হাবিবুর রহমান সোহেল,নাইক্ষ্যংছড়ি(২৪ আগস্ট) :: কক্সবাজারের রামুু উপজেলার রামু নাইক্ষ্যংছড়ি ও গর্জনিয়াতে ঈদকে পুঁজি করে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ে ব্যস্থ রয়েছে গাড়ি চালক ও মালিক পক্ষ যার কারনে মারত্বক দুর্ভোগে পড়ছেন যাত্রীরা। এ দুর্ভোগ যেন ম্লান করে দিচ্ছে ঈদ আনন্দ।
এরপরও প্রয়োজনের তাগিদে চলাফেরা করছে মানুষ। গত বুধবার থেকে ওই সব গলাকাটা বানিজ্য শুরু হয়ে এখনও চলমান রয়েছে। গর্জনিয়া থেকে রামু গামী বিভিন্ন পরিবহন সেক্টরের সর্বত্রই নৈরাজ্যের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ঈদের দিন বুধবার বিকেল থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত নাইক্ষ্যংছড়ি গর্জনিয়ার বাস ষ্টেশনে মানুষের ভিড় দেখা গেছে। এ ক্ষেত্রেও নানা ধরনের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
গর্জনিয়া বাজার বাসষ্টেশনে রামু-কক্সবাজার শহরমুখী মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঈদ উপলক্ষে পরিবহন সেক্টরে কোথাও নিয়মের তোয়াক্কা করা হয়নি। পরিবহন সংশ্লিষ্টরা অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করেছেন অনেকটা জোর করেই। সংশ্লিষ্ট পরিবহন মালিক সংগঠনগুলোর নীরব সমর্থন রয়েছে এতে।
পাশাপাশি প্রশাসনের নীরবতা এ নৈরাজ্যে ছড়াচ্ছে উত্তাপ। মাঝখানে ভোগান্তি বাড়ছে সাধারণ জনগণের। ভোগান্তি আর দুর্ভোগের যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ এসব লোকজন কোথাও কোথাও ঝগড়ায় লিপ্ত হচ্ছে পরিবহন চালক-হেলপারদের সাথে।
রামু থেকে ফিরে আসা ফয়েজুল্লাহ নামের এক শিক্ষক বলেন, রামু থেকে গর্জনিয়া আসতে গুনতে হয়েছে ৭০ টাকা। অথচ স্বাভাবিক সময়ে আসতে ৪০টাকা সিএনজি ভাড়া নেয়া হতো। গর্জনিয়া বাস স্টেশন থেকে রামু ফেরা মমতাজ জানান, বাজার স্টেশন থেকে রামু স্বাভাবিক সময়ে সিএনজি ভাড়া ৪০ টাকা। কিন্তু এখন দাবি করছে ৬০/৭০ টাকা।
নাইক্ষ্যংছড়ি থেকে আসা শাহাব উদ্দীন বলেন, সিএনজি রামু থেকে নাইক্ষ্যংছড়ি পর্যন্ত ভাড়া নেয়া হচ্ছে ৬০টাকা। অথচ অন্যান্য সময়ে ৩০ টাকায় আসা-যাওয়া করতাম। এছাড়া রামু থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত স্বাভাবিক মাইক্রো ভাড়া নেয়া হয় ২০ টাকা। কিন্তু গত বুধবার ৫০ টাকার নিচে গাড়ি পাচ্ছি না।
আবদুল্লাহ নামের এক যাত্রী বলেন, গর্জনিয়ায় সিএনজি সার্ভিসে স্বাভাবিক সময়ে ভাড়া ৩০/৪০ টাকা হলেও বর্তমানে ৬০/৭০ টাকা আদায় করা হচ্ছে।
এদিকে কক্সবাজার সহ পুরো জেলার সড়কে মহাসড়কে চলাচলকারী বিভিন্ন বাস, সিএনজি, মাইক্রো, ছার পোকা, ইসিসি পরিবহন, মাহিন্দ্রা, ম্যাজিক গাড়ি, কিরনমালা ও টমটম চালকরা অতিরিক্ত ভাড়া দাবি করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অন্য সময়ে যেখানে জনপ্রতি ১০ টাকা ভাড়া নেয়া হতো সেখানে অতিরিক্ত ২০-৩০ টাকা নেয়া হচ্ছে বলে ভুক্তভোগীরা জানান।