এম রমজান আলী মহেশখালী(১৪ ফেব্রুয়ারী) :: মহেশখালী শ্রী শ্রী আদিনাথ শিব চতুর্দশী পুজা ও মেলায় দর্শনার্থীদের প্রচন্ড ভিড় ১৩ ফেব্রুয়ারী থেকে শুরু হওয়া ২০ ফেব্রুয়ারী ৮দিন ব্যাপী মেলায় ২য় দিনে দর্শনাথীদের ভিড় জমেছে। অন্যান্য বছরের চাইতে এ বছরে সু-শৃঙ্খল ভাবে সুষ্ট, সুন্দর ভাবে পুজা ও মেলা পালিত হচ্ছে।
উপ-মহাদেশের হিন্দু ধর্মীয় তীর্থস্থান মহেশখালী উপজেলার মৈনাক পর্বতের আদিনাথ মন্দিরে এই পূজাকে কেন্দ্র বিশাল এলাকা জুড়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের মেলায় বিভিন্ন স্থান থেকে হাজার হাজার ভক্তরা এই পূজায় অংশগ্রহণ করেছে।
মেলার দ্বিতীয় দিনে সকাল হতে সন্ধ্যা পর্যন্ত উপচেপড়া ভিড়ের মধ্যে তীর্থযাত্রীরা শিবব্রত পালনে ব্যস্ত সময় অতিবাহিত করেছেন। মঙ্গলবার রাতে তিথি শুরুর সময় হতে হাজার হাজার তীর্থযাত্রী মানুষসৃষ্ট জ্যামের মধ্যেও আদিনাথ মন্দিরে উঠেন এবং শিবব্রত পালন করেন। উপরে উঠার সরু ঝুঁকিপূর্ণ পথে তীর্থযাত্রীরা ৪ ঘণ্টা আটকা পড়ে সীমাহীন কষ্ট ভোগ করেন।এছাড়া মহেশখালী শ্রী শ্রী গঙ্গা মন্দির (ব্যাস) কুন্ড মহাশশ্বানে দর্শনার্থীদের ভিড়ে টিলের ঠাঁই নাই।
জানা গেছে,মেলায় সার্বিক তত্বাবধানে ছিলেন মেলা সুপার ভাইজিং কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আবুল কালাম, মেলা সুপার সহকারী কমিশনার (ভুমি) হাসান মারুফ, উপদেষ্ঠা এ.এস.পি সার্কেল শ্রী বাবু রতন দাশগুপ্ত, প্রধান সমন্বয়কারী ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, মেলা সুপার ভাইজিং কমিটির সাধারণ সম্পাদক বাবু শান্তি লাল নন্দি, যুগ্œ সম্পাদক বাবু প্রনব কুমার দে, সহ মেলা সুপার তপন কান্তি দে, স্বেচছাসেবক প্রধান বাশিঁ রাম দে, অর্থ সম্পাদক যীশু চৌধুরী, সহ-সভাপতি শশাংক মোহন দে, সহ-সভাপতি বসন্ত কুমার দে, সহ সমন্বয়কারী চিত্ত রঞ্জন দে, সহ মেলা সুপার পথিক চন্দ্র দে, সহ সমন্বয়কারী উদ্বব দাশ, সহ সম্পাদক কাউন্সিলর রতন কান্তি দে, সহ সম্পাদক কাউন্সিলর সনজিত চক্রবর্তী, সহ সেচ্ছাসেবক প্রধান বিপিন দে, বাবুল দে, সনজিত দে, স্বপন দে, সহ অর্থ সম্পাদক সুমেশ দে, সদস্য যথাক্রমে-অধীর চন্দ্র দে, সুবল শর্মা, তুষার কান্তি দে, মদন দে, পরিমল দে, সুব্রত দত্ত, রাজু মোহন দে, অসীম দে, নির্মল চক্রবর্তী, অধ্যাপক আশীষ চক্রবর্তী, শান্তি পদ দে, প্রিয়তোষ দে, নেপাল দে, অসীম দে, অরুণ চন্দ্র সুশীল, নিপেন্দ্র দে, সুজিত কুমার দে, শম্ভু চরন দে, তপন কান্তি দে, দুলাল দে, সুজিত দে, বাদল দে, সন্তোষ দে, সুজন শীল সহ কমিটির অন্যান্য নেতৃবৃন্দ প্রশাসন ও সর্বস্থরের লোকজন দায়িত্ব পালন করেন
এছাড়া ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আনসার বিডিপি) শাপলাপুর দলপতি মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, বড় মহেশখালী দলনেতা আলমগীর কবির আজাদ, হোয়ানক দলনেতা মো. বাবুল, পৌর দলনেতা ছালামত উল্øাহ, ছোট মহেশখালী আব্দু শুক্কুর, শাপলাপুর ফিরোজ, ছোট মহেশখালী হাফেজা ও মুবিনা প্রমুখ।
উক্ত মন্দির ও মেলা সার্বিক তত্বাবধায়ক ছিলেন শ্রী শ্রী গঙ্গা মন্দির (ব্যাস) কুন্ড মহাশশ্বানের প্রতিষ্ঠাতা শ্রী বাবু রামহরী দাশ।
মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ জানান, পুলিশ সর্বাত্তক সহযোগিতায় ও নিরপত্তা দিতে আমরা প্রস্তুত।
Posted ২:০৭ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta