এম রমজান আলী,মহেশখালী(৯ আগষ্ট) :: সারা দেশে এক নামে খ্যাত মহেশখালীর মিষ্টি পান। মিষ্ঠি পানের চড়া মুল্য পাওয়ায় চাষীদের মুখে অট্রহাসি। গত সেশনে প্রবলবৃষ্টির ফলে পাহাড়ী ঢল ও লবনাক্ত পানি এবং বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে অসংখ্য পানের বরজ নষ্ট হয়ে চাষীদের লক্ষ লক্ষ টাকা ক্ষতি হয়ে গেলে ও পরবর্তী সময়ে পানের চড়া দাম পাওয়ায় চাষীরা সাময়িক সময়ের জন্য স্বাবলম্বী হয়ে ছিল। কিছুদিন যেতে না যেতেই আবারো পানের চড়া মুল্য পেয়ে যাচ্ছে।
চাষীদের তথ্যমতে, মহেশখালীতে দুই ধরনের জায়গায় পান চাষ হয় তৎমধ্যে একটি পাহাড়ে অপরটি বিলে। ১ ভার পানের বরজ সম্পূর্ণ করতে প্রায় ৮ হাজার টাকা প্রয়োজন হয় পাহাড়ী বরজ ১-৩ বছর স্থায়ী হয় অপরদিকে বিল বরজ ৫-৮ মাস পর্যন্ত স্থায়ী হয়।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, মহেশখালীতে প্রায় ১৪শ হেক্টর জমিতে পান চাষ হয়। গেল বছরে প্রবল বৃষ্টির ফলে প্রায় ৫০০/৭০০ হেক্টরের পান বরজ নষ্ট হলে ও চাষীরা উন্নত প্রযুক্তি পথ অবলম্বন ও প্রচুর কষ্টের বিনিময়ে সাময়িক ভাবে স্বাবলম্বী হয়ে ছিল।
চাষী ছৈয়দ কবির জানান, মহেশখালীর প্রধান আয়ের উৎস পান চাষ, ১২ মাসই চাষ হয়, চাষীদের পান চাষের ব্যাপারে পর্যাপ্ত পরিমানে অভিজ্ঞতা থাকলে ও আর্থিক ভাবে সমস্যা থাকার কারনে তেমন কোন সফল হতে পাচ্ছে না যদি সরকারী ভাবে আর্থিক সহযোগীতা পেয়ে থাকে চাষীরা স্বাবলম্বী হয়ে উঠবে। গেল বারে বাংলাদেশ ব্যাংকে বিভিন্ন তদবির করে চাষীদের যে ঋন দেওয়া হয়েছিল তা প্রকৃত পক্ষে কোন চাষীরাই ঋন পায়নি।
আর যারা নামে-বেনামে পান চাষী সেজেঁ ব্যাংকে ফাইল জমা দিয়ে ঋন গ্রহন করেছে তাদের বিরোদ্ধে তড়িৎ গতিতে ব্যবস্থা নিয়ে প্রকৃত পান চাষীদের ঋন দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানাচ্ছি।
পান চাষী সমিতির উপজেলা সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম জানান, বিগত বর্ষা সেশনে পান চাষ করে আমরা অত্যন্ত ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছি। মোটামুটি ভাবে এখন ক্ষতির দিকটা কেটে উঠলে ও স্বয়ং সর্ম্পুন হতে পারেনি সেই দিকে চিন্তা করে সরকারী ভাবে প্রকৃত পান চাষী দের সহজ শর্তে ঋন প্রদান করলে আমরা আরো উপকৃত হব।
মহেশখালীর মিষ্টি পানের ক্বদর কত বুঝাতে গিয়ে চট্টগ্রামের আঞ্চলিক গানের শিল্পী শেফালী ঘোষের কন্ঠে-সুন্দর এখক্কান মুখ পাইতাম…..মহেশখালীর মিষ্টি পানের খিলি তারে বানাই খাওয়াইতাম……..।
Posted ১১:০৫ অপরাহ্ণ | বুধবার, ০৯ আগস্ট ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta