প্রয়োজন।
Posted ১১:৫৪ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৮
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta