কক্সবাংলা ডটকম(১ নভেম্বর) :: বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যকার রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন চুক্তির সমালোচনা করেছে জাতিসংঘ। জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা জানায়, এই চুক্তি করার আগে তাদের সঙ্গে কোনও আলোচনা করা হয়নি।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা যায়।
গত বছরের ২৫ আগস্ট রাখাইনের কয়েকটি নিরাপত্তা চৌকিতে হামলার পর পূর্ব-পরিকল্পিত ও কাঠামোবদ্ধ সহিংসতা জোরালো করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। হত্যা-ধর্ষণসহ বিভিন্ন ধারার সহিংসতা ও নিপীড়ন থেকে বাঁচতে নতুন করে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ৭ লাখেরও বেশি মানুষ। পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফিরিয়ে নিতে আন্তর্জাতিক চাপের মুখে জানুয়ারিতে বাংলাদেশ-মিয়ানমার প্রত্যাবাসন চুক্তি সম্পন্ন হয়।
পরে গত ৬ জুন নেপিদোতে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে মিয়ানমার ও জাতিসংঘের সংস্থাগুলোর মধ্যেও সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। তবে এখন পর্যন্ত প্রত্যাবাসন চুক্তির আওতায় একজন রোহিঙ্গাকেও ফিরিয়ে নেওয়ার সুনিশ্চিত তথ্য পাওয়া যায়নি। বাংলাদেশ বলছে, এখন পর্যন্ত কোনও রোহিঙ্গাকে আনুষ্ঠানিকভাবে ফিরিয়ে নেয়নি মিয়ানমার।
বাংলাদেশের পক্ষ থেকে মিয়ানমারকে ২৪ হাজার ৩৪২ জন রোহিঙ্গার তালিকা দেওয়া হয়েছে। তবে নিরাপদ প্রত্যবাসন নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। অনেক রোহিঙ্গাই জানাচ্ছে তারা ফিরে যেতে ভয় পাচ্ছে।
বুধবার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেন মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিন্ত থু। রাখাইনে রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসন এবং ফেরার পর নিরাপদ ও সম্মানজনক অবস্থান নিশ্চিত করতে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছেন বলে সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন তিনি। তিনি বলেন, প্রত্যাবাসিত হওয়া রোহিঙ্গাদের মধ্যে সচেতনতা তৈরির জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
এছাড়া আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা যেন আইনি সহায়তা পাওয়ার ক্ষেত্রে স্থানীয় অধিবাসীদের সহায়তা করেনএবং সচেতনতা তৈরি করেন সে বিষয়েও নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলে দাবি করেন মিন্ত।
Posted ১০:৫৮ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ০১ নভেম্বর ২০১৮
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta