কক্সবাংলা ডটকম(২২ আগষ্ট) :: যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় নিয়মনীতি ভঙ্গ করে আর্থিক লেনদেন করা হয়েছে বলে আদালতে দোষ স্বীকার করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ব্যক্তিগত আইনজীবী মাইকেল কোহেন।
আদালতে কোহেনের এমন স্বীকারোক্তির ফলে ট্রাম্পও আইনি প্রক্রিয়ার মুখোমুখি হতে পারেন। এমনকি অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় কোয়েনের পাঁচ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে।
আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে কোহেন ‘কার নির্দেশে লেনদেন করা হয়েছে’ নাম উল্লেখ না করলেও ‘নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের জন্যই’ তা করা হয়েছে বলে স্বীকার করে নিয়েছেন।
ব্যক্তিগত আইনজীবীর এই স্বীকারোক্তি ও দোষী সাব্যস্ত হওয়ার মধ্য দিয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পও আইনি প্রক্রিয়ার মুখোমুখি হতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। যদিও ট্রাম্প এখনও এ ব্যাপারে কোনো কথা বলেননি।
আদালতে মাইকেল কোহেন নিজের দোষ স্বীকার করে জানান, নির্বাচনে যাতে প্রভাব না পড়ে সেজন্য, দুজন অভিনেত্রীর মুখ বন্ধ করতে অর্থ দিয়েছিলেন। তবে তিনি ওই দুই নারী কারা তাদের নাম উল্লেখ করেননি।
মার্কিন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, নির্বাচনের আগে সমঝোতার অংশ হিসেবে মুখ বন্ধ রাখতে প্রাপ্তবয়স্ক ছবির তারকা স্টর্মি ডেনিয়েলসকে এক লাখ ৩০ হাজার ডলার এবং মডেল ও অভিনেত্রী ক্যারেন ম্যাগডুগালকে দেড় লাখ ডলার দেওয়া হয়েছিল।
এ ছাড়া কর ফাঁকি, ব্যাংক জালিয়াতিসহ মোট আটটি অভিযোগ আনা হয়েছে মাইকেল কোহেনের বিরুদ্ধে। সব কটিতেই তিনি নিজের দোষ স্বীকার করেছেন।
কোয়েনের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তার পাঁচ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে বলে আইনজীবীরা ধারণা দিয়েছেন।
Posted ১০:১৮ অপরাহ্ণ | বুধবার, ২২ আগস্ট ২০১৮
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta