সেনাবাহিনীকে শক্তিশালী করতে বেশ কয়েক বছর আগেই ভারতের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছে ইজরায়েল৷ গালিল, নেগেভ এবং B-300 অ্যান্টি ট্যাংকের মত শক্তিশালী রকেট রয়েছে ভারতের কাছে৷ এছাড়া ইজরায়েলের হাত ধরেই ভারতে এসেছে ইজরায়েলি তেভর অ্যাসল্ট রাইফেল৷

শুধু দেশের কম্যান্ডো ইউনিটই নয়৷ শক্তিশালী করা হয়েছে ভারতের এয়ারফোর্সকেও৷ সৌজন্যে ইজরায়েল৷ ভারতের Il-76 এয়ারক্রাফ্টে মোতায়েন করা হয়েছে ইজরায়েলি ফ্যালকন AWACS সিস্টেম৷ যা ভারতের বায়ুসেনাকে বেশ কিছুটা শক্তিশালী করেছে৷ এই বিশেষ সিস্টেমটি ৫০০কিলোমিটার দূর থেকে শত্রুপক্ষের যেকোনও মিসাইলকে চিহ্নিত করে ধ্বংস করে দিতে পারে৷

ভারতের সেনাবাহিনীর কাছে রয়েছে ৮হাজার স্পাইক অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক গাইডেড মিসাইল এবং ৩২০টি লঞ্চার৷ প্রতি বছর ১০০কোটি ডলারের অস্ত্র কেনে ভারত৷ ইজরায়েলের কাছ থেকে বেশ কিছু হেরন এবং আননেমড এরিয়াল ভেহিকল(UAV) কিনেছে ভারত৷ যেগুলি শত্রুপক্ষের উপরে নজরদারি চালাবে৷

প্রসঙ্গত, সার্জিক্যাল স্ট্রাইক, অ্যান্টি-হাইজ্যাকিংয়ের জন্য তেভর একটি গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র৷ ২০০৬সালে ভারতে আসে ইজরায়েলি তেভর অ্যাসল্ট রাইফেল৷ বেশ কয়েকবছর ধরে ইজরায়েলই এই রাইফেল ভারতে পাঠালেও বর্তমানে এটি ভারতেই তৈরি হয়৷

গত নভেম্বরে রাফায়ালের থেকে অ্যান্টি ট্যাঙ্ক গাইডেড মিসাইল কেনার ৫০০মিলিয়ন মার্কিন ডলারের চুক্তি বাতিল করেছে ভারত৷ বিপুল অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে ইজরায়েলের কাছ থেকে ১৬০০টি স্পাইক অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক গাইডেড মিসাইল কেনার কথা ছিল৷ কিন্তু সেই চুক্তি চূড়ান্ত হওয়ার পরই হায়দরাবাদে মিসাইল ম্যানুফ্যাকচারিং কারখানায় কল্যাণী গ্রুপের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে মিসাইল তৈরির প্রক্রিয়া শুরুও হয়৷ কিন্তু সেই সময় DRDO-র তরফে জানানো হয়, আগামী চার বছরের মধ্যে ইজরায়েলের সহায়তা ছাড়াই ভারত এটি বানাতে পারবে৷ সেই কারণেই এই চুক্তি বাতিল করা হয়৷

ছ’দিনের সফরে ভারতে এসেছেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানইয়াহু৷ ‘প্রিয় বন্ধু’র আগমনে সমস্ত প্রোটকল ভেঙে দিল্লি বিমানবন্দরে হাজির হয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী৷ এই ছয়দিনের সফরেই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নিয়েও আরও বিশদে আলোচনা হতে চলেছে বলে আশা করা হচ্ছে দুই দেশের মধ্যে৷