মাঈনুদ্দিন খালেদ,নাইক্ষ্যংছড়ি(৩০ ডিসেম্বর) :: ককসবাজার-৩ আসনের রামুর কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের ৪ কেন্দ্রের একটি হলো গর্জনিয়া ফইজুল উলুম ফাজিল ডিগ্রি মাদরাসা কেন্দ্র। এ কেন্দ্রে ভোটার সংখ্যা প্রায় ২৭শ।
৩০ ডিসেম্বর সকাল ৮টায় শান্ত পরিবেশে এখানে ভোট গ্রহন শুরু হলেও সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে পরিস্থিতি হঠাৎ পাল্টে যায়। সর্বত্র গুজব ছড়িয়ে পড়ে ব্যালেট বক্স নিয়ে।
এ নিয়ে ধানের শীষের সর্মথকদের মাঝে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। শুরু হয় হৈ চৈ। ধানের শীষের শতশত সমর্থক পুরো কেন্দ্র ঘিরে ফেলে। মিছিল-শ্লোগানে প্রশাসন অনেকটা অসহায় হয়ে পড়ে।
বিএনপি সমর্থকদের দাবীর মূখে অভিযুক্ত আওয়ামী লীগের ৩ নেতা যথাক্রমে জাকের মেম্বার, এম সেলিম ও কামাল মুন্সিকে কেন্দ্র থেকে বের করে দেন কেন্দ্র প্রিজাইডিং অফিসার শহিদুল ইসলাম।
তিনি জানান,কেন্দ্রের পরিবেশ স্বাভাবিক রাখতে সব ব্যবস্থা করেছেন তিনি।
আওয়ামী লীগ নেতা রক্তাক্ত কামাল মুন্সি এ প্রতিবেদককে জানান, এ কেন্দ্রের পেছন থেকে তারা ৩ জন আত্মরক্ষার জন্যে পালিয়ে যেতে গিয়েও শেষ রক্ষা হয়নি। শতশত বিএনপি সমর্থক তাদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে।
সেখান থেকে কোন মতে প্রাণে রক্ষা পেয়ে সে প্রতিবেশী সেলিম সওদাগরের বাড়িতে আর এম সেলিম তথ্য মিজানের বাড়িতে এবং জাকের মেম্বার পার্শ্ববর্তী মিজানের বাড়িতে আত্মগোপন করে থাকে।
সে আরো জানান,পরে সে গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়িতে এবং সর্বশেষ মৌলনা এহসান নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিলো। প্রায় ৭০ রাউন্ড গুলি বর্ষণ হয় এ সময়।
এদিকে ধানের শীষের পোলিং এজেন্ট মৌ: নূর হোসেন জানান, ভোট ছিড়ার গুজবকে কেন্দ্র করে গুলাগুলি শুরু হলে সকাল ১১ টা থেকে তার কেন্দ্রের ভোট গ্রহন বন্ধ হয়ে যায়। এর পর থেকে আর কোন ভোটার কেন্দ্রে প্রবেশ করে নি। মারামারিতে দিন পার হয়ে যায় এ মাদরাসা কেন্দ্রে। পুলিশের গুলিতে সকলে পালায়।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়,এর পর থেকে বিএনপির শতশত সমর্থক মিছিলে-শ্লোগানে পুরো কেন্দ্র ঘিরে রাখে। আর পুরো রামু উপজেলা প্রশাসনে শুরু হয় তোলপাড়। আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী আসতে থাকে একেরপর এক।
এ সময় পুলিশ রাবার বুলেট ছুঁড়ে প্রথমে। পরে আরো অর্ধশতাধিক গুলি ছুঁড়ে। এ সময় ১০ জন আহত হয়। আর পুলিশ ৭ জনকে আটক করে নানা অভিযোগে।
Posted ১০:৪৬ অপরাহ্ণ | রবিবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০১৮
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta