কক্সবাংলা ডটকম(৬ জুন) :: রোহিঙ্গা নিপীড়নে মিয়ানমারকে বিচারের মুখোমুখি করার ব্যাপারে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) বাংলাদেশের মতামত না দেওয়ার সম্ভাবনা প্রকট হচ্ছে।
মিয়ানমারের অনুরোধ, চীন ও রাশিয়ার অবস্থানের প্রেক্ষিতে ঢাকা তার মতামত জানাবে না বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে মিয়ানমার বলেছে, রাখাইনে সম্ভাব্য মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের ব্যাপারে বাংলাদেশ আইসিসির সঙ্গে যুক্ত হলে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের যে প্রক্রিয়াটি চলমান রয়েছে তা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। মিয়ানমার চায় দ্বিপাক্ষিকভাবে রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান হোক।
ঢাকার কূটনৈতিক সূত্রগুলো মিয়ানমারের এমন অবস্থানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
তারা বলেছেন, চীন, রাশিয়া ও ভারতেরও পরামর্শ হচ্ছে বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিকভাবে মিয়ানমারের সঙ্গে সংকট সমাধান করুক।
তবে বাংলাদেশ আইসিসিকে বাংলাদেশ তার পর্যবেক্ষণ জানাবে কিনা এমন প্রশ্নে সরাসরি কোনো উত্তর আসেনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলীর দিক থেকে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কানাডা সফর নিয়ে মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, বাংলাদেশ ও রোহিঙ্গাদের স্বার্থ সংরক্ষণে কাজ করছেন তারা। জি-৭ সম্মেলনের আউটরিচ বৈঠকে যোগ দিতে বৃহস্পতিবার কানাডার উদ্দেশে ঢাকা ছাড়বেন প্রধানমন্ত্রী।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, রোহিঙ্গাদের টেকসই ও স্বেচ্ছা প্রত্যাবাসনে কাজ করছে বাংলাদেশ।
রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে পালিয়ে আসার ঘটনায় সম্ভাব্য মানবতাবিরোধী অপরাধ নিয়ে হেগভিত্তিক আন্তর্জাতিক আদালতে মিয়ানমারের বিচার করার এখতিয়ার রয়েছে কিনা তা জানতে চেয়ে প্রসিকিউটর ফাটু বিনসুদা ৯ এপ্রিল আবেদন করেছিলেন। তার প্রেক্ষিতে ১১ জুনের মধ্যে বাংলাদেশ সরকারের লিখিত মতামত জানতে চেয়ে চিঠি দেয় আইসিসি।
গত বছরের ২৫ আগস্ট রাখাইন রাজ্যে সেনাঅভিযান শুরু হওয়ার পর সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা সীমান্ত পার হয়ে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নেয়। ১৯৮২ সাল থেকে নাগরিক অধিকার বঞ্চিত এই জনগোষ্ঠীটির হাজার হাজার মানুষ হত্যা, ধর্ষণ ও ঘর বাড়িতে আগুন দেওয়ার কথা জানা গেছে।
Posted ৩:০০ অপরাহ্ণ | বুধবার, ০৬ জুন ২০১৮
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta