বার্তা পরিবেশক(৬ নভেম্বর) :: মহেশখালীর কালারমারছড়া ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে মঙ্গলবার সকাল ১১ টায় ও বিকাল ৩ টায় বদরখালী ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে বন্দর উন্নয়ন প্রকল্প আলোচনা সভায় সংযোগ সড়ক নির্মাণের জন্য Roads & Highway এর উদ্যোগে অধিকৃত ক্ষতিগ্রস্থ জমির মালিকদের সাথে জাইকা প্রতিনিধি দলের সাথে এক বিশেষ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কালারমারছড়ার জাইকা প্রকল্পে অধিগৃহীত ক্ষতিগ্রস্থ ১৬ পরিবার ও বদরখালীর ৩০ পরিবার, জাইকার সার্ভে টিমের কোর্ডিনেটর ইঞ্জি সায়েদ আকতার , RHD এর ডিপিএম , জায়েকার রি-সেটলমেন্ট বিভাগের হুমায়ন কবির, জাইকার প্রতিনিধি দল , কালারমারছড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তারেক বিন ওসমান শরীফ। ক্ষতিগ্রস্থ জমির মালিকের পক্ষ থেকে বক্তব্য দেন মীর হোসেন, মাষ্টার ফরিদ, এরফান হোছাইন ও অন্যানবৃন্দ।
একজন ভোক্তভোগী জমির মালিক মীর হোসেন তার বক্তব্যে বলেন – “ মহেশখালী কয়লা প্রকল্প, রেল লাইন প্রকল্প, মাতারবাড়ী বিদ্যুৎ প্রকল্প ও জাইকা প্রকল্পের কারণে আমরা যেন গরীবের বউ কেননা যেখানে আমাদের ক্ষতিপূরণ ১০০% সঠিকভাবে পাওয়ার কথা সেখানে ১৫% – ৬০% সিংহভাগ তৃতীয় পক্ষ/দালাল এর কাছে চলে যায়। “
এছাড়া কালারমারছড়া ক্ষতিগ্রস্থ ভূমি মালিকদের পক্ষ থেকে ইংরেজিতে বর্তমান সার্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে এরফান হোছাইন জাইকা প্রতিনিধিদল ও RHD সুনজর দৃষ্টি আকর্ষণ করে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট তুলে ধরেন ।
-ক্ষতিগ্রস্থ জমির মালিকদের যথাযথ ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ক্ষেত্রে যেন হয়রানির স্বীকার না হন তার নিশ্চয়তা প্রদান।
-জাইকা প্রকল্পে স্থানীয়দের চাকুরীর নিশ্চয়তা প্রদান যেন তাদের জীবননির্বাহ যেন কক্সবাজারে অবস্থানরত উখিয়া-টেকনাফের রোহিঙ্গা শরনার্থীর মত না হয় পাশাপাশি তাদের স্বাবলম্বী করে তুলতে ভোকেশনাল ট্রেনিং প্রদান করা।
উক্ত আলোচনা সভার সভাপতি তারেক শরীফ বলেন – “ ক্ষতিগ্রস্থ জমির মালিকদের সরানোর আগে তাদের জন্যে আগে রি-সেটলমেন্টের গ্যারান্টি দেওয়া অত্যাবশ্যক “
আলাচনার সভার এক ফাকে জাইকা প্রতিনিধিদল গভীর সমুদ্র বন্দরের প্রবেশ রোড় তৈরী করার জন্যে ক্ষতিগ্রস্থ স্থানীয়দের কাছ থেকে জমি অধিগ্রহণের অনুমতি চাইলে সাথে সাথে উপস্থিত জমির মালিকরা ভেটো দেন। কেন এর প্রতিউত্তরের তারা বলেন “পূর্বের বিভিন্ন কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্প, গ্যাস লাইন প্রকল্প সহ বিভিন্ন প্রকল্পে জমির মালিকরা বিভিন্নভাবে হয়রানির হয়রানির স্বীকার হন ও বিভিন্ন অনিয়মের মূখে সঠিকভাবে ক্ষতিপূরণ পায়নি বলে জানান।
উপস্থিত সকলে জাইকা কতৃপক্ষকে কালারমারছড়ার বাসিন্দা নিজের জন্মভূমিতে লালায়িত এক টুকরো স্বপ্নের বাড়ী থেকে উচ্ছেদ না করে রোড় তৈরী করার জন্যে তাদের অন্য চাষাবাদ এর জায়গা ব্যবহার করার আকুল আবেদন জানান।
পরিশেষে , সবার মতবিনিময়ের সাপেক্ষে জাইকা প্রতিনিধিদল ক্ষতিগ্রস্থ জায়গার পর্যাপত মূল্য, চাকুরী ও রি-সেটলমেন্টসহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধা প্রদান করা ও মাঠ পর্যায়ে ক্ষতিগ্রস্তদের সুষ্ঠভাবে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আশ্বাস দেন।
কালারমারছড়া প্রোগাম শেষে জাইকা প্রতিনিধিদল বিকাল ৩ টায় বদরখালী ইউনিয়ন পরিষদে ঘর ও জমির মালিকের সাথে মতবিনিময় সভা করেন। উক্ত সভায় বদরখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খাইরুল বশর, বদরখালী সমিতির সেক্রেটারি এ কে এম ইকবাল বদরী, ঘরবাড়ী ক্ষতিগ্রস্থ এর পক্ষ থেকে ফাহিম ও হামিদ বক্তব্যকালে বলেন ,জাইকার অদিকৃত প্রতি একর জায়গার ৫ কোটি টাকা দাবি করলে জাইকা সাথে সাথে তা প্রদানে সম্মতি প্রদান করেন ও জরিমানা প্রদানের ক্ষেত্রে যেন ভোক্তভোগীরা হয়রানির সম্মুখীন না হন তা আশ্বাস দেন।
Posted ১:২৭ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ০৭ নভেম্বর ২০১৮
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta