কক্সবাংলা ডটকম(২৭ জানুয়ারী) :: জিয়া এতিমখানা দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণা নিয়ে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। উত্তপ্ত রাজনীতি। রায়কে কেন্দ্র করে মুখোমুখি অবস্থানে দাঁড়িয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও তাদের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি। পাল্টাপাল্টি হুশিয়ারি দিয়েছেন দল দুটির নেতারা।
এ নিয়ে সতর্ক অবস্থানে সরকারও। রায়ে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাজা হলে দেশে ‘প্রলয়কান্ড’ ঘটবে বলে হুশিয়ারি দিয়েছে বিএনপি। জবাবে রায় ঘিরে কেউ ‘বিশৃঙ্খলা বা ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপের’ চেষ্টা করলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ‘প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা’ নেবে বলে পাল্টা হুশিয়ার করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
এমনকি আওয়ামী লীগ নেতারা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদের প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়েছেন। এজন্য ক্ষমতাসীনদের প্রয়োজনীয় সাংগঠনিক প্রস্তুতি রয়েছে বলেও জানিয়েছেন নেতারা।
আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে বিদেশ থেকে জিয়া এতিমখানা ট্রাস্টের নামে আসা দুই কোটি ১০ লাখ টাকা আত্মসাতের এ মামলার রায় ঘোষণা করা হবে। এ মামলায় দুই পক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে গত বৃহস্পতিবার ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ মো. আখতারুজ্জামান রায়ের এই দিন ধার্য করেন। সেদিন থেকেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে দেশে। গতকাল তা আরো প্রকট আকার ধারণ করে।
খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে এই দুর্নীতি মামলার রায় ঘিরে নানা আলোচনা এখন ‘টক অব দ্য কান্ট্রি’। রাজনীতি ও নির্বাচনী রাজনীতিতে চলছে নানা হিসাব-নিকাশ। বিশেষ করে খালেদা জিয়ার সাজা হলে একাদশ জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেবে কি না, আর অংশ না নিলে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের কি হবে এ নিয়ে যেমন আলোচনা চলছে; তেমনি রায়ের বিরুদ্ধে রাস্তায় নামলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কি হবে, এ নিয়েও উদ্বিগ্ন সাধারণ মানুষ। আবার কি ২০১৪ সালের নির্বাচন-পরবর্তী জ্বালাও-পোড়াও কর্মসূচিতে যাবে দলটি; নাকি রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করবে তা নিয়েও চিন্তিত সবাই।
অন্যদিকে রায়-পরবর্তী উদ্ভুত পরিস্থিতি সরকারইবা কীভাবে সামাল দেয়, সে দিকেও তাকিয়ে সবাই। বিএনপির কর্মসূচি ঠেকাতে ক্ষমতাসীনরা কি সংঘর্ষে জড়াবে, নাকি শান্তিপূর্ণ সমাধানের পথেই হাঁটবে দুই দল; তা নিয়েও নানা জল্পনা-কল্পনা চলছে নানা মহলে।
রায়ের ভবিষ্যৎ নিয়েও বিভিন্ন আলোচনা নানা মহলে। আদতেই কি খালেদা জিয়ার সাজা হবে, নাকি খালাস পাবেন এনিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে মত রয়েছে। সাজা হলে পরবর্তী নির্বাচনে খালেদা জিয়া অংশ নিতে পারবেন কি না; সে কথা জানতেও আগ্রহ মানুষের।
কত দিনের সাজা হতে পারে, সাজা হলে কোথায় রাখা হতে পারে তাকে এনিয়েও চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা। এমনকি নির্বাচন সামনে রেখে এ রায় হতে যাওয়ায়, এ মামলায় রাজনৈতিক গন্ধ পাচ্ছেন কেউ কেউ।
মামলা ও মামলার রায় নিয়ে পরস্পরকে দোষারোপ ও সন্দেহের চোখে দেখছে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। এ মামলার রায় ঘোষণার দিন ঠিক হওয়ার পর বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, এই অবৈধ সরকার আগেই রায় লিখে রেখেছে। বিচার হবে প্রধানমন্ত্রী যা চাইবেন তাই।
পরদিন শুক্রবার বিএনপির এমন সন্দেহের জবাব দেন সরকারের সেতুমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি প্রশ্ন তোলেন জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার সাজা হবে; এই তথ্য মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কীভাবে জেনেছেন।
এ মামলায় সরকারের কোনো হাত নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আদালত নির্দোষ করতে পারেন, আবার সাজাও দিতে পারেন। এখানে সরকারের কোনো হস্তক্ষেপ নেই। সরকার এই পর্যন্ত বিচার বিভাগে কোনো হস্তক্ষেপ করেনি।’ তিনি এমনও বলেন, মামলা তো এই সরকার দেয়নি। মামলা দিয়েছে বেগম জিয়া যাদেরকে বসিয়েছিলেন, ফখরুদ্দিন সাহেব ও তাদের সৃষ্টি মইনউদ্দীন সাহেব।
এনিয়ে উদ্বিগ্ন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তাদের মতে, দেশে নির্বাচনের একটি পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার মুহূর্তে বিএনপি চেয়ারপারসনের সাজা হলে এবং সেটিকে কেন্দ্র করে আন্দোলন শুরু হলে নির্বাচন নিয়ে জটিলতা দেখা দিতে পারে।
অনেকেই মনে করছেন, খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলাটি প্রকৃতঅর্থে রাজনীতি থেকে উদ্ভূত এবং পক্ষপাতদুষ্ট। তবে রায়ে এর প্রভাব না আসা দেশের জন্য মঙ্গলজনক এবং আমরা এমন প্রত্যাশাই করি।
এ ব্যাপারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এমাজউদ্দিন আহমেদ বলেন, বিষয়টি আদালতের। কিন্তু আলোচনা হচ্ছে রাজনীতিতে। কারণ এই মামলার সঙ্গে রাজনীতির গন্ধ আছে। সুতরাং রায়-পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলায় দুই পক্ষকেই সতর্ক পদক্ষেপ নিতে হবে। সংযত থাকতে হবে। এমন পরিস্থিতি তৈরি করা যাবে না, যা জাতীয় নির্বাচনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
আলোচনা যাই হোক, এ মামলার রায় ঘিরে মুখোমুখি অবস্থানে দাঁড়িয়েছে বিএনপি ও আওয়ামী লীগ। পাল্টাপাল্টি হুশিয়ারি দিয়েছেন দুই দলের নেতারা। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সর্বশক্তি প্রয়োগের প্রস্তুতির কথা জানিয়েছে দুই দলই। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, তাদের চেয়ারপারসনের মামলায় ‘নেতিবাচক’ কোনো রায় হলে তার পরিণতি ‘ভয়াবহ’ হবে।
অন্যদিকে আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেছেন, খালেদা জিয়ার মামলার রায় নিয়ে দেশে আবার কোনো জ্বালাও-পোড়াও হলে তাতে বিএনপিই পুড়ে ‘ছারখার হয়ে যাবে’।
এমন অবস্থার মধ্যেই আজ শনিবার রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যদের নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসছেন বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া। নির্বাচনের আগে বছরখানেক হাতে থাকতে ওই রায় সামনে রেখে আজকের বৈঠকটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন দলের নেতারা। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো কিছুর ঘোষণা না দিয়ে হঠাৎ করেই কিছু একটা ঘটিয়ে ফেলতে পারে বিএনপি এমন আভাসও দিয়েছেন দলের নীতিনির্ধারণী নেতারা।
তাদের মতে, ‘এমন কিছু যে ঘটবে না; সে নিশ্চয়তা আমরা দিতে পারি না। এমনকি প্রলয়কান্ড ঘটতে পারে বলেও হুশিয়ার করে দিয়েছেন দলের কয়েক নেতা।’বসে নেই সরকার ও আওয়ামী লীগও।
দলের নীতিনির্ধারণী সূত্রমতে, সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে দল। প্রয়োজনে দলের নেতাকর্মীদের যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় রাজপথে থাকার নির্দেশনাও দেওয়া হবে। তবে এ বিষয়ে খুব সতর্কভাবেই এগোতে চাইছে সরকার ও ক্ষমতাসীনরা।
দলের নেতাদের ধারণা, রায় সামনে রেখে এক ধরনের অস্থির পরিস্থিতি তৈরির অপচেষ্টা করছে বিএনপি। সেই সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীরা কথিত আন্দোলনের নামে রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংসের মাধ্যমে দেশজুড়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিরও ষড়যন্ত্র করছেন। এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় সাংগঠনিক প্রস্তুতি নিয়ে রাখছেন তারা।
আওয়ামী লীগের আরো কয়েকজন নেতা বলেছেন, সরকার পরিস্থিতি শক্তভাবে সামাল দেওয়ার জন্য আগাম প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে। আদালতের রায় ঘোষণার পরপরই সবকিছু চূড়ান্ত করা হবে। এর আগ পর্যন্ত নেতাকর্মীরা সতর্ক থাকবেন। প্রস্তুত থাকবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
এ বিষয়ে দলের সভাপতিমন্ডলীর আরেক সদস্য ও সাবেক খাদ্যমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক জানিয়েছেন, তথাকথিত আন্দোলনের নামে কেউ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা করলে তা রাজনৈতিকভাবেই মোকাবিলা করা হবে। নেতাকর্মীরা রাজপথে থাকবেন। সেই সঙ্গে রাষ্ট্রীয় সম্পদ রক্ষায় অতীতের মতো আগামীতেও সক্রিয় থাকবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণা করবেন ঢাকার পঞ্চম জজ আদালত। বিএনপি-জামায়াত জোটের ২০০১-২০০৬ মেয়াদের সরকারের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দুই কোটি ১০ লাখ টাকা আত্মসাতের এ মামলার প্রধান আসামি। গত বৃহস্পতিবার রায়ের তারিখ ঘোষণার পর থেকেই এ রায় ঘিরে শুরু হয়েছে নানা আলোচনা। বিশেষ করে রায়ে খালেদা জিয়ার সাজা হবে কি না- সেদিকেই তাকিয়ে সবাই। এর ওপর নির্ভর করছে দেশের পরবর্তি রাজনৈতিক পরিস্থিতি। এমনকি পরবর্তি নির্বাচনে খালেদা জিয়ার অংশগ্রহণ করতে পারার বিষয়টিও এই রায়ের ওপরই নির্ভর করছে। ফলে রায়ের নানাদিক নিয়ে মানুষের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ দেখা দিয়েছে।
মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও তার বড় ছেলে দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ছয়জন আসামি রয়েছেন। রায় ঘোষণার দিন-ক্ষণ ঠিক হওয়ার পর অভিযোগ প্রমাণ হলে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের এ মামলায় কত বছর দ- হতে পারে, দ-িত হলে আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেওয়া যাবে কি নাÑ এসব প্রশ্ন এখন সবার মুখে মুখে।
এ নিয়ে কথা হয় আইনবিদদের সঙ্গে। তাদের মতে, অভিযোগ প্রমাণিত হলে এ মামলায় খালেদা জিয়ার সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন কারাদ- হতে পারে। সেক্ষেত্রে তিনি আগামী নির্বাচনে অংশ নেওয়ার অযোগ্য হয়ে পড়বেন।
জানা গেছে, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয় দ-বিধির ৪০৯ (অর্থ আত্মসাৎ) অথবা ১০৯ (অপরাধে সহযোগিতা) ধারা এবং দুদক আইনের ৫(২) ধারায়। দ-বিধির ৪০৯ ধারায় বর্ণিত অপরাধের সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদ- আর দুদক আইনের ৫(২) ধারায় বর্ণিত অপরাধে সাত বছর পর্যন্ত কারাদ- দেওয়ার বিধান রয়েছে।
সাজা হলে খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন নাÑ এমনটাই বলা হয়েছে সংবিধানে। সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদের (২) দফায় উল্লেখ আছে, ‘কোন ব্যক্তি সংসদের সদস্য নির্বাচিত হইবার এবং সংসদ সদস্য থাকিবার যোগ্য হইবেন না, যদি (ক) কোন উপযুক্ত আদালত তাঁহাকে অপ্রকৃতিস্থ বলিয়া ঘোষণা করেন; (খ) তিনি দেউলিয়া ঘোষিত হইবার পর দায় হইতে অব্যাহতি লাভ না করিয়া থাকেন; (গ) তিনি কোন বিদেশি রাষ্ট্রের নাগরিকত্ব অর্জন করেন কিংবা কোন বিদেশি রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য ঘোষণা বা স্বীকার করেন এবং (ঘ) তিনি নৈতিক স্খলনজনিত কোন ফৌজদারি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হইয়া অন্যূন দুই বৎসরের কারাদ-ে দ-িত হন এবং তাঁহার মুক্তিলাভের পর পাঁচ বৎসরকাল অতিবাহিত না হইয়া থাকে।’
তবে নিম্ন আদালতে খালেদা জিয়া সাজাপ্রাপ্ত হলে উচ্চ আদালতে তাঁর আপিল করার সুযোগ থাকবে এবং আপিল চূড়ান্তভাবে নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ওই সাজা কার্যকর হবে না বলে জানিয়েছেন আইনবিদরা।
আইনবিদদরা জানান, আইনের যে ধারায় এ মামলা হয়েছে, তাতে দোষী সাব্যস্ত হলে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন কারাদ- হতে পারে। আইনে সর্বনিম্ন দ- কত হতে পারে তা বলা নেই, যা আদালতে বিবেচনার ওপর নির্ভর করে বলেও জানা গেছে। তবে এ মামলায় অপরাধ প্রমাণিত হলে এবং বিচারিক আদালতে দ-িত হলে তারা আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন কি পারবেন নাÑ তা সুস্পষ্ট নয়।
এ ব্যাপারে সরকারের সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ বলেন, ‘ফৌজদারি মামলায় দ-প্রাপ্ত হলে সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ক্ষেত্রে একটি সাংবিধানিক বাধা রয়েছে। ন্যূনতম দুই বছর দ-প্রাপ্ত হলে এবং তার পর পাঁচ বছর অতিবাহিত না হলে সে নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না।’
এমনকি হাইকোর্ট যদি সাজা স্থগিত করে এবং আসামিকে জামিন দেয়, সে ক্ষেত্রেও নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না বলে জানান এই আইনজ্ঞ। তারমতে, সাজা স্থগিত করলে তো সাজা বাতিল হলো না। সাজা খাটা হলো না। সে ক্ষেত্রে পারবে না।
‘তবে একটি পথ রয়েছে’Ñ উল্লেখ করে এই আইনজ্ঞ জানান, যদি উচ্চ আদালতে আবেদন করে এবং আবেদনের যুক্তি দেখে আদালত সন্তুষ্টিসাপেক্ষে অনুমতি দেন, সে ক্ষেত্রে নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন। এর আগে ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ দুর্নীতির মামলায় দ-প্রাপ্তরা আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতির আদালত থেকে অনুমতি নিয়ে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন।
অবশ্য এ নিয়ে অস্পষ্টতার কথাও বলেছেন আইনজ্ঞরা। তাদের মতে, ফৌজদারি অপরাধে দ-প্রাপ্ত ব্যক্তির নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়টি এখনো সেটেল হয়নি। কোনো রায়ে নেই, আবার আইনও হয়নি। অনেক আগে একটি রায়ে বিচারপতি জয়নাল আবেদীন বলেছিলেন, নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে। আর বিচারপতি খায়রুল হক বলেছেন পারবে না। এ বিষয়টির সুরাহা হওয়ার জন্য তৃতীয় কোনো বেঞ্চে যায়নি।
Posted ৪:০৮ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ২৭ জানুয়ারি ২০১৮
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta