কক্সবাংলা ডটকম(২৭ নভেম্বর) :: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কেউ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে-এমন মন্তব্য করে দলীয় প্রার্থীদের সতর্ক করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কেউ পাশ করে আসতে পারবেন না। প্রত্যেক প্রার্থীকেই একজন করে দলীয় ডামি প্রার্থী রাখতে হবে। দলীয় প্রতীকের প্রার্থীর পাশাপাশি দলের যে কোনো নেতা বা ব্যক্তি স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে পারবেন। কারণ নির্বাচনকে প্রতিযোগিতামূলক করতে হবে। রোববার গণভবনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের উদ্দেশে এসব কথা বলেন শেখ হাসিনা।
সংশ্লিষ্ট সূত্র এসব তথ্য জানিয়েছে।
জানা গেছে, আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের ঐক্যবদ্ধ থেকে নৌকার জন্য কাজ করার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ তোষামোদ করে ক্ষমতায় থাকতে চায় না, কারণ জনগণই তার শক্তি। এ মাটি আমাদের। এখানে কারও খবরদারি বরদাশত করা হবে না। আমরা কারও ওপর নির্ভরশীল নই।
দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে গত ১৫ বছরে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ তুলে ধরে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকায় জনগণ শান্তিতে রয়েছে। দেশের জনগণ আবারও আওয়ামী লীগকে ভোট দিলে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকবে। দেশের প্রধানমন্ত্রী ও জাতির পিতার মেয়ে হিসাবে তিনি দলমত নির্বিশেষে সবার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। তার দল গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় টানা তিন মেয়াদে ক্ষমতায় থাকায় দেশের উন্নয়ন আজ দৃশ্যমান।
আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সঙ্গে বৈঠকের আগে গণভবনে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাদের ছাড় দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। তিনি আশ্বস্ত করে বলেন, যারা মানুষ পুড়িয়ে মারবে, গাড়ি, রেল, যানবাহন পোড়াবে, অগ্নিসংযোগ করবে বা যারা হুকুমদাতা ও অর্থদাতা তাদের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যথাযথ ব্যবস্থা নেবে। কারণ আমরা যদি সেই ব্যবস্থা না নিই-এই জ্বালাওপোড়াও তারা চালাতেই থাকবে।
তিনি বলেন, অনেকেই জানতে চান কেন এদের (বিএনপি নেতাকর্মী) অ্যারেস্ট করা হলো। কিন্তু তারা এটা বলে না যে, এরা অগ্নিসন্ত্রাসী, এরা পুলিশ হত্যা করেছে, মানুষ হত্যা করেছে। আর এখন ডিজিটাল যুগ সাধারণ মানুষই এদের ভিডিও তুলে রাখে এবং সঙ্গে সঙ্গে সেই ছবিও পাওয়া যায় আর এই সন্ত্রাসীরা একেবারে চিহ্নিত। জনগণের স্বার্থে, জনগণের সুরক্ষা ও নিরাপত্তার স্বার্থে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কাজ করে যাচ্ছে। তাদের ছাড় দেওয়ার কোনো সুযোগ আছে বলে আমি মনে করি না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি আশা করি এদের অন্তত শুভবুদ্ধির উদয় হবে এবং তারা এগুলো বন্ধ করবে। আর বন্ধ না করলে যা ব্যবস্থা নেওয়ার সেটা আমাদের নিতেই হবে। এটা হলো বাস্তবতা। শুধু দুঃখ লাগে আমাদের ছেলেমেয়েগুলো তাদের ফাইনাল পরীক্ষাটা ভালোভাবে দিতে পারল না।
আগামী দ্বাদশ নির্বাচনকে সামনে রেখে ২৯৮ আসনে দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করেছেন ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। তবে দলটি দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করলেও হিসাব-নিকাশ এখনও অনেক বাকি রয়েছে। রোববার বিকাল ৪টায় ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করেন। এর আগে বেলব ১১টায় গণভবনে দলের ৩ হাজার ৩৬২ জন মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
এতে দলের জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের হতাশ না হওয়ার পরামর্শ দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আগামী নির্বাচন যেন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হয় সেটিও খেয়াল রাখতে হবে। বিরোধী দল না আসা সাপেক্ষে প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন করতে প্রয়োজনে আসন উন্মুক্ত করা হবে। একই সঙ্গে দলীয় ডামি প্রার্থী রাখারও নির্দেশনা দেন তিনি। কেউ স্বতন্ত্র দাঁড়ালে তাকে কোনোভাবেই বাধা দেওয়া যাবে না। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন জোট হবে কি হবে না, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, আমরা প্রতিযোগিতাপূর্ণ নির্বাচন চাই। সে ক্ষেত্রে জোটের কথা এখনই ভাবছি না। এখনও সময় আছে। দেখি কোন কোন দল নির্বাচনে আসে। তারপর জোট করার চিন্তা করা হবে। তবে জোট করলে ছেড়ে দেওয়ার মানসিকতাও থাকতে হবে। সে ক্ষেত্রে সবাইকে ছেড়ে দেওয়ার মানসিকতা রাখতে হবে।
সূত্র জানায়, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় ১৪ দলীয় জোটের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই একটি মানসিক দূরত্ব তৈরি হয়। এমনকি আওয়ামী লীগ এককভাবে সভা, সমাবেশ, সেমিনার করলেও সেখানে ১৪ দলের শরিকদের রাখা হয়নি। অথচ ১৪ দলের শরিক দলগুলো আওয়ামী লীগের প্রতীক নৌকায় নির্বাচন করতে চায়। এমনকি বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) পক্ষ থেকে আওয়ামী লীগের নৌকা চেয়ে ৩টি মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ ও জমা দিয়েছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগের ঘোষিত দলীয় প্রার্থীদের মধ্যে তাদের কারও নাম নেই।
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) ইনু, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টিসহ ১৪ দলের শরিক দলগুলো আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোটবদ্ধভাবে নির্বাচনে যেতে চায়। কিন্তু জাসদ সভাপতি ইনুর কুষ্টিয়া-২ আসনটি শুধু ফাঁকা রাখা হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেননের ঢাকা-৮ আসনে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমকে দেওয়া হয়েছে। ফাঁকা রাখা হয়নি ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশার আসনও। জাসদ সাধারণ সম্পাদক শিরিন আক্তারের আসনটি ফাঁকা রাখা হয়নি। এতে করে কেন্দ্রীয় ১৪ দলীয় জোটের শরিক দলগুলোর মধ্যে ক্ষোভের দানা আরও তীব্র হয়েছে। কেউ কেউ হতাশ হয়ে পড়েছেন।
কেন্দ্রীয় ১৪ দলীয় জোটের শরিক দলের একাধিক নেতা বলেন, ২০১৮ সালের নির্বাচনের পর থেকে আওয়ামী লীগের সঙ্গে কেন্দ্রীয় ১৪ দলীয় জোটের শরিক দলগুলোর মধ্যে দূরত্ব ক্রমশই বেড়ে চলছিল। সেই দূরত্ব সম্প্রতি আরও বেশি দেখা দেয়। বিএনপি-জামায়াতের সরকার পতনের এক দফা আন্দোলনের কর্মসূচির বিপরীতে আওয়ামী লীগ কর্মসূচি দিলেও ১৪ দলের শরিকদের সেখানে রাখা হয়নি। এমনকি শরিক দলগুলোকে আলাদা কোনো কর্মসূচি থেকে বিরত রাখা হয়েছে।
আওয়ামী লীগ বলছে, প্রয়োজন হলে বলব। কিন্তু এটি আরও স্পষ্ট হলো আওয়ামী লীগের ৩০০ আসনে ২৯৮ জনকে দলীয় প্রার্থী ঘোষণায়। এতে শরিক দলগুলোর মধ্যে চরম হতাশা তৈরি হয়েছে। যদিও আমরা শুনেছি, রোববার গণভবনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় জোট নেত্রী বলেছেন, জোট হবে কি হবে না, সেটি এখনই বলতে পারছি না। তবে নির্বাচন হবে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ। এমনকি তিনি প্রত্যেক আসনে ডামি ক্যান্ডিডেটও রাখতে বলেছেন। এতে করে শরিক দলগুলোর মধ্যে হতাশা বেড়েছে। তবে আবার জোট নেত্রী শেখ হাসিনা এও বলছেন, যাদের দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হবে, তাদের ছেড়ে দেওয়ার মানসিকতাও রাখতে হবে। কারণ দীর্ঘদিন আমরা যাদের সঙ্গে চলেছি বা যারা আমাদের সঙ্গে আছেন, তাদেরও আমরা ফেলে দিতে পারি না।
এ ছাড়া দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাবেক রাষ্ট্রপতি বদরুদ্দোজা চৌধুরীর দল বিকল্প ধারাও আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোট করে নির্বাচন করতে চায়। পাশাপাশি তৃণমূল বিএনপি, বিএনএম, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহীম বীর প্রতীকের নেতৃত্ব যুক্তফ্রন্ট নামের নতুন জোট হয়েছে। এ দলের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি (হাতঘড়ি প্রতীক), বাংলাদেশ মুসলীম লীগ-বিএমএল (হাতপাঞ্জা), বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (কাঁঠাল প্রতীক)। আরও রয়েছে ইসলামি দল। ইতিমধ্যে ইসলামি দলগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, ইসলামী ঐক্যজোট, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ, বাংলাদেশ সুপ্রীম পার্টি, বাংলাদেশ ইসলামী ঐক্যজোট, আশেকানে আউলিয়া ঐক্য পরিষদ এবং জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করেছেন।
এ সময় শেখ হাসিনা তাদের আসন ছেড়ে দেওয়ার বিষয়ে আশ্বাস দিয়েছেন। এ দলগুলোও আগামী নির্বাচনে আসন চায় আওয়ামী লীগের কাছে। এতে করে আওয়ামী লীগ ৩০০ আসনের বিপরীতে ২৯৮ জনকে দলীয় মনোনয়ন দিলেও এখান থেকে ছেড়ে দিতে হতে পারে দলের প্রায় ৭০টি আসন। ফলে এখনও অনেক হিসাব-নিকাশ বাকি রয়েছে। এ ছাড়াও বিএনপি নির্বাচনে এলে জাতীয় পার্টিকেও আসন ছেড়ে দিতে হতে পারে।
গণভবনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় উপস্থিত একজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আমাদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন। এ সময় নেত্রী বলেছেন, প্রতিটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন করতে। সে ক্ষেত্রে স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে পারে। একই আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় ১৪ দলীয় জোট সম্পর্কে বলেছেন, আমরা ৩০০ আসনেই দলীয় মনোনয়ন দেব। কিন্তু প্রতিটি ছেড়ে দেওয়ার মানসিকতা থাকতে হবে। আমাদের সঙ্গে জোট আছে। জোট থাকবে কি থাকবে না, সেটা এখনই কিছু বলছি না। কিন্তু তারা যেহেতু আমাদের সঙ্গে আছেন, তাদের ছেড়ে দিতে হতে পারে। তাই সবাইকে প্রস্তুত থাকতে হবে, প্রয়োজনে দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার পরেও তা প্রত্যাহার করতে হবে।
এ প্রসঙ্গে জাসদ সাধারণ সম্পাদক শিরিন আক্তার বলেন, আমাদের সঙ্গে এখনও কোনো আলোচনা হয়নি। আলোচনা হলে বলতে পারব কী হবে। হয়তো আজ সোমবার বা মঙ্গলবার ১৪ দলীয় জোট নেতাদের ডাকতে পারে। তা হলে বোঝা যাবে কী হবে। আর যদি এমন পরিস্থিতি হয়, তা হলে জাসদ তার নিজস্ব প্রতীকে নির্বাচন করবে।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম) মহাসচিব ও মুখপাত্র ড. মো. শাহজাহান বলেন, আমরা আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোটবদ্ধ নির্বাচনে যাচ্ছি না। আমাদের দল নিজস্ব প্রতীকে নির্বাচন করবে। এমনকি অন্য কোনো দল আমাদের সঙ্গে এলে তারাও আমাদের প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নেবে। ফলে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী ঘোষণা এটি নিয়ে আাদের কোনো মাথাব্যথা নেই।
বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) আহ্বায়ক রেজাউর রশিদ খান বলেন, আওয়ামী লীগ সভাপতি ও জোট নেত্রী আমাদের বলেছিলেন, শরিক দলগুলোর প্রত্যেককেই ন্যূনতম একটি আসন দেবেন। তবে কেন্দ্রীয় শরিক দলগুলোর সঙ্গে এখনও কোনো আলোচনা হয়নি। আমার দল থেকে নৌকার মনোনয়নের জন্য তিনটি আসন মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করা হয়েছি। যেহেতু আওয়ামী লীগ তাদের দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করেছে, এখনও সময় আছে। আজ সোমবার বা কাল মঙ্গলবার আমাদের সঙ্গে জোট নেত্রী বসবেন। তারপর বলতে পারব, আসলে ১৪ দলীয় শরিক দলগুলোকে নিয়ে কীভাবে ভাবছে আওয়ামী লীগ। তারপরেও আমাদের দলের প্রতীক নিয়ে ১১ জন দলীয় মনোনয়ন নিয়েছেন। তারা দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করবে।
জাতীয় পার্টি জেপির সাধারণ সম্পাদক শেখ শহীদুল ইসলাম বলেন, আওয়ামী লীগের সঙ্গে এখনও কোনো কথা হয়নি। দুয়েক দিনের মধ্যে হবে। আর আমাদেরও দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রি গত শনিবার শেষ হয়েছে। যেহেতু আওয়ামী লীগ তাদের দলীয় মনোনয়ন ঘোষণা করেছে, তাই এখনও কিছু বলতে পারছি না। জোট নেত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আলাপে তিনি কি বলেন, তখন আমরা বাকি সিদ্ধান্ত নেব। কোথাও ছাড় দিলে সেখানে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করবে আমাদের দলের প্রার্থীরা। আর অন্যরা আমাদের দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করবে।
Posted ৩:২৯ পূর্বাহ্ণ | সোমবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৩
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta