বিশেষ প্রতিনিধি,উখিয়া(১০ ডিসেম্বর) :: নেদারল্যান্ডসের হেগে বাংলাদেশ সময় বিকাল ৩টায় মিয়ানমারের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের প্রথম দিনের শুনানিতে আদালতের পক্ষ থেকে যখন রোহিঙ্গাদের ওপর পরিচালিত সেদেশের সামরিক বাহিনীর একের পর এক নৃশংসতার ঘটনা তুলে ধরা হচ্ছিল তখন কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের রোহিঙ্গা আশ্রয় ক্যাম্পগুলোর মসজিদ, মাদরাসা ও বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে চলছিল বিশেষ মোনাজাতে রোহিঙ্গাদের বিলাপ। অনেক রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ শুনানি চলাকালীন তিন দিন ধরে রোজাও রাখেন।
মঙ্গলবার ফজরের নামাজ থেকে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোর প্রায় মসজিদ, মাদরাসা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে প্রত্যেক ওয়াক্তের নামাজে শত শত রোহিঙ্গা নামাজ শেষে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাতে অংশ নিচ্ছেন।
পুরুষরা মসজিদে আর মহিলারা ঘরে ঘরে এ ধরনের দোয়া ও মোনাজাত করছে বলে রোহিঙ্গা নেতা মাস্টার নুরুল আলম জানান।
মাস্টার মো. রফিক জানান লাখ লাখ অসহায় রোহিঙ্গার জন্য বাংলাদেশ, গাম্বিয়াসহ বিশ্বের সকল মানবতাবাদী দেশ, গোষ্ঠী, সংগঠন যারা রোহিঙ্গাদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় সাহায্য করছে তাদের জন্য দোয়া করা ছাড়া আর কী করার আছে! আইসিজের বিচারে যেন রোহিঙ্গাদের অধিকার প্রতিষ্ঠা ও নিরাপত্তা সঙ্গে দেশে ফিরে যেতে পারে সেই কামনা নিয়ে রোহিঙ্গারা বিলাপ করে কান্নাকাটি করছে।
অনেকে মানত করে রোজা রাখছে যেন সংকটের আশু সমাধান হয়। আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এ বিশেষ প্রার্থনা চলবে বলে রোহিঙ্গা নেতারা জানান।
প্রসঙ্গত ২০১৭ সালের আগস্ট মাস থেকে মিয়ানমার বাহিনীর বর্বর অভিযানে প্রায় সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা প্রাণ বাঁচাতে কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের ৩৪টি ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছে। হত্যা, ধর্ষণ, নির্যাতন, গণবাস্তুচ্যুতির মাত্রা দেখে জাতিসংঘের কর্মকর্তারা ওই অভিযানে ‘জেনোসাইডের আলমত’ থাকার কথা বলছেন।
Posted ১:৪৫ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০১৯
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta