কক্সবাংলা ডটকম(১৬ আগস্ট) :: অটল যুগের ইতি৷ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন অটলবিহারী বাজপেয়ী৷ ৯৩ বছর বয়সে তাঁর জীবনের গতি থামল৷ নয়াদিল্লির AIIMS-এ তিনি গত দু’মাস ধরে চিকিৎসাধীন ছিলেন৷
গত দু’দিন ধরে তাঁর অবস্থা আরও সংকটজনক হয়ে উঠেছিল৷ চিকিৎসকরাও জানিয়ে দেন, যে কোনও মূহূর্তে পরিস্থিতি খারাপ হতে পারে৷ তাই তাঁকে মঙ্গলবারই লাইফ সাপোর্ট সিস্টেমে রাখা হয়৷ বুধবার থেকে বন্ধ হয়ে যায় বাজপেয়ীর শরীরের বেশিরভাগ অঙ্গের কাজ৷ ভেন্টিলেশনে চলে যান তিনি৷ পরিস্থিতি খারাপ শুনে তখনই হাসপাতালে পৌঁছন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী৷ বিজেপির অন্য নেতারাও রাতেই পৌঁছন৷
বাজপেয়ীর অবস্থা মিনিটে মিনিটে খারাপ হতে থাকে৷ সকাল থেকে বিজেপি ছাড়াও অন্য রাজনৈতিক দলের নেতারা পৌঁছন৷ দুপুরে যান প্রধানমন্ত্রী৷ তার কিছু পরেই বাজপেয়ীর প্রয়ানের খবর জানানো হয় হাসপাতালের তরফে৷
তাঁর প্রয়াণের সঙ্গেই শেষ হল এক বর্ণময় রাজনৈতিক চরিত্রের৷ যিনি ভারতের প্রথম অংকগ্রেসি প্রধানমন্ত্রী যিনি পূর্ণসময়ের জন্য ক্ষমতায় থাকতে পেরেছিলেন৷ একই সঙ্গে তিনি বেনজির ভাবে ১৯৯৬ সালে মাত্র ১৩ দিনের জন্য প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন৷ তবে এর পরও তিনি দু’বার প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন৷ একবার তেরো মাস৷ শেষবার পূর্ণ সময়ের জন্য ছিলেন৷
তাঁর আমলেই ২৪ বছর পর ভারতে পরমাণু পরীক্ষা হয়৷ রাজস্থানের পোখরানে পর পর ৫টি পরমাণুর পরীক্ষামূলক বিস্ফোরণ হয়৷ ১৯৭৪ সালের পর ফের ১৯৯৮ সালে দেশে পরমাণুর পরীক্ষা, যা পোখরান-২ নামেই পরিচিত৷
১৯৯৯ সালে তৃতীয়বার ক্ষমতায় এসে জাতীয় সড়ক উন্নয়ন প্রকল্প ও প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনা বাজপেয়ীর সবচেয়ে বড় উন্নয়নমূলক পদক্ষেপ৷ যা ভারতের সড়ক যোগাযোগে কার্যত বিপ্লব ঘটিয়েছে৷ সেই ‘বিপ্লবী’ই চলে গেলেন৷
Posted ৬:১৪ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১৬ আগস্ট ২০১৮
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta