এম.জিয়াবুল হক,চকরিয়া(১১ এপ্রিল) :: ফাইতংয়ে ইটভাটা মালিকের কুনজর পড়েছে অন্যের সৃজিত রকমারি গাছ বাগানে। আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে প্রায় ৬বছর আগে হোছাইন আহমদ ভুট্টো নামের এক ব্যক্তি রোপন করেছিলেন রকমারি গাছের একটি বাগান।
সেখানে রোপন করেন প্রায় ৪০ হাজার গাছের চারা। ৬বছর পর চারাগাছ বড় আকারে ধারণ করেছে। কিন্ত বাগানের পাশে অবস্থিত একটি ইটভাটা মালিক কৌশলে জায়গাটি দখলে নিতে ফন্দি আঁেটন। শুরু করেন নানা ধরণের চক্রান্ত।
ওই চক্রান্তের অংশ হিসেবে বাগানে দেয়া হয় আগুন। আর তাতে পুড়ে ছাই হয়ে সৃজিত বাগানের প্রায় ৩০ হাজার রকমারি ছোট-বড় গাছ। অপরদিকে স্বাবলম্বি হওয়ার স্বপ্ন থমকে যায় বাগান মালিক ভুট্টোর।
চকরিয়া প্রেসক্লাবে উপস্থিত হয়ে তিনি সাংবাদিকদের কাছে এসব অভিযোগ করেছেন। বলেছেন, ঘটনার নেপথ্যৈ জড়িত থাকা ইটভাটা মালিকের চক্রান্তের বিবরণ। গত রোববার সকালে লামা উপজেলার ফাইতং ইউনিয়নে ঘটেছে বাগানে আগুন দেয়ার এ ঘটনা।
অভিযোগে জানাগেছে, লামা উপজেলার ৩০৬নং ফাইতং ইউনিয়নের লাম্বাশিয়াপাড়া এলাকার বাসিন্দা জাকের আহমদ ওরফে মদনের পুত্র হোছাইন আহমদ ভূট্টোর মালিকানাধীন ১৫ একর জমিতে রকমারি গাছের চারা রোপন করেন। ছয় বছর বয়সী ওইসব চারা বড় হয়েছে।
বাগান মালিক হোছাইন আহমদ ভূট্টো জানান, অনেক কষ্টে আর্থিক স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্নে সৃজন করেন বাগানটি। বাগানের গাছ যখন বড় হয়েছে তখন পাশ্ববর্তী ইটভাটির মালিক আবুল হোসেন সিকদার ইর্ষঅন্বিত হয়ে পড়ে। তার সেই ইর্ষাপরায়তার প্রতিফলন ঘটে রোববার সকালে।
কোনো কারণ ছাড়া সৃজিত বাগানে পরিকল্পিতভাবে আগুন লাগিয়ে দেয় ইটভাটা মালিক সিকদার। মুহুর্তেই বাগানে লাগানো আগুণের লেলিহান শিখা ছড়িয়ে পড়ে বাগানের সবখানে। বাগান পুড়ার খবর পেয়ে লোকজন এগিয়ে আসতে না আসতেই প্রায় ৩০ হাজার গাছ পুড়ে অঙ্গার হয়ে যায়।
বাগান মালিক হোছাইন আহমদ ভুট্টো অভিযোগ করেছেন, কেন তাঁর বাগান পুড়েছে জানতে চাইলে উল্টো ইটভাটা মালিক তাকে হুমকি দেন। ঘটনার সাথে তাকে জড়ানো হলে দেখে নেবে বলেও শাসিয়ে দেয় ইটভাটা মালিক।
এ ঘটনায় অসহায় বাগান মালিক ভুট্টো স্থানীয় ফাইতং পুলিশ ফাঁিড়র ক্যাম্প ইনচার্জকে জানালে ক্যাম্প ইনচার্জ ওইদিন ঘটনাস্থ পরিদর্শণ করেন। এ ব্যাপারে থানায় মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন ক্ষতিগ্রস্ত বাগান মালিক।
Posted ১২:১৩ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১২ এপ্রিল ২০১৮
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta