কক্সবাংলা রিপোর্ট(১৫ সেপ্টেম্বর) :: একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ছেলে শামীম সাঈদীকে পুলিশ খুঁজছে। তাঁকে যেখানেই পাওয়া যাবে সেখানেই আটক করা হবে।
শুক্রবার দুপুরের পর থেকে শামীম সাঈদীকে খোঁজা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আফরুজুল হক টুটুল।
অভিযোগ উঠেছে, কক্সবাজারের উখিয়া, টেকনাফ ও নাইক্ষ্যংছড়িতে আশ্রয় নেওয়া নির্যাতিত মুসলিম রোহিঙ্গাদের ত্রাণ দিতে গিয়ে দলীয় উদ্দেশ্যে তালিকা করছেন শামীম সাঈদী।
নিজের ফেসবুক পেজে পোস্ট করা ছবিতে দেখা যায়, শামীম ত্রাণ গ্রহণের জন্য লাইন ধরে দাঁড়ানো দুর্গত রোহিঙ্গাদের হাতে কাগজ বিলি করছেন দলবল নিয়ে। সোশ্যাল নেটওয়ার্কে এমন ছবি আসার পর গুঞ্জন শুরু হয়, সাঈদীপুত্র কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের বিভিন্ন স্থানে জামায়াতে ইসলামীর পক্ষে রোহিঙ্গাদের ‘নিবন্ধন’ করাচ্ছেন। ত্রাণ বিতরণে যাওয়ার আগে গাড়ির মধ্যে ধারণ করা ভিডিওতে সাঈদীপুত্রকে বক্তব্য দিতে দেখা যায়।
জানা যায়, শুক্রবার ও আগের দিন বৃহস্পতিবার কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালী, টেকনাফের হ্নীলা, হোয়াইক্যং, সাবরাং ও শামলাপুর এবং বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে ত্রাণ বিতরণকালে বিশেষ কাগজে রোহিঙ্গাদের নামধাম সংগ্রহ করা হয়।
শুক্রবারও টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের রইক্ষং এলাকায় জামায়াত নেতাদের স্থাপিত রোহিঙ্গা শিবিরে রোহিঙ্গাদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণকালে তথ্য সংগ্রহ করতে দেখা গেছে।
সরকারি ব্যবস্থাপনায় নিবন্ধন কার্যক্রমের বাইরে গিয়ে শামীম সাঈদীর এ ধরনের কর্মকাণ্ডকে উদ্দেশ্যমূলক বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা।
কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা বলেন, ‘সরকার রোহিঙ্গাদের সব ধরনের সহযোগিতা দিচ্ছে।
তাদের বায়োমেট্রিক নিবন্ধন করা হচ্ছে। এর বাইরে গিয়ে যুদ্ধাপরাধী সাঈদীপুত্র ও জামায়াত-শিবিরের আলাদাভাবে রোহিঙ্গা নিবন্ধন উদ্দেশ্যমূলক। ’ তিনি অভিযোগ করেন, ‘সরকারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গাদের ব্যবহার করার জন্যই দলটি এ কাজ করছে। ’কক্সবাজার জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহাদত হোসেন জুয়েল বলেছেন, সাঈদীপুত্র শামীম হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা জামায়াত নেতা নুর আহমদ আনোয়ারিকে সঙ্গে নিয়ে রোহিঙ্গা শিবিরগুলোতে চষে বেড়াচ্ছেন। স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় ক্ষোভও ব্যক্ত করেন জুয়েল।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আফরুজুল হক টুটুল জানান, রোহিঙ্গাদের মাঝে সাঈদীপুত্রের নিবন্ধন ও ত্রাণ বিতরণের খবর তাঁরা পেয়েছেন। সরকারি নিয়ম মেনে এই ত্রাণ দেওয়া হয়নি। তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শামীম সাঈদীকে খোঁজা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
Posted ২:৩১ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta