কক্সবাংলা ডটকম(২৮ ফেব্রুয়ারি) :: প্রতিদিনই প্রতারিত হচ্ছেন কোটি কোটি গ্রাহক, এখানে কোনো শ্রেণী বিরোধ নেই, মোবাইল গ্রাহক হলেই তিনি কোনো না কোনোভাবে প্রতারিত হচ্ছেন। হাজার হাজার অভিযোগ থাকলেও সুরাহা নেই। এমন আজব এক কর্মকান্ড চলে আসছে বছরের পর বছর ধরে। যেন কোথাও কেউ নেই।
বিটিআরসির সর্বশেষ তথ্যমতে, দেশে চার অপারেটরের মোবাইল ও ইন্টারনেট সেবা গ্রহণকারী গ্রাহকের সংখ্যা প্রায় ২১ কোটি। ২১ কোটি গ্রাহকই অসহায়। এসব গ্রাহকের সবাই কোনো না কোনোভাবে প্রতারিত হচ্ছেন।
গ্রাহকের অজান্তে ব্যালেন্স কাটা, অতিরিক্ত কল রেট, নিম্নমানের নেটওয়ার্ক, থ্রি জি সেবার নামে টু জি চাপিয়ে দেয়া, কলড্রপ, আমার টিওনস সার্ভিস চাপিয়ে দেয়া, ইন্টারনেটে ধীরগতি, প্যাকেজের নামে ‘প্রতারণা’ ও অহেতুক এসএমএস পাঠানো, প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সেবা না দেয়া, গ্রাহকের সঙ্গে প্রতিদিনই এমন অভিনব প্রতারণা করছে মোবাইল ফোন অপারেটরগুলো। বেসরকারি প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ, বাংলালিংক, রবি-এয়ারটেল ছাড়াও রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান টেলিটকের বিরুদ্ধেও অভিযোগ রয়েছে।
এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরে গত সাত মাসে প্রায় ৭৫৯টি লিখিত অভিযোগ জমা পড়েছে। গত বছরের জুন থেকে চলতি বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এসব অভিযোগ করেছেন গ্রাহকরা। এর আগে এমন কয়েক হাজার অভিযোগ জমা হলেও এসবের কোনো সুরাহা হয়নি।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ৭৫৯ অভিযোগের মধ্যে গ্রামীণফোনের বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা পড়েছে ২১৩টি, রবির বিরুদ্ধে ২০১টি, সম্প্রতি রবির সঙ্গে একীভূত হলেও স্বাধীন ব্র্যান্ড হিসেবে থাকা অপারেটর এয়ারটেলের বিরুদ্ধে রয়েছে ১৫৯টি অভিযোগ, বাংলালিংকের বিরুদ্ধে ১৪৮টি এবং টেলিটকের বিরুদ্ধে জমা পড়েছে ৩৮টি অভিযোগ।
অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, গত বছর এক রিট করার কারনে বিটিআরসি গ্রাহকের অভিযোগের কোনো সুরাহা করতে পারছে না। রিট আবেদনের আগে মোবাইল কোম্পানির বিরুদ্ধে নানা অভিযোগে প্রায় ১০ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর, যার ২৫ ভাগ অর্থ অভিযোগকারীদের প্রদান করা হয়।
রবি অজিয়াটা লিমিটেড গত মে মাসে এ ধরনের জরিমানার বিষয়ে চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতে রিট দায়ের করে, যেটি শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে। ওই রিটের নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত অধিদফতর আইন অনুযায়ী মোবাইল অপারেটরদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারবে না।
এ বিষয়ে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম লস্কর বলেন, ভোক্তারা প্রতারিত কিংবা হয়রানির শিকার হয়ে অধিদফতরে অভিযোগ করেছেন। কিন্তু একটি মোবাইল সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান উচ্চ আদালতে রিট করায় গত বছরের ২৮ মে-এর পর থেকে অধিদফতর এ সংক্রান্ত অভিযোগের নিষ্পত্তি করতে পারেনি।
আর রিটের কারণে এখন অপারেটরদের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেয়া যাচ্ছে না। তবে আইনি জটিলতা দূর হলে গ্রাহকের অভিযোগের ভিত্তিতে অপারেটরদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া যাবে।
সূত্রমতে, ২০১৭ সালের জুন পর্যন্ত দেশে মোবাইল ফোনের গ্রাহক সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৪ কোটি ৩৫ লাখ, যা ২০১৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ছিল ১২ কোটি ৬৩ লাখ। একই সময়ে দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়েছে ৫৯ লাখ। চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে মোবাইল গ্রাহকের সংখ্যা ৯৬ লাখ বেড়েছে। ২০১৭ সালের ১০ আগস্ট বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) প্রকাশিত পরিসংখ্যানে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
বিটিআরসির পরিসংখ্যান মতে, চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে সবচেয়ে বেশি গ্রাহক সংখ্যা বেড়েছে মোবাইল ফোন অপারেটর রবি আজিয়াটার। ছয় মাসে প্রতিষ্ঠানটির গ্রাহকসংখ্যা ১ কোটি ৩৬ লাখ বেড়ে হয়েছে ৩ কোটি ৯৫ লাখ। এ সময়ে গ্রাহকসংখ্যা ৩৬ লাখ নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে গ্রামীণফোন। যদিও ৬ কোটি ১৫ লাখ গ্রাহক নিয়ে এখনো ব্যবহারকারীর তালিকায় শীর্ষে রয়েছে গ্রামীণফোন। এসময় বাংলালিংকের গ্রাহক সংখ্যা বেড়েছে ৬ লাখ।
অপারেটরটির বর্তমানে গ্রাহক রয়েছে ৩ কোটি ১৫ লাখ। তবে গ্রাহকসংখ্যা কমেছে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন মোবাইল ফোন অপারেটর টেলিটকের। ছয় মাসে টেলিটকের গ্রাহক কমেছে ৪ লাখ। জুন পর্যন্ত ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৩২ লাখ।
গত বছরের নভেম্বরে একীভূত কোম্পানি হিসেবে যাত্রা শুরু করে রবি ও এয়ারটেল। একীভূত হওয়ার পরও রবি আজিয়াটা লিমিটেড নামে কার্যক্রম শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি। চলতি বছর জুন পর্যন্ত দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৬ কোটি ৮৬ লাখ, যা ২০১৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ছিল ৬ কোটি ২৭ লাখ।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, গত বছরের জুন মাস থেকে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিভিন্ন সেবা কোম্পানির বিরুদ্ধে ৭৫৯টি অভিযোগ জমা পড়েছে। এর মধ্যে গ্রামীণফোনের বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা পড়েছে ২১৩টি, রবির বিরুদ্ধে ২০১টি, এয়ারটেলের বিরুদ্ধে রয়েছে ১৫৯টি অভিযোগ, বাংলালিংকের বিরুদ্ধে ১৪৮টি। রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান টেলিটকের বিরুদ্ধে অভিযোগ পড়েছে ৩৮টি।
এ ব্যাপারে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের চট্টগ্রাম অঞ্চলের সহকারী পরিচালক নাসরিন আক্তার বলেন, গ্রাহক ভোক্তা অধিকারে কোন অভিযোগ জমা দেয়ার পর তা কেন্দ্র থেকে স্ব স্ব বিভাগে অভিযোগটি নিষ্পত্তির জন্য পাঠানো হয়। ভোক্তার অধিকার নিশ্চিত করতে অধিদফতর নিরলস কাজ করে চলছে। যার কারনে বর্তমানে আর আগের মতো কেউ ভোগ্যপণ্য বা অন্য কিছুতে অযাচিত ৫, ১০ কিংবা ২০ টাকা বাড়তি নিতে পারছে না।
সেবা কোম্পানির বিরুদ্ধে অভিযোগ বিষয়ে তিনি জানান, প্রতারিত কিংবা হয়রানি হওয়ার পর গ্রাহক আমাদের কাছে অভিযোগ দেন। হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ তুলে নেয়া পর্যন্ত অভিযোগ নিষ্পত্তি করা যাচ্ছে না। তিনি স্বীকার করেন ক্রমবর্ধমান হারে সেবা কোম্পানির বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা পড়ছে।
উচ্চ আদালতের রিটের নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত অধিদফতর আইন অনুযায়ী মোবাইল অপারেটরদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারবে না। গত বছরের মে মাসে রবি অজিয়াটা লিমিটেড ভোক্তা অধিকার কর্তৃক সেবা কোম্পানিগুলোকে জরিমানার বিষয়ে চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতে রিট দায়ের করে। যেটি শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে।
এ ব্যাপারে আইনজীবী বিশ্বজিৎ দাশ বলেন, প্রতারিত কিংবা হয়রানি হওয়ার পর সবাই ভোক্তা অধিকারে অভিযোগ দায়ের করেন না। সচেতন গুটিকয়েক নাগরিক অধিদফতরে তাদের অভিযোগ দায়ের করেন। উচ্চ আদালতে শুনানির অপেক্ষায় আছে রিটটি। তাই অপেক্ষা করা ছাড়া গতান্তর নেই।
এর আগে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর গ্রাহকের অভিযোগ ও প্রমাণের ভিত্তিতে সেবা কোম্পানিগুলোকে লক্ষাধিক টাকার ওপর জরিমানা করেন। ভোক্তা অধিকারে যেকোনো অভিযোগের বিপরীতে আদায়কৃত জরিমানার ২৫ ভাগ পান অভিযোগকারী ভোক্তা। এ নিয়ে বিভিন্ন সময় সরকারের মন্ত্রী ও দায়িত্বশীল ব্যক্তিরাও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিভিন্ন সময়।
এমনকি অপারেটরদের বিরুদ্ধে প্রতিমন্ত্রীর নির্দেশ না মানারও অভিযোগ রয়েছে। গ্রাহক স্বার্থ সুরক্ষার জন্য সরকারিভাবে নানা উদ্যোগ নিলেও তা খুব একটা কাজে আসেনি। মোবাইল ফোন অপারেটররা চলছে নিজেদের মতো করেই। সেবার মান নিশ্চিত করতে বিভিন্ন সময় ভিন্ন ভিন্ন নির্দেশনা জারি করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। কিন্তু অপারেটররা এসব নির্দেশনা যথাযথভাবে পালন করছে না বলে রয়েছে অভিযোগ।
তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সেবার মান নিশ্চিত করতে বিটিআরসিকে কঠোর হওয়ার পাশাপাশি নম্বর অপরিবর্তিত রেখে অপারেটর বদলের সুযোগ বা এমএনপি সেবা চালু করা দরকার। এতে গ্রাহক কোনো অপারেটরের সেবায় সন্তুষ্ট না হলে নম্বর পরিবর্তন না করে অন্য অপারেটরের সেবা নিতে পারবে। ফলে সেবার মান উন্নত করতে বাধ্য হবে অপারেটররা। সাম্প্রতিককালে ব্যাপক হারে বেড়েছে মোবাইল ফোনের কলড্রপ (কথা বলার সময় সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়া)।
এ নিয়ে সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিমও ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। কলড্রপে গ্রাহককে ক্ষতিপূরণ দেয়ার একাধিক নির্দেশও দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তা কার্যকর হয়নি।
তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ ও বর্তমান ডাক, টেলিযোগাযোগ ও মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছিলেন, সরকারের দুর্বলতার কারণেই অপারেটররা গ্রাহক সেবার মান নিশ্চিত করছে না। সরকার কেন অপারেটরদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না? এটা আমার মাথায় ঢোকে না। অপারেটররা যে চুক্তির অধীনে কাজ করছে তাতে তারা সরকারের নির্দেশ মানতে বাধ্য। এর আগে বিটিআরসি এমন অনেক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। অপারেটরদের হাতে ধরে পায়ে পড়ে আইন বলবৎ করা যাবে না। কারও কাছে পরাস্ত না হয়ে আইনকে আইনের গতিতে চলতে দিতে হবে।
তিনি বলেছিলেন, কী পরিমাণ সাহস থাকলে অপারেটররা প্রতিমন্ত্রীর কলড্রপে ক্ষতিপূরণের নির্দেশনা অমান্য করে। ডিজিটাল টাস্কফোর্সের সভার সিদ্ধান্তও মানেনি অপারেটররা।
বাসা থেকে অফিসে আসতেই আটবার কল ড্রপ হয় মন্ত্রীর!দেশের সকল মোবাইল অপারেটরদের সেবার মান নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। তিনি জানান, যখন-তখন কল ড্রপ হচ্ছে। এমনকি বাসা থেকে অফিস যেতেই মোট আটবার কল ড্রপ হচ্ছে।
রাজধানীর ঢাকা ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন আয়োজিত তরঙ্গ নিলাম অনুষ্ঠান শেষে এসব কথা বলেন তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
তিনি বলেন, ফোনে কথা বলতে গেলে কখন আমার কল ড্রপ হবে তার কোনো গ্যারান্টি আমি পাইনা। একজন মন্ত্রী তার অফিসে বসে ঠিকভাবে কথা বলতে পারে না। বাসায় থেকে অফিসে যেতেই কমপক্ষে আটবার কল ড্রপ হচ্ছে।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, এতদিন ধরে বলা হচ্ছিল নেট নিউট্রালিটি নেই। তারা অভিযোগ করছিল তরঙ্গ নেই বিধায় ভালো সেবা দেয়া সম্ভব হচ্ছিল না। বর্তমানে কিন্তু তরঙ্গের দরজা খুলেছি। টেক নিউট্রালিটি দেয়া হচ্ছে। দয়া করে আপনারা যারা অপারেটর আছেন তারা গ্রাহকদের বিষয়টা উপলব্ধি করেন। সর্বোচ্চ সেবা নিশ্চিত করেন।
মন্ত্রী অপারেটরদের শাসিয়ে দিয়ে বলেন, আমাদের দেশে মালয়েশিয়ার চেয়ে ১৫ গুণ গ্রাহক অথচ আপনি তরঙ্গ কিনবেন না। গ্রাহকদের কোয়ালিটি দেবেন না। এটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হবে না। টেলিকম অপারেটরগুলোকে সেবার মান বাড়ানোর আহ্বান জানান মোস্তাফা জব্বার।
তিনি বলেন, দেশের মানুষ অর্থ দিয়ে আপনাদের সেবা নিতে কোনো রকমের কার্পণ্য করে না। কিন্ত সেবার ক্ষেত্রে ত্রুটি থাকছে। এটা মেনে নেয়া যায় না। মন্ত্রী বলেন, স্পষ্ট করে বলছি, গুণগত মান পাওয়া গ্রাহকদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। এটা পূরণ করতে হবে।
সূত্রমতে, টেলিযোগাযোগ সেবার মান পর্যবেক্ষণে বিদেশ থেকে প্রায় ২ কোটি ২৯ লাখ টাকা ব্যয়ে যন্ত্র কিনেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। অপারেটরদের ভয়েস, ডাটা ও ভিডিও সেবার মান পরিমাপে ব্যবহার হবে এসব যন্ত্র। চলতি মাস থেকে এসব যন্ত্র দিয়ে টেলিযোগাযোগ সেবার মান পর্যবেক্ষণ শুরুর কথা রয়েছে। গ্রাহকসেবার মান নিশ্চিতে শিগগিরই আরো কিছু পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে জানিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
গ্রাহকের অনুমতি ব্যতিরকে কোন সার্ভিস চালু করা, অযাচিত ব্যালেন্স কাটা, কল ড্রপ হওয়া, প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সেবা না দেয়া, অনুমতি ছাড়া ইন্টারনেটের জন্য মূল ব্যালেন্স কাঁটাসহ অসংখ্য অভিযোগের কোনো সুরাহা হচ্ছে না। এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরে অভিযোগের পাহাড় জমলেও মোবাইল সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান উচ্চ আদালতে রিট করায় গত বছরের ২৮ মে-এর পর থেকে অধিদফতর এ সংক্রান্ত অভিযোগের নিষ্পত্তি করতে পারছে না।
Posted ১:৫৩ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta