মিগ-৩৫ একটি ফিফথ জেনারেশন ফাইটার জেট। এতে রয়েছে ‘স্টেলথ মোড’, অর্থাৎ শত্রুর রাডারে ধরা পড়ার কোনও ভয় নেই। রয়েছে নয়া অস্ত্রশস্ত্র ও ডিফেন্স সিস্টেম। হালকা অথচ মাল্টি-ফাংশনাল এই বিমান মারণক্ষমতা সম্পন্ন। বিশাল শত্রুবাহিনীকে চোখের নিমেষে ধ্বংস করে দিতে পারে বলে রুশ বায়ুসেনাও এই বিমান কেনায় আগ্রহ দেখিয়েছে মিগ কর্পোরেশনের কাছে। ভারতীয় বায়ুসেনা অর্ধ শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে মিগ সিরিজের যুদ্ধবিমানগুলি ব্যবহার করে আসছে।
রাশিয়ান এয়ারক্রাফট কর্পোরেশন মিগ-এর ডিরেক্টর জেনারেল টরেসেনকো জানাচ্ছেন, এই মুহূর্তে ‘মিগ-৩৫’ সবচেয়ে আধুনিক যুদ্ধবিমান। ‘MAKS 2017’ চলাকালীন সাংবাদিকদের তিনি আরও জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই মিগ কর্পোরেশন এই যুদ্ধবিমানগুলি ভারতকে বিক্রিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এ বছরের জানুয়ারিতেই এই নয়া যুদ্ধবিমানগুলি তৈরি করা হয়েছে। সদ্য তার প্রদর্শনী অনুষ্ঠান ‘MAKS 2017’-তে বিমানগুলির পারফরম্যান্স দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন রুশ প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা।
টরেসেনকো বলেন, “ভারতের কাছ থেকে দরপত্র আহ্বান করা হচ্ছে। আমরা চাই ভারতীয় বায়ুসেনা অবিলম্বে ‘মিগ-৩৫’কে বায়ুসেনার অন্তর্ভুক্ত করুক।” শুধু ভারতই নয়, বিশ্বের অন্যান্য দেশেও বিমানটির প্রচার শুরু করেছে মিগ কর্পোরেশন।
রাশিয়ার সবচেয়ে আধুনিক ফিফথ জেনারেশন এই ফাইটার জেট কিনতে ভারত ইতিমধ্যেই আগ্রহ দেখিয়েছে বলেও খবর মিলেছে। সেক্ষেত্রে ভারত চাইলে বিমানের প্রযুক্তিগত বেশ কয়েকটি বিষয়ে পরিবর্তনও আনা হতে পারে ইঙ্গিত দিয়েছেন মিগ কর্পোরেশনের কর্তারা।
তাঁরা বলছেন, ‘ভারতের সঙ্গে এখনও আমরা আলোচনার স্তরেই রয়েছি। যেহেতু এই যুদ্ধবিমানটি একেবারেই নতুন, তাই ভারত আগ্রহ দেখালে আমরা বেশ কিছু পরিকাঠামোগত পরিবর্তন আনতেও প্রস্তুত।’
বিমানগুলির দাম জানতে চাওয়া হলে রুশ কর্তারা জানাচ্ছেন, বিক্রির পরেও ত্রুটি মেরামতির খরচা রাশিয়াই ওঠাবে বলে বিমানগুলি খুব একটা ব্যয়বহুল হবে না। শুধু বিমানই নয়, একইসঙ্গে ভারতীয় পাইলটদের বিমানটি যথাযথভাবে ওড়ানোর প্রশিক্ষণ ও ৪০ বছর পর্যন্ত রক্ষণাবেক্ষণের খরচও রাশিয়াই দেবে বলে আশ্বস্ত করছেন মিগ কর্পোরেশনের শীর্ষকর্তারা। তাঁদের দাবি, পুরনো বিমানের তুলনায় নয়া বিমানগুলো ২০-২৫ শতাংশ সস্তায় মিলবে।