রবিবার ৫ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২২শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম

রবিবার ৫ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম

শুল্ক কমানোর পরও বাড়ছে চালের দাম

সোমবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৭
617 ভিউ
শুল্ক কমানোর পরও বাড়ছে চালের দাম

কক্সবাংলা ডটকম(১০ সেপ্টেম্বর) :: শুল্ক কমানোর পরও কমছে না চালের দাম। উল্টো চালের দাম আরো বাড়তি। প্রতি কেজি মোটা ও চিকন চালে মানভেদে এক-দুই টাকা পর্যন্ত দাম বেড়েছে। অথচ ব্যবসায়ীরা বলেছিলেন, শুল্ক কমলে চালের দাম কমবে। সরকার গত এক মাসের ব্যবধানে চালে আমদানি শুল্ক ২৬ শতাংশ কমিয়ে মাত্র ২ শতাংশ নির্ধারণ করেছে। এর কোনো প্রভাব নেই বাজারে।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, শুল্ক কমানোর ফলে চালের আমদানি বেড়েছে; কিন্তু তা মূলত আতপ ও ভারতীয় মোটা চাল। সরু ও মাঝারি চাল আমদানি হচ্ছে কম। এর সুযোগ নিচ্ছে দেশের মিল মালিকেরা। পাশাপাশি আমদানিকারকদের কারসাজিতে চালের বাজার ঊর্ধ্বমুখী হয়ে উঠেছে।

ঈদের পনের দিন আগে রাজধানীর পাইকারি বাজারে মোটা চাল (ইরি/স্বর্ণা) ৩৯ টাকা হলেও বর্তমানে তা ৪১ টাকা, বিআর-আটাশ চালের কেজিতে ২ টাকা বেড়ে ৪৮ টাকা, মিনিকেট চাল কেজিতে ১ টাকা বেড়ে ৫৫ থেকে ৫৭ টাকা বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া মানভেদে নাজিরশাইল বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকায়।

বর্তমানে রাজধানীর খুচরাবাজারে প্রতি কেজি মোটা চাল ৪৫ থেকে ৪৬ টাকা, বিআর-আটাশ ৫০ থেকে ৫৪ টাকায়, মিনিকেট ৫৮ থেকে ৬০ ও নাজিরশাইল ৬৫ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

তবে খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম গতকাল রবিবার জাতীয় সংসদে বলেছেন, চালের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। জনগণের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যেই আছে। কোনো রকম বাড়তি দাম নেই।

তিনি বলেন, মিয়ানমারের সাথে আমাদের ৩ লাখ টন চালের চুক্তি হয়েছে।               প্রাথমিক পর্যায়ে ১ লাখ ২০ হাজার টন চাল পাবো। মিয়ানমার থেকে চাল আসতে মাত্র তিন দিন সময় লাগে বলেও তিনি জানান।

বর্তমানে বিশ্ববাজারে চাউলের বুকিং রেটের সাথে সাথে পরিবহন ব্যয় ও কতিপয় ক্ষেত্রে চাঁদাবাজির কারণে প্রতি কেজি চালের ওপর পরিবহন ব্যয় দুই থেকে আড়াই টাকা পড়ছে। ঈদের পর থেকে ভারতের অংশে ৬/৭ দিন এবং বাংলাদেশে দৌলতিয়া ঘাট এলাকায় আরো ৫/৬ দিন ধরে যানজটের কারণে প্রতিটন চাউলের ভাড়া ১২শ থেকে ২২শ টাকায় উন্নীত হয়েছে। চট্টগ্রামের চাক্তাই-খাতুনগঞ্জ এলাকার কয়েকশ চাউল আমদানিকারকের মতে মূল্যের সাথে সাথে পরিবহন ব্যয় ঊর্ধ্বমুখী মূল্যের জন্য অনেকটা দায়ী।

অন্যদিকে আমদানিকারকরা জানান, সরকার মূলত অনেক বেশি দামে চাল ক্রয় করার কারণে বেসরকারি পর্যায়ের আমদানিকারকদের বেকায়দায় পড়তে হচ্ছে। তাদেরকেও বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। তাছাড়া সরকার চাউলের ওপর শুল্ক কমানোর সংবাদে সাপ্লাইয়ারগণ বুকিং রেট বাড়িয়ে দিয়েছে। এতে করে আমদানিকারকগণ শুল্ক কমানোর সুবিধা পাচ্ছে না।

বেসরকারি পর্যায়ে বড় বড় আমদানিকারকদের নিকট অনেক ক্ষেত্রে অপেক্ষাকৃত ছোট আমদানিকারকগণ অসহায়। বড় আমদানিকারকগণ একসাথে বেশি পরিমাণ চাউল ক্রয় করায় কিছুটা কম মূল্যে কিনতে পারে।

বেসরকারি আমদানিকারকগণ ভারত ও মিয়ানমার থেকে চাউল আমদানি করে থাকে। এর মধ্যে প্রধান ও চট্টগ্রামের আমদানিকারকগণ মিয়ানমার থেকে চাউল আমদানি করে থাকে। মিয়ানমার থেকে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে আতপ চাউল আমদানি হয়ে থাকে। এ চাল অপেক্ষাকৃত দামে কম।

এদিকে রোহিঙ্গা সমস্যার কারণে মিয়ানমার থেকে কিছুদিন চাউল আমদানি এক প্রকার বন্ধ হয়ে গেছে। দেশে চাল সংকটের পর শুধু মিয়ানমার থেকে প্রায় ১ লাখ টন চাল আমদানি হয়েছে; কিন্তু গত কয়েকদিন ধরে চাল আমদানি বন্ধ রয়েছে বলে ব্যবসায়ী সূত্রে জানা যায়। মিয়ানমার থেকে সাধারণত আসা আতপ চাউল চট্টগ্রাম অঞ্চলের লোকজন খেয়ে থাকে।

চাল আমদানিকারক আজমীর ট্রেডিংয়ের মালিক মো. ইদ্রিস মিয়া জানান, পাইকারি বাজারে কেজি প্রতি ১ টাকা বাড়লে খুচরা গ্রাম পর্যায়ে তা ৩/৪ টাকা বেড়ে যায়। আবার পাইকারি পর্যায়ে কমলে খুচরা পর্যায়ে কমতে সময় নেয়। এরই মধ্যে দেখা যায়, পাইকারিতে আবার বেড়ে যায়। ফলে খুচরা পর্যায়ে ভোক্তারা সুবিধা পায় না। বিশ্ববাজারে বুকিং রেট বৃদ্ধিসহ মিয়ানমারের সাথে সমস্যা এবং সড়ক পথে বিশাল জটের কারণে চালের মূল্য বৃদ্ধি হয়েছে বলে তিনি জানান।

উল্লেখ্য, বছরে চালের চাহিদা প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টন। এরমধ্যে বোরো মৌসুমে ১ কোটি ৯০ লাখ টন চাল উত্পাদিত হয়; কিন্তু এবার হাওর অঞ্চলে অকাল বন্যাসহ অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগে বোরোর উত্পাদন কম হয়েছে।

খাদ্য মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, গত বোরোতে চালের উত্পাদন ২০ লাখ টন কম হয়েছে। চালের আমদানি বাড়াতে গত ২০ জুন চাল আমদানিতে শুল্কহার ২৮ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করে; কিন্তু এরপরও বাজারে তেমন প্রভাব না পড়ায় গত ১৭ আগস্ট আমদানি শুল্ক আবার কমিয়ে ২ শতাংশ করা হয়।

বর্তমানে সরকারি খাদ্য গুদামে প্রায় সাড়ে ৪ লাখ টন খাদ্যশস্যের মজুদ আছে। অথচ গত বছর একই সময়ে মজুদ খাদ্য ছিল ৯ লাখ ৭ হাজার ১২ টন। ইতোমধ্যে ভিয়েতনাম থেকে আড়াই লাখ টন চাল আমদানির যে সিদ্ধান্ত হয়েছে, তার বেশির ভাগই চলে এসেছে। কম্বোডিয়া থেকে আড়াই লাখ টন চাল আসবে। চালের বাজার স্থিতিশীল রাখতে চলতি অর্থ বছরে মোট ১৫ লাখ টন চাল আসবে বলে খাদ্য মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে।

617 ভিউ

Posted ১:৫৮ পূর্বাহ্ণ | সোমবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৭

coxbangla.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

এ বিভাগের আরও খবর

Editor & Publisher

Chanchal Dash Gupta

Member : coxsbazar press club & coxsbazar journalist union (cbuj)
cell: 01558-310550 or 01736-202922
mail: chanchalcox@gmail.com
Office : coxsbazar press club building(1st floor),shaheed sharanee road,cox’sbazar municipalty
coxsbazar-4700
Bangladesh
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
বাংলাদেশের সকল পত্রিকা সাইট
Bangla Newspaper

ABOUT US :

coxbangla.com is a dedicated 24x7 news website which is published 2010 in coxbazar city. coxbangla is the news plus right and true information. Be informed be truthful are the only right way. Because you have the right. So coxbangla always offiers the latest news coxbazar, national and international news on current offers, politics, economic, entertainment, sports, health, science, defence & technology, space, history, lifestyle, tourism, food etc in Bengali.

design and development by : webnewsdesign.com