কক্সবাংলা ডটকম(১২ নভেম্বর) :: যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় একটি শহর ও আশপাশে ১৪টি দগ্ধ দেহাবশেষ পাওয়ার পর ভয়াবহ দাবানলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে অন্তত ২৫-এ দাঁড়িয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিমাঞ্চলীয় অঙ্গরাজ্যটির কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন। খবর বিবিসি ও রয়টার্স।
প্রদেশটির উত্তরাঞ্চলীয় প্যারাডাইস শহরে আরো ১৪ জনের মরদেহ উদ্ধার হওয়ায় সেখানে মৃতের সংখ্যা ২৩-এ দাঁড়িয়েছে। এছাড়া ম্যালিব্যুর কাছাকাছি আরো দুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বড় তিনটি দাবানল থেকে বাঁচতে প্রায় আড়াই লাখ বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর থেকে পালাতে বাধ্য হয়েছে।
এ পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একটি মন্তব্য ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে। তিনি দাবানলের পেছনে দুর্বল বন মন্ত্রণালয়কে দায়ী করেছেন।
বৃহস্পতিবার ক্যাম্প ফায়ার নামের দাবানলটির সূত্রপাত হয় এবং বাটে কাউন্টিতে ছড়িয়ে পড়ে। প্যারাডাইস শহরকে বাঁচাতে অনেকটা অসহায় হয়ে পড়েছিলেন অগ্নিনির্বাপক কর্মীরা।
তার ওপর শুক্রবার দক্ষিণাঞ্চলীয় বিচ রিসোর্ট ম্যালিব্যুতে অন্য একটি দাবানলের সূত্রপাত হয়। শনিবার নাগাদ ওলসেতে ৮৩ হাজার একরের বেশি বনাঞ্চল পুড়ে যায়। যেসব শহরের বাসিন্দাকে নিরাপদ স্থানে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে থাউজ্যান্ড ওকস, যেখানে গত বুধবার এক বন্দুকধারীর হাতে ১২ জন নিহত হয়েছিল।
ক্যাম্প ফায়ারের আগুনে প্যারাডাইসের ৬ হাজার ৭০০টি বাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান পুড়ে গেছে। ক্যালিফোর্নিয়ায় দাবানলে স্থাপনা পুড়ে যাওয়ার এটিই সর্বোচ্চ রেকর্ড। বাড়তে থাকা মৃতের সংখ্যা এটিকে অন্যতম প্রাণঘাতী দাবানলে পরিণত করেছে। শুধু ১৯৩৩ সালের গ্রিফিথ পার্ক দাবানল ও ১৯৯১ সালের টানেল দাবানল এর চেয়ে বেশি মানুষের প্রাণ নিয়েছিল।
আগুন প্যারাডাইস শহরে এত দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছিল যে, বহু লোক তাদের গাড়ি ফেলে রেখে শহরের ভেতর দিয়ে যাওয়া একমাত্র সড়ক দিয়ে প্রাণভয়ে দৌড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছিল। এ এলাকার আরো ৩৫ জন বাসিন্দা নিখোঁজ রয়েছে বলে জানা গেছে। আগুনের সঙ্গে লড়তে গিয়ে তিন দমকল কর্মী আহত হয়েছেন। যাদের মৃত পাওয়া গেছে, তাদের মধ্যে নিখোঁজদের কেউ আছেন কিনা তা স্পষ্ট করে জানা যায়নি।
শনিবার বিকালের মধ্যে ক্যাম্প ফায়ারে প্লুমাস-জাতীয় বনের প্রান্তীয় ৪০ হাজার ৫০০ হেক্টর এলাকা ছাইয়ে পরিণত হয়েছে। ৮০০ কিলোমিটার দক্ষিণে উওলজি ফায়ার নামের আরেকটি দাবানল ম্যালিব্যুর উপরের অংশে পাহাড়ের পাদদেশগুলোয় ছড়িয়ে পড়েছে। এ দাবানল এক রাতের মধ্যে ভয়াবহ আকারে ছড়িয়ে পড়েছে।
আবহাওয়াবিদরা সতর্ক করছেন, এ বিপজ্জনক অবস্থা আগামী সপ্তাহেও অব্যাহত থাকবে।
Posted ৩:৫২ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ১৩ নভেম্বর ২০১৮
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta