সোমবার ১৭ই জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৩রা আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম

সোমবার ১৭ই জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম

‘মাস্টারমাইন্ড’ শাহিন ও কিলার মোস্তাফিজ-ফয়সাল কি ধরা পরবে?

শনিবার, ২৫ মে ২০২৪
14 ভিউ
‘মাস্টারমাইন্ড’ শাহিন ও কিলার মোস্তাফিজ-ফয়সাল কি ধরা পরবে?

কক্সবংলা ডটকম(২৫ মে) :: ঝিনাইদহ-৪ আসনের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য (এমপি) আনোয়ারুল আজীম আনারকে হত্যার ঘটনায় বাংলাদেশ এবং ভারত দুই দেশেই আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। এমপি আনারকে যেভাবে হত্যা করা হয়েছে এবং এরপর লাশ গুম করার তথ্য জানা যাচ্ছে, তা সিনেমার নৃশংসতাকেও হার মানিয়েছে।

হত্যাকান্ডের পর আনারের মরদেহ থেকে হাড় ও মাংস আলাদা করে টুকরো টুকরো করে গুম করার ভয়াবহ বর্ণনা দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গে গ্রেপ্তার হওয়া কসাই জিহাদ হাওলাদার। তিনিসহ দুজনকে মুম্বাই থেকে ভাড়া করা হয়েছিল ১ কোটি টাকায় (ভারতীয় এক কোটি রুপি)। এ খুনের ঘটনায় মূল পরিকল্পনাকারী মাস্টারমাইন্ড হিসেবে এমপি আনারের বন্ধু ও ব্যবসায়িক পার্টনার আক্তারুজ্জামান শাহিনের নাম আসছে।

তদন্তসংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান, এমপি আজীম হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী আখতারুজ্জামান শাহীন সবকিছু ঠিকঠাক করে দিয়ে কলকাতা ত্যাগ করেন। এমনকি ১০ মে বাংলাদেশে আসার আগে কলকাতায় হত্যার সরঞ্জাম কিনে দেন তিনি। হত্যা মিশনের নকশা বেয়াই শিমুল ভূঁইয়াকে বুঝিয়ে দেন তিনি। এর পর শিমুল তাঁর ভাড়াটে খুনি দিয়ে ‘কিলিং মিশন’ সম্পন্ন করেন। এরপর ‘কাট-আউট’ পদ্ধতি ব্যবহার করে লাশের টুকরো গায়েব করা হয়। আজীমকে হত্যার পর লাশের টুকরো দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার একটি খালে ফেলা হয়েছে। তবে গায়েব করা লাশের টুকরো পাওয়া নিয়ে দেখা দিয়েছে সংশয়।

তদন্ত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কোনো প্রমাণ না রাখতেই হত্যার পর এমপি আজীমের লাশ টুকরো টুকরো করা হয়।এমপি আজীমের সঙ্গে ব্যবসায়িক মিটিংয়ের কথা বলে তাঁকে কলকাতায় যেতে বলেন শাহীন। তবে ১০ মে শাহীন দেশে চলে আসার কথা জানতেন না আজীম। আসার সময় শিমুলকে সব দায়িত্ব দিয়ে শাহীন বলেন– কোনো ভুল যেন না হয়। হত্যাকাণ্ডের প্রমাণ যাতে না থাকে।

একটি ফুটেজে ১৩ মে দুপুরে এমপি আজীমকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফ্ল্যাটে ঢুকতে দেখা যায়। এ সময় তাঁর পরনে ছিল কালো প্যান্ট ও সাদা শার্ট। হাতে ছিল কাগজপত্রসহ ফাইল। একই সময় অন্য দু’জন ফ্ল্যাটে ঢোকেন। তদন্তসংশ্লিষ্টরা বলছেন, তাদের একজন হলেন শিমুল ভূঁইয়া ও অন্যজন ভাড়াটে কিলার ফয়সাল।

এদিকে একটি ফুটেজে ওইদিন বিকেল ৫টা ৫ মিনিটে দু’জনকে ফ্ল্যাট থেকে বের হতে দেখা যায়। তাদের একজনের হাতে ছিল একটি সবুজ রঙের বড় ট্রলিব্যাগ। আরেকজনের হাতে কয়েকটি পলিথিন ব্যাগ। তারা লিফটে নামেন। গোয়েন্দারা বলছেন, ওই ব্যাগে ছিল এমপির লাশের অংশ। ব্যাগ নিয়ে নামেন শিমুল ও আরেক ভাড়াটে কিলার জিহাদ।

তদন্তসংশ্লিষ্ট সূত্র বলেছে, গ্রেফতারদের জিজ্ঞাসাবাদে শাহিনের নাম এলেও তিনি দেশের বাইরে আছেন। যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্বপ্রাপ্ত শাহিন খুনের সময় দেশে থাকলেও তিনি বর্তমানে বিদেশে রয়েছেন। এ ঘটনায় তাকে দেশে ফিরিয়ে আনা আদৌ সম্ভব কি না তা নিয়েই এখন প্রশ্ন সবার।

কলকাতার সিআইডি ও বাংলাদেশের পুলিশ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে,স্বর্ণ ব্যবসার বিষয়ে আলোচনার নাম করে এমপি মো. আনোয়ারুল আজিম আনারকে বন্ধু গোপালের বাসা থেকে ডেকে নেয় কিলাররা। ঘাতকরা তাকে রিসিভ করে নিয়ে যায় কলকাতা নিউ টাউন এলাকার সঞ্জীবা গার্ডেনের ডুপ্লেক্স বাসায়। সেখানেই নৃশংসভাবে হত্যা করা হয় এমপি আনারকে। চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকাণ্ডের অন্যতম ঘাতক সিয়াম নেপালে এবং মূল মাস্টারমাইন্ড আক্তারুজ্জামান শাহীন ইতোমধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রে পালিয়েছে।

তবে মোস্তাফিজুর রহমান ফকির এবং ফয়সাল আলী এখনো বাংলাদেশে আছে। এ দুজনের খোঁজে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চলছে। অভিযানের ক্ষেত্রে বাংলাদেশে গ্রেফতার শিমুল ভূঁইয়া ওরফে আমানুল্লাহ এবং ভারতে গ্রেফতার জিহাদের দেওয়া তথ্যকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।

ভারত থেকে ঢাকায় আসা তদন্ত দলের সদস্যরাও গ্রেফতারকৃতদের দ্বিতীয় দিনের মতো জিজ্ঞাসাবাদ করছেন। এতে প্রাপ্ত তথ্য তারা ভারতে পাঠাচ্ছেন। এর ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চলছে। তবে যেভাবে তার মরদেহ কেটে টুকরো করে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে এখন তা উদ্ধারের সম্ভাবনা কম বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। তবে হাড়গুলো পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। হত্যাকাণ্ড থেকে লাশ গুমের পুরো মিশনটি যেন কেউ বুঝতে না পারে সেজন্য কাটআউট পদ্ধতি অবলম্বন করে খুনিরা।

সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে কাটআউট পদ্ধতি ভেদ করার চেষ্টা করছে পুলিশ। ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী শাহীনকে আইনের আওতায় আনতে ইন্টারপোলের সহায়তা চাইতে পারে পুলিশ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা গেলে অনেক প্রশ্নের উত্তর বেরিয়ে আসবে বলে জানা গেছে।

সূত্র জানায়, রিমান্ড প্রাপ্ত তিন আসামির মধ্যে শিমুল ভূঁইয়া ওরফে আমানুল্লাহ পুলিশের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তিনি একেকবার একেক ধরনের কথা বলছেন। ব্যাপক জেরার মুখে রিমান্ডের প্রথমদিন সে হত্যাকাণ্ডের পুরো দায় শাহীনের ওপর চাপিয়েছে। বলেছে, শাহীন তাকে হত্যাকাণ্ডের দায়িত্ব দিয়েছে। সে শুধু মিশনটি বাস্তবায়ন করেছে। শাহীন কেন এটি করেছে তা সে জানে না বলেও ডিবিকে জানায়। ডিবি জানায়, এর আগে আমানুল্লাহর বিরুদ্ধে তিনটি মামলার মধ্যে খুলনার ফুলতলা থানায় একটি হত্যা মামলাও আছে।

এছাড়া যশোর জেলার অভয়নগর থানায় দুটি মামলা আছে। চরমপন্থি এই নেতা নিজের প্রকৃত পরিচয় গোপন করতে দুটি পাসপোর্ট ব্যবহার করে। সবুজ রংয়ের পাসপোর্ট দুটিতে তার প্রকৃত নাম-পরিচয় গোপন করা হয়েছে। এছাড়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিতে তার আইফোনটিতে বাংলাদেশের কোনো সিম ব্যবহার করে না। ইন্দোনেশিয়ান দুটি নম্বরের হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করত এই শিমুল ভূঁইয়া। অপর আসামি তানভীর ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে খুলনা জেলার ফুলতলা থানায় মাদক ও অবৈধ অস্ত্রের দুটি মামলা আছে।

এদিকে ডিবি হেফাজতে আসামিদের দ্বিতীয় দিনের মতো জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ঘটনার তদন্তে বাংলাদেশে আসা ভারতীয় দল। বৃহস্পতিবার প্রথম দফায় এবং শুক্রবার সন্ধ্যায় দ্বিতীয় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে আমানুল্লাহর কাছ থেকে যে তথ্য পাওয়া যাচ্ছে সেই তথ্য সরবরাহ করা হচ্ছে ভারতে। সে অনুযায়ী ভারতের বিভিন্ন স্থানেও অভিযান চালানো হচ্ছে।

ঢাকার তদন্ত সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, এমপি আনারের লাশ উদ্ধার অভিযান অব্যাহত থাকলেও তা উদ্ধার করা সম্ভব হবে কিনা তা নিয়ে সংশয় আছে। এমনকি ভিকটিমের শরীরের মাংস পাওয়ার সম্ভাবনাও ক্ষীণ। কারণ, হত্যার পর এমপির লাশ শুধু টুকরো টুকরো করাই হয়নি। শরীরের হাড় থেকে মাংস আলাদা করা হয়েছে। মাংসগুলো টুকরো টুকরো করে সেখানে হলুদ মিশিয়ে পলিথিনে রাখা হয়। পরে শরীরে টুকরোগুলো বেশ কয়েকটি ট্রলি ব্যাগে করে বাসা থেকে বের করা হয়। ট্রলি ব্যাগগুলো কয়েক দফায় হাতবদল হয়েছে।

তাই এগুলো উদ্ধারে তদন্তসংশ্লিষ্টদের বেশ বেগ পেতে হচ্ছে। ভিকটিমের শরীরের মাংস উদ্ধার করতে না পারলেও হাড় উদ্ধারের বিষয়ে আশা প্রকাশ করেছেন তদন্ত কর্মকর্তারা। তদন্তের অংশ হিসাবে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) ডিবির একটি দল শিগগিরই কলকাতায় যাবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।

সূত্র জানায়, এমপি আনারের ঘনিষ্ঠ বন্ধু হলেও হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড শাহীনের সঙ্গে স্বর্ণ চোরাচালান এবং হুন্ডি ব্যবসাসহ নানা বিষয়ে বিরোধ ছিল। টানাপোড়েন চলছিল আর্থিক লেনদেন নিয়েও। আনার এবং শাহীনের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। ঝিনাইদহের মহেশপুর এবং চুয়াডাঙ্গার দর্শনা গেদে বর্ডার স্বর্ণ চোরাচালানের অন্যতম রুট। এই রুটকে ঘিরেই আনারের সঙ্গে শাহীনের সম্পর্ক। চোরাচালানকে কেন্দ্র করে ২০০৭ সালে একটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনাও ঘটে। ওই মামলায় আনারকে আসামি করা হয়েছিল। পরে তার বিরুদ্ধে চার্জশিটও দেওয়া হয়। এমনকি তার নামে জারি হয়েছিল ইন্টারপোলের রেড নোটিশ। পরে রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারের মাধ্যমে রেড নোটিশ প্রত্যাহার করানো হয়।

সূত্র আরও জানায়, বন্ধু আক্তারুজ্জামান শাহীনের ব্যবসায়িক ক্ষোভ ও পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টির নেতা শিমুল ভূঁইয়া ওরফে আমানুল্লাহর সঙ্গে দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক দ্বন্দ্বই কাল হয়েছে এমপি আনোয়ারুল আজিম আনারের। শাহীন এবং আমানের পরিকল্পনা ঘুণাক্ষরেও বুঝতে পারেননি আনার। তাকে কৌশলে বাংলাদেশ থেকে ডেকে নিয়ে বাস্তবায়ন করা হয় হত্যা মিশন। পরিকল্পনার অংশ হিসাবে শাহীন কলকাতায় যান ৩০ এপ্রিল। শাহীনের কলকাতায় অবস্থানের বিষয়টি এমপি আনারের আগে থেকেই জানা ছিল।

কিন্তু ১০ মে শাহীন যে বাংলাদেশে চলে আসেন, তা আনারকে জানানো হয়নি। বাংলাদেশে আসার সময় শাহীন হত্যা মিশন সম্পন্ন করতে আমানুল্লাহকে দায়িত্ব দিয়ে আসে। তাকে বলা হয়, কোনোভাবেই যেন কাজটা মিস না হয় এবং কোনো প্রমাণ যেন না থাকে। এদিকে ১২ মে এমপি আনার ভারতের কলকাতায় যান এবং তার বন্ধু গোপালের বাসায় উঠেন।

পরদিন অর্থাৎ ১৩ মে এমপি আনারকে তার বন্ধুর বাসা থেকে ডেকে আনেন শাহীন। তিনি যে বাংলাদেশে এসেছেন তা গোপন করে বলা হয়, তিনি কলকাতা নিউটাউনের বাসায় আছেন। ওই বাসার পাশের একটি ঠিকানা দিয়ে বলেন, তার (শাহীন) লোক আনারকে রিসিভ করবেন। সে অনুযায়ী শাহীনের লোকজন এমপিকে রিসিভ করে গাড়িতে ওই বাসায় নিয়ে যায়। এর কয়েক মিনিটের মধ্যেই নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হন এমপি আনার।

সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে,এমপি আনার হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড আক্তারুজ্জামান শাহীন ১০ মে দেশে ফিরে ওঠেন রাজধানীর গুলশান দুই নম্বরের ৬৫ নম্বর রোডের ১৭ নম্বর হাউজের দ্বিতীয় তলার একটি ফ্ল্যাটে।

এ ফ্ল্যাটে বসেই তিনি হত্যার সার্বিক দিকনির্দেশনা দেন। শুক্রবার বিকালে গুলশানের ওই বাসায় গিয়ে জানা যায়, ছয়তলা ভবনের দ্বিতীয় তলার একটি ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকতেন শাহীন। ফ্ল্যাটটিতে যেতে চাইলে বাধা দেন নিরাপত্তা প্রহরীরা। জানা যায়, ভবনের অন্যান্য ফ্ল্যাটে বিদেশি নাগরিকসহ ভিআইপিরা থাকেন। রয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

ভবনের নিরাপত্তা প্রহরী মো. আজাদ জানান, গত ৬ মাস ধরে বিভিন্ন শিফটে এ ভবনের দায়িত্বে আছেন তিনি। এ সময়ের মধ্যে কয়েকবার শাহীনকে ফ্ল্যাটে আসতে দেখেছেন। বেশিরভাগ সময় ফ্ল্যাটে থাকতেন না শাহীন। মাঝে মধ্যে আসতেন। তার সঙ্গে অনেকেই আসত। তবে স্ত্রীকে নিয়ে খুব একটা আসতেন না বাসাটিতে।

তিনি আরও জানান, ২১ মে দুপুরে ডিবি পুলিশের একটি টিম ওই ফ্ল্যাটে অভিযান চালায়। এর একদিন আগেও ফ্ল্যাটে ছিলেন শাহীন। ডিবির অভিযানের সময় শাহীনের ম্যানেজার সঙ্গে ছিলেন। অভিযান শেষে ফ্ল্যাটটি সিলগালা করা হয়। ফ্ল্যাটের দরজাতে টানিয়ে দেওয়া হয়েছে নোটিশ। শাহীনের বিষয়ে তিনি বলেন, কারও সঙ্গে তেমন কথা বলতেন না। যখন বাসায় থাকতেন সারা দিন পার্সেলের মাধ্যমে খাবারসহ বিভিন্ন জিনিস কিনতেন।

তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র আরও বলেছে, গ্রেফতারদের জিজ্ঞাসাবাদে শাহিনের নাম এলেও তিনি দেশের বাইরে আছেন। যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্বপ্রাপ্ত শাহিন খুনের সময় দেশে থাকলেও তিনি বর্তমানে বিদেশে রয়েছেন। এ ঘটনায় তাকে দেশে ফিরিয়ে আনা আদৌ সম্ভব কি না তা নিয়েই এখন প্রশ্ন সবার।

তবে যুক্তরাষ্ট্র থেকে শাহিন বলছেন, আনার হত্যায় আমাকে ফাঁসানো হয়েছে। ঘটনা কবে ঘটেছে, সেগুলো আমি পত্রিকায় দেখেছি। সে সময় আমি বাংলাদেশে ছিলাম। আমার পাসপোর্ট রেকর্ড দেখলে দেখা যাবে আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম না। আমি যদি অন্যায় করে থাকি তা হলে আমাকে ধরুক। যদি কোনো প্রমাণ থাকে তা হলে দেখাক। আমি তো বাংলাদেশে বিচার পাব না। তাই আমি আমেরিকার নাগরিক, এখানে চলে এসেছি।

এসব আসামিকে দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে সাবেক আইজিপি এ কে এম শহীদুল হক সময়ের আলোকে বলেন, বিদেশি নাগারিকত্ব প্রাপ্ত আসামিদের দেশে ফিরিয়ে নিয়ে আসার ক্ষেত্রে দুটি ধাপ রয়েছে। মামলার তদন্ত প্রতিবেদনে ওই আসামির নাম থাকতে হবে। আদালত থেকে ওই আসামির ওয়ারেন্ট জারি হতে হবে। পরে ইন্টারপোলের রেড নোটিস জারি করতে হবে। ইন্টারপোল কর্তৃক তাকে গ্রেফতার করে বন্দি চুক্তি বা ওই দেশের আদালতের মাধ্যমে দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে।

14 ভিউ

Posted ৩:৩৫ অপরাহ্ণ | শনিবার, ২৫ মে ২০২৪

coxbangla.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

এ বিভাগের আরও খবর

Editor & Publisher

Chanchal Dash Gupta

Member : coxsbazar press club & coxsbazar journalist union (cbuj)
cell: 01558-310550 or 01736-202922
mail: chanchalcox@gmail.com
Office : coxsbazar press club building(1st floor),shaheed sharanee road,cox’sbazar municipalty
coxsbazar-4700
Bangladesh
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
বাংলাদেশের সকল পত্রিকা সাইট
Bangla Newspaper

ABOUT US :

coxbangla.com is a dedicated 24x7 news website which is published 2010 in coxbazar city. coxbangla is the news plus right and true information. Be informed be truthful are the only right way. Because you have the right. So coxbangla always offiers the latest news coxbazar, national and international news on current offers, politics, economic, entertainment, sports, health, science, defence & technology, space, history, lifestyle, tourism, food etc in Bengali.

design and development by : webnewsdesign.com