কক্সবাংলা ডটকম(২৬ ডিসেম্বর) :: স্পর্শকাতর চীন সীমান্তের কাছে উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসামে দীর্ঘতম রেল-সড়ক সেতু উদ্বোধন করেছে ভারত।
মঙ্গলবার উদ্বোধনী শোভাযাত্রা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ব্রহ্মপুত্র নদীর ওপর নির্মিত বোগিবেল সেতু পাড়ি দেন।
৪ দশমিক ৯ কিলোমিটার দীর্ঘ সেতু দিয়ে ট্রেন চলার পাশাপাশি এর সড়কের ওপর অবতরণ করতে পারবে যুদ্ধবিমান।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, প্রায় দুই দশক ধরে ৮০ কোটি মার্কিন ডলার ব্যয়ে নির্মিত হয়েছে এই সেতুটি। এনিয়ে ব্রহ্মপুত্র নদীর ওপর ছয়টি সেতু নির্মাণ সম্পন্ন করলো ভারত। ২০১৭ সালের মে মাসে আসামের পূর্বাঞ্চলীয় তিনসুকিয়া জেলায় ব্রহ্মপুত্র নদীর ওপর নিজেদের দীর্ঘতম সড়ক সেতু উদ্বোধন করে ভারত। ব্রহ্মপুত্রের দুই পারের দুই অঞ্চলের নামে পরিচিত ধলা-সাদিয়া সড়ক সেতুটি ৯ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ। সেতুটি চালু হওয়ায় আসাম ও চীন সীমান্তবর্তী রাজ্য অরুণাচলের মধ্যে যাতায়াতে সময় কমে যায় পাঁচ ঘণ্টা। পৃথক তিন লেন থাকা সেতুটি দিয়ে চলতে পারে ৬০ টন ওজনের ব্যাটল ট্যাঙ্ক। তবে সেতুটি উদ্বোধনের পরই অরুণাচল প্রদেশে অবকাঠামো তৈরিতে ভারতকে সংযত হতে সতর্ক করে দেয় চীন।
মঙ্গলবার আসামের দিবরুগড় শহরের কাছে নির্মিত বোগিবেল রেল-সড়ক সেতুটি উদ্বোধন করা হয়েছে। এর ফলে দিবরুগড় থেকে অরুণাচল প্রদেশের রাজধানী ইতানগরের মধ্যকার ট্রেন যোগাযোগের দূরত্ব ৭৫০ কিলোমিটার কমে এলো। সেতুটি দিয়ে ভারতের সবচেয়ে ভারী ৬০ টন ওজনের ব্যাটল ট্যাঙ্কও চলতে পারবে। অবতরণ করতে পারবে যুদ্ধবিমান। এই সেতুর ফলে আসাম থেকে অরুণাচল প্রদেশে সামরিক বাহিনীর সরঞ্জাম স্থানান্তর আরও সহজ হবে।
১৯৬২ সালে চীনের সঙ্গে যুদ্ধে অরুণাচল প্রদেশের কিছু অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ হারায় ভারত। স্পর্শকাতর এই সীমান্ত অঞ্চলে যাতায়াত সুগম করতে সামরিক কৌশলগত অবকাঠামো নির্মাণে গুরুত্ব দিয়েছে দেশটি। আসামের জাতীয়তাবাদী কয়েকটি গ্রুপের সঙ্গে উত্তেজনার অবসান ঘটাতে ১৯৮৫ সালের এক চুক্তিতে বোগিবেল সেতু নির্মাণে সম্মতি দেয় ভারত সরকার।
সেতু উদ্বোধনের সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, বোগিবেল সেতু শুধু কোনও সাধারণ সেতু নয়, এটা আসাম ও অরুণাচলের লাখ লাখ মানুষের লাইফলাইন।
Posted ৩:১১ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০১৮
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta