কক্সবাংলা ডটকম(১৯ ডিসেম্বর) :: হত্যা-নির্যাতন চালিয়ে লাখ লাখ রোহিঙ্গাকে বাস্তুচ্যুত করার অভিযোগে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা ভাবছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। যদিও ব্রিটেনের তৈরি করা এ সংক্রান্ত খসড়া প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় চীন ও রাশিয়া এ পর্যন্ত থাকেনি।
রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকটে জাতিসংঘের সঙ্গে কাজ করতে চাপ দিতে এ পদক্ষেপ নেওয়া হলেও চীন ও রাশিয়ার ভিন্নমতের কারণে এ প্রস্তাব শেষ পর্যন্ত টিকবে কি না, সে বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছুই বলা যাচ্ছে না।
বাংলাদেশে অবস্থান করা সাত লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থীকে মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনে সময়সীমা বেঁধে দেয়া ও গণহত্যার দায়ে দেশটিকে জবাবদিহির আওতায় নিয়ে আসতে এ খসড়া প্রস্তাবটি প্রস্তুত করা হয়েছে।
জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন এ অভিযানকে গণহত্যা হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। মিয়ানমার তা অস্বীকার করেছে।
সংকটের সমাধানে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি দেখাতে না পারলে নিরাপত্তা পরিষদ মিয়ানমারের ওপর নিষেধাজ্ঞাসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়ার কথা ভাবতে পারবে, প্রস্তাবের খসড়ায় এমন সতর্কবার্তাও থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন কূটনীতিকরা।
নিরাপত্তা পরিষদে কোনো প্রস্তাব অনুমোদিত হতে হলে অন্তত ৯ সদস্যের সমর্থন লাগে। তবে রাশিয়া, চীন, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য কিংবা ফ্রান্সের মধ্যে যে কেউ ভিটো ক্ষমতা প্রয়োগ করলে ওই প্রস্তাব স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল হয়ে যাবে।
ইতোমধ্যেই রাশিয়ার স্থায়ী প্রতিনিধি এ প্রস্তাবকে অপ্রয়োজনীয় বলে মন্তব্য করেছেন। তবে এখনো ভিটো প্রয়োগ করা হয়নি।
Posted ১১:৩১ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০১৮
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta