বিশেষ প্রতিনিধি(৩১ জুলাই) :: সম্প্রতি বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ হয় ত্যাগি নেতাদের মূল্যায়ন ও মন্ত্রী পরিষদের রদবদলের বিষয়টি। এ দুটি বিষয়ে কিছুদিন ধরে সরব আলোচনা চলছে। বর্তমান ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের ত্যাগি, প্রবীণ নেতাদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে এবং পাশাপাশি মন্ত্রীসভার রদবদলও করতে পারে এমন খবর সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে।
জানা গেছে, ইতিমধ্যে আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতা-কর্মীকে মূল্যায়ন করার জন্য তাঁদের নাম-ঠিকানা চেয়ে দলের জেলা, উপজেলা ও মহানগর কমিটির সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। দলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সই করা ওই চিঠি পাঠানো হয় গত ৩ জুলাই।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, কিছু পাওয়ার আশা না করেই একসময় আওয়ামী লীগ বা এর সহযোগী সংগঠনের জন্য যাঁদের রক্ত, সময়, শ্রম, অর্থ, সহায়-সম্পদ ব্যয় করেছেন এমন হাজারো ত্যাগী নেতা-কর্মী রয়েছেন দেশের অন্যতম প্রাচীন এই দলের তৃণমূলস্তরে।
সূত্রে আরো জানা গেছে, সারা দেশে আওয়ামী লীগ এবং এর ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের ত্যাগি, প্রবীণ, অসুস্থ, অসহায় নেতা-কর্মীদের নামের তালিকা করে ধানমন্ডিতে দলীয় সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলের নির্যাতিত, নির্লোভ, নিবেদিতপ্রাণ ত্যাগি নেতাদের মূল্যায়ন করার ব্যাপারে খুব কঠোর মনোভাব পোষন করছেন।
এমন অনেক নেতা পড়ে আছে দেশের অনেক প্রান্তে। যারা জীবনের চেয়েও দল ও কর্মীর সেবাই নিয়োজিত। ঠিক তেমনি কক্সবাজার জেলায়ও বহু ত্যাগি নেতা রয়েছেন। এদের অনেকে আজ অবহেলিত। তাদের মাঝে একজন কামাল হোসেন চৌধুরী। যিনি হচ্ছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অত্যন্ত ঘনিষ্ট সহচর।
কক্সবাজার জেলার রাজনীতিক অঙ্গনের পরিচ্ছন্ন, প্রবীণ রাজনীতিবিদ, তিনি প্রথম স্বশস্ত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সংগঠক, জেলা জয় বাংলা বাহিনী ৭১ এর প্রধান। তিনিই কক্সবাজারে প্রথম বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতা ঘোষক ও কক্সবাজারের প্রথম স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলনকারি। যিনি বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে কক্সবাজারে প্রথম পাকা শহীদ মিনার নির্মান ও উদ্ধোধন করেন। রাজনৈতিক অঙ্গনে যার বিশাল ভূমিকা রয়েছে।
অপরদিকে কামাল হোসেন চৌধুরীর ধর্ম, শিক্ষা, রাজনীতি, সংস্কৃতি, ক্রীড়া ও সামাজিক ইতিহাসের খতিয়ান খতিয়ে জানা যায়, তিনি কক্সবাজার সদর আওয়ামী লীগ, জেলা ছাত্রলীগ (১৯৬২), যুবলীগ, কৃষক লীগসহ বহু সংগঠনের প্রতিষ্টাতা সভাপতি, চেয়ারম্যান, আহবায়ক ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। যাকে জেলা যুবলীগের সম্মেলনের সময় জামাত-শিবিররা নির্মম ভাবে আহত করে, মুর্মুর্ষ অবস্থায় সুদূর ভারতে গিয়ে সুফল চিকিৎসা করেন।
তিনি কক্সবাজার সরকারী কলেজের প্রথম নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক, সাবেক বৃহত্তর চট্টগ্রাম ছাত্রলীগের সিনিয়র সহ সভাপতি ও ভারপ্রাপ্ত সভাপতি, প্রাক্তন জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ জাতীয় কমিটির প্রভাবশালী সদস্যদের দায়িত্ব পালন করেন, সাহিত্যিকা মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও সাহিত্যিকা উচ্চ বিদ্যালয়, চাঁদেরপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কলেজসহ ৫০টির বেশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা (ব্যক্তিগত উদ্যোগে)।
উল্লেখ্য, ১ম বিরোধী দলে থাকা অবস্থায় কক্সবাজার সফরকালে বতর্মান প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে সাহিত্যিকা মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয় ও হাইস্কুল মিলে সবংর্ধনা প্রদান করা হয়।
প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান জেলা রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি, প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক আর্টস কাউন্সিল (বর্তমান শিল্প একাডেমী)। অপরদিকে তিনি সরকারি ভাবে জেলার একবার শ্রেষ্ঠ সভাপতি ও দু’বার সেরা শিক্ষানুরাগী পুরষ্কারপ্রাপ্ত।
এ ছাড়াও তিনি ধর্ম, শিক্ষা, ক্রীড়া, সাহিত্য-সংস্কৃতি, রাজনীতিক ও সামাজিক ভাবে বিশেষ অবদান রাখেন। এখনো নিস্বার্থ ও উদার মনে কাজ করে যাচ্ছেন। তাই জেলাবাসী জীবনের শেষ প্রান্তে এসে দলের প্রধানের কাছে তাঁকে সম্মানিত করার আহবান জানান। এমন ত্যাগি, দক্ষ, যোগ্য ব্যক্তিকে মন্ত্রীসভায় স্থান দেওয়ার জন্য আশাবাদ ব্যক্ত করেন জেলার সর্বস্থরের জনগন।
Posted ৬:১৩ অপরাহ্ণ | সোমবার, ৩১ জুলাই ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta