এম রমজান আলী মহেশখালী(১০ নভেম্বর) :: মহেশখালীতে ‘মোরায়’ আক্রান্ত জনবলের জন্য এনজিও কর্তৃক বরাদ্বকৃত প্রায় ১ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার পায়ঁতারা করছে ‘মুক্তি’ নামক এনজিও’র মহেশখালী প্রকল্প সমন্বয়কারী আব্দুল আউয়াল।
সম্প্রতি ঘুর্ণিঝড় ‘মোরায়’ আক্রান্ত মহেশখালীর অসংখ্য জনবলের মধ্যে বাছাই করতঃ ২য় পর্বের দিকে কুতুবজোমে-২২৫, পৌরসভায়-১৫০ মাতারবাড়িতে ৫০০ জনকে জনপ্রতি ৮০০০ হাজার টাকা করে এনজিও ‘এসিএফ’ এর ফান্ড ‘মুক্তি’ নামক এনজিও তাদের নিজস্ব ষ্টাফ দিয়ে ‘মোরায়’ আক্রান্তদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রাথমিক তালিকা চুড়ান্ত করার পর তালিকা তাদের প্রতিটি অফিসে টাংঙ্গিয়ে দিয়েছে।
কিন্তু ‘মুক্তি’ নামক এনজিও’র মহেশখালী উপজেলা প্রকল্প সমন্বয়কারী আব্দুল আউয়াল এনজিও’র উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অগোচরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও এলাকার কিছু চিহ্নিত বখাটেদের সাথে গোপন আতাঁত করে প্রায় কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার পায়ঁতারা চালাচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ‘মুক্তি’ নামক এনজিও’র এক ফিল্ড কর্মী জানান, আমরা এত কষ্ঠ করে আক্রান্তদের প্রতিটি বাড়ি বাড়ি গিয়ে তালিকা করেছি কিন্তু দূর্ণীতিবাজ পিসি আব্দুল আউয়াল বরাদ্বকৃত টাকা গুলি লুটপাট করে খাওয়ার জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও এলাকার কিছু চিহ্নিত বখাটেদের সাথে গোপন আতাঁত করে আমাদের সরেজমিনে করা তালিকাটি বাদ দিয়ে নতুন করে আরেকটি ভুয়াঁ তালিকা তৈরী করেছে বিষয়টি আমরা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি।
এ ব্যাপারে এনজিও ‘মুক্তি’র নির্বাহী পরিচালক বিমল চন্দ্র দে সরকার জানান, কিছু অনিয়মের বিষয় শুনেছি আর প্রতিটি এলাকায় আমাদের অভিযোগ ইনবক্স আছে সেখানে ও অভিযোগের বিষয়টি দেওয়া যাই। আর অভিযুক্ত পিসি আব্দুল আউয়াল কে আজকেই সাসপেন্ড করে দেব।
অর্থদাতা সংস্থা ‘এসিএফ’ মহেশখালী উপজেলা ইনচার্জ মিলকি চৌধুরী জানান, অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করা হবে দোষী প্রমানিত হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অভিযুক্ত ‘মুক্তি’ নামক এনজিও’র পিসি আব্দুল আউয়াল জানান, ‘মোরায়’ আক্রান্ত জনবলের তালিকায় কিছুটা সমস্যা আছে বিষয়টি এনজিও’র উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আবুল কালাম কে জানাবেন না প্লিছ।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আবুল কালাম জানান, অনিয়মের বিষয়টা জানিনা খোঁজ খবর নিয়ে দেখব দোষী প্রমানিত হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আরো বিস্তারিত পরবর্তী রির্পোটে আসছে।
