মঙ্গলবার ৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৪শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম

মঙ্গলবার ৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম

সঞ্চয়পত্রের কারণে সরকারের ব্যাংক নির্ভরতা কমছে

শনিবার, ২৭ অক্টোবর ২০১৮
319 ভিউ
সঞ্চয়পত্রের কারণে সরকারের ব্যাংক নির্ভরতা কমছে

কক্সবাংলা ডটকম(২৬ অক্টোবর) :: আমানতের সুদ হারের চেয়ে সঞ্চয়পত্রে মুনাফা বেশি পাওয়ায় বিনিয়োগকারীরা এ খাতে ঝুঁকছেন। ফলে বাজেটের ঘাটতি পূরণে বড় অংশই আসছে সঞ্চয়পত্র থেকে। এ কারণে ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে খুব বেশি ঋণ নেয়ার দরকার হচ্ছে না সরকারের। অর্থাৎ সরকারের ব্যাংক নির্ভরতা কমছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, অধিক পরিমাণে সঞ্চয়পত্র বিক্রি ও বৈদেশিক সহায়তা আসায় ব্যাংক থেকে সরকারের ঋণ নিতে হচ্ছে না। কিন্তু সঞ্চয়পত্রের ওপর অতি নির্ভরশীলতার কারণে সুদ বাবদ সরকারের ব্যয় দিন দিন বাড়ছে। অর্থনীতিতে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন অর্থনীতিবিদরা।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ব্যাংকে আমানতের সুদহারের তুলনায় সঞ্চয়পত্রের সুদহার বেশি। যার কারণে জীবনযাত্রার ব্যয় মেটানোর জন্য অনেকেই ব্যাংক থেকে আমানত তুলে সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ করছেন।

তিনি বলেন, সঞ্চয়পত্রের এ ঋণের টাকা সরকারকে যথাযথ স্থানে বিনিয়োগ করতে হবে। নতুবা তা বোঝা হয়ে দাঁড়াবে। কারণ সঞ্চয়পত্রের ওপর নির্দিষ্ট হারে সুদ দিতে হয় সরকারকে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, চলতি অর্থবছরে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো থেকে নিট দুই হাজার ৯শ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে সরকার। ফলে বর্তমানে ব্যাংক ব্যবস্থায় সরকারের মোট ঋণের স্থিতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৯১ হাজার ২শ কোটি টাকা। গত ৩০ জুন পর্যন্ত যা ছিল ৮৮ হাজার ২৫৭ কোটি টাকা।

এই সময়ে সরকার কেন্দ্রীয় ব্যাংককে ঋণ বাবদ পরিশোধ করেছে ৭ হাজার ৬৬৬ কোটি টাকা। ফলে বাংলাদেশ ব্যাংকে মোট ঋণ গত অর্থবছরের চেয়ে কমে ১৫ হাজার ৯৭৯ কোটি টাকায় নেমেছে। গত জুন শেষে যা ছিল ২৩ হাজার ৬৪৫ কোটি টাকা।

বাজেট ঘাটতি মেটাতে চলতি (২০১৮-১৯) অর্থবছর ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে ৪২ হাজার ২৯ কোটি ঋণ গ্রহণের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছে সরকার। আর সঞ্চয়পত্র বিক্রি থেকে ঋণের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ২৬ হাজার ১৯৭ কোটি টাকা।

এদিকে গত অর্থবছরের মূল বাজেটে ২৮ হাজার ২০৩ কোটি টাকার ব্যাংক ঋণের লক্ষ্যমাত্রা ধরলেও অর্থবছর শেষে তা দাঁড়ায় মাত্র ৯২৬ কোটি টাকা।

সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে (জুলাই-আগস্ট) নিট ৯ হাজার ৫৭ কোটি টাকার ঋণ এসেছে সঞ্চয়পত্র থেকে। এ সময়ে মোট সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে ১৪ হাজার ৯৬২ কোটি টাকার। এর মধ্যে আগের কেনা সঞ্চয়পত্রের মূল ও সুদ পরিশোধ বাবদ ব্যয় হয়েছে পাঁচ হাজার ৯৫০ কোটি টাকা। এর মধ্যে শুধু সুদ বাবদ পরিশোধ হয়েছে তিন হাজার ৬০৬ কোটি টাকা।

তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত কয়েক বছর ধরে সরকার ঘাটতি বাজেট অর্থায়নে সঞ্চয়পত্রের ওপর বেশি জোর দিচ্ছে। গেল ২০১৭-১৮ অর্থবছরের ১২ মাসে মোট ৭৮ হাজার ৭৮৪ কোটি টাকার সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়। এর মধ্যে মূল ও মুনাফা বাবদ পরিশোধে ব্যয় হয় ৩২ হাজার ২৫৪ কোটি টাকা। শুধু মুনাফা বা সুদ বাবদ পরিশোধ হয়েছে ২০ হাজার কোটি টাকা।

সর্বশেষ ২০১৫ সালের ১০ মে সব ধরনের সঞ্চয়পত্রের সুদহার গড়ে ২ শতাংশ কমানো হয়েছিল। কিন্তু তাতে সঞ্চয়পত্রের বিক্রি কমেনি। বর্তমানে পরিবার সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার ১১ দশমিক ৫২ শতাংশ।

পাঁচ বছর মেয়াদে বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার ১১ দশমিক ২৮ শতাংশ, তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার ১১ দশমিক ০৪ শতাংশ, পেনশনার সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার ১১ দশমিক ৭৬ শতাংশ।

২০১৫ সালের ২৩ মের পর থেকে এ হার কার্যকর আছে। এর আগে সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার ছিল ১৩ শতাংশেরও বেশি।

319 ভিউ

Posted ১২:০০ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ২৭ অক্টোবর ২০১৮

coxbangla.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

এ বিভাগের আরও খবর

Editor & Publisher

Chanchal Dash Gupta

Member : coxsbazar press club & coxsbazar journalist union (cbuj)
cell: 01558-310550 or 01736-202922
mail: chanchalcox@gmail.com
Office : coxsbazar press club building(1st floor),shaheed sharanee road,cox’sbazar municipalty
coxsbazar-4700
Bangladesh
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
বাংলাদেশের সকল পত্রিকা সাইট
Bangla Newspaper

ABOUT US :

coxbangla.com is a dedicated 24x7 news website which is published 2010 in coxbazar city. coxbangla is the news plus right and true information. Be informed be truthful are the only right way. Because you have the right. So coxbangla always offiers the latest news coxbazar, national and international news on current offers, politics, economic, entertainment, sports, health, science, defence & technology, space, history, lifestyle, tourism, food etc in Bengali.

design and development by : webnewsdesign.com