কামাল শিশির,ঈদগড়(২৯ নভেম্বর) :: ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত শিক্ষার্থী আনিস আরমান মেহেদী বাঁচতে চায়। স্কুুলে যাওয়া বা খেলাধুলা করার বদলে তার বেশিরভাগ সময় হাসপাতালের বিছানায় কাটে এখন। মেহেদী স্বপ্ন দেখে সুস্থ’ হয়ে বিদ্যালয়ে যাবে, বন্ধুদের সাথে খেলবে মাঠে। সবার মতো মেহেদীও হাসি-খুশি জীবন কাটাবে।
দুরারোগ্য ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত স্কুল ছাত্র মেহেদী’র চিকিৎসা প্রয়োজন। দীর্ঘদিন ধরে তার চিকিৎসা চালাতে গিয়ে সর্বস্বান্ত হয়ে পড়েছেন দরিদ্র বাবা-মা। চিকিৎসার জন্য সহযোগিতার হাত বাড়ানোর আকুতি জানিয়েছে অসহায় পরিবারটি।
স্কুল ছাত্র আনিস আরমান মেহেদি কক্সবাজারের রামু উপজেলার গর্জনিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম বোমাংখিল গ্রামের বাসিন্দা দরিদ্র জাফর আলমের ছেলে। রামু গর্জনিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র আনিস আরমান মেহেদী।
সম্প্রতি চিকিৎসায় মেহেদী’র ব্লাড ক্যান্সার ধরা পড়ে। মেহেদী’র বাবা জাফর আলম ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। দরিদ্র বাবা জাফর আলমের পক্ষে চিকিৎসার ব্যয়ভার গ্রহণ করা সম্ভব নয়। ধারদেনা করে ছেলেকে বাঁচাতে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি।
স্কুল ছাত্র মেহেদী’র চাচা সোহেল রানা জানান, গত ছয় মাস আগে মেহেদী অসুস্থ হয়ে পড়ে। স্থানীয় ভাবে তাকে চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়। ঢাকায় গিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষায় মেহেদী’র ব্লাড ক্যান্সার হয়েছে বলে জেনেছি। গত এক সপ্তাহ আগে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ, রেডিওথেরাপি বিভাগের অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান ডা. কাজী মুশতাক হোসেনের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা করানো হয়।
ওই চিকিৎসক জানিয়েছেন, মেহেদী’র দেহে রক্ত দিতে হবে এবং আরো উন্নত চিকিৎসার জন্য ভারতে নিয়ে যাওয়া প্রয়োজন। ভারতে চিকিৎসা সেবা দিতে, অন্তত দশ লাখ টাকা দরকার। কিন্তু পরিবারের পক্ষে এ চিকিৎসাভার চালানো সম্ভব নয়। কয়েক মাস ধরে চিকিৎসা সেবা চালাতে গিয়ে আর্থিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে তার পরিবার। এতে প্রয়োজন সরকার, প্রবাসী ও সমাজের বিত্তবানদের আর্থিক সহযোগিতা।
সোহেল রানা জানান, স্থানীয় উদ্যোগে চিকিৎসা সেবা তহবিল গঠন করা হয়েছে। সাংবাদিক হাফিজুল ইসলাম চৌধুরী, গর্জনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৮নং ওয়ার্ড সদস্য নুরুল আলম ও গর্জনিয়া ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি হাফেজ আহমদের নামে ‘ব্যাংক এশিয়া’য় (গর্জনিয়া বাজার আউটলেট শাখা) যৌথ একাউন্ট করা হয়েছে।
স্থানীয় সাংবাদিক হাফিজুল ইসলাম চৌধুরী জানান, মেহেদীকে উন্নত চিকিৎসা সেবা দিতে ভারতে নিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টা চলছে। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তৈরির জন্য গত ২৪ নভেম্বর তাকে, ঢাকা থেকে নিয়ে আসা হয়েছে।সোমবার আবারও কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং মেহেদীর দেহে রক্ত (ও পজিটিভ) দেয়া হয়।
চিকিৎসার খরচ জোগাতে সমাজের হৃদয়বান ও বিত্তশালী মানুষের সহায়তা ছেয়েছেন স্কুল ছাত্র আনিস আরমান মেহেদী’র পরিবার। সাহায্য পাঠাতে অনুরোধ : সঞ্চয়ী হিসাব নম্বর-১০৮৩৪২২০২৭০৪২ ব্যাংক এশিয়া (গর্জনিয়া বাজার আউটলেট শাখা), রামু, কক্সবাজার।
Posted ১১:৪৬ অপরাহ্ণ | শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০১৯
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta