কক্সবাংলা ডটকম(১০ মে) :: ভারত আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে জঙ্গিবিমান মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ মালাক্কা, সান্দা ও লুমবুক ও ওমবাই ওয়াটার প্রণালী এবং ভারত মহাসাগরের পূর্বাঞ্চলে ভারতের নিয়ন্ত্রণ জোরদার অংশ হিসেবে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শীর্ষস্থানীয় সূত্র টাইমস অব ইন্ডিয়াকে এ তথ্য জানিয়েছে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এই প্রথম আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে জঙ্গিবিমান মোতায়েন করা হচ্ছে।
ভারত মহাসাগর ও দক্ষিণ চীন সাগরকে সংযোগকারী মালাক্কা, সান্দা ও লুমবুক প্রণালীগুলো সংকীর্ণ মহাসাগরীয় পথ। এসব সরু প্রণালী দিয়ে বিশ্বের মোট বাণিজ্যের ৭০ ভাগ পণ্য ও জ্বালানি পরিবহন করা হয়।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পরমাণু সাবমেরিনসহ অনেক বেশি চীনা রণতরী ও সাবমেরিন ওইসব এলাকায় দেখা গেছে।
ভারত এখন ওই এলাকায় চীনা তৎপরতার ওপর নজরদারি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তারা ওই অঞ্চলে চীনা রণতরী প্রবেশ করা মাত্র তথ্য পাওয়ার ব্যবস্থা করছে।
আন্দামান দ্বীপপুঞ্জ বিশাল এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা অনেকগুলো দ্বীপের সমন্বয়ে গঠিত। মোদি সরকার এসব দ্বীপকে সামরিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করার উদ্যোগ নিয়েছেন।
চীন ও ভারত তাদের ৩,৪৮৮ কিলোমিটার দীর্ঘ অচিহ্নিত সীমান্ত এলাকায় উত্তেজনা প্রশমনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং অনানুষ্ঠানিক বৈঠক করার পর আন্দামান ও নিকোবর আইল্যান্ডে নিরাপত্তা জোরদার করার সিদ্ধান্ত নিলো ভারত।
ভারতীয় নৌবাহিনী ওই এলাকায় প্রায় ১৯টি বড় আকারের রণতরী মোতায়েন করেছে। এছাড়া রণতরী মেরামত ও অন্যান্য প্রয়োজন পূরণ করার জন্য দুটি ভাসমান ডকও তৈরি করেছে।
এক সিনিয়র নৌবাহিনী কর্মকর্তা বিষয়টি ব্যাখ্যা করে বলেন, মূল ভূখণ্ডে রণতরী মেরামতের জন্য ডকইয়ার্ড রাখার দরকার নেই। এখানেই এগুলোর বেশি প্রয়োজন।
ওই কর্মকর্তা বলেন, ভারতের শক্তি প্রদর্শনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সীমান্ত চৌকি হতে পারে আন্দামান। সামরিক প্রয়োজন পূরণের জন্য ক্যাম্পবেল বেতে এয়ারস্ট্রিপ সম্প্রসারণ করা হচ্ছে। এখানে আরো ভারী বিমান অবতরণ করতে পারবে। কার নিকোবর এয়ারবেজে রাশিয়ার তৈরি এমআই১৭ভি৫ হেলিকপ্টার মোতায়েন করা যাবে।
Posted ৬:৫৯ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১০ মে ২০১৮
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta