কক্সবাংলা ডটকম(২৯ জুলাই) :: সব ধরনের সঞ্চয়পত্রে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগে উৎসে কর ৫ শতাংশই কাটা হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তবে বিনিয়োগ ৫ লাখ টাকার ওপরে গেলে উৎসে কর ১০ শতাংশই থাকছে।
সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভুঁইয়া এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
সব ধরনের সঞ্চয়পত্রের মুনাফার ওপর উেস কর ৫ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করে গত ২৯ জুন অর্থবিল, ২০১৯ পাস হয়। এ নিয়ে আলোচনা হয় সংসদের ভেতরে ও বাইরে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, সঞ্চয়পত্রে করের বিষয়টি এবারের বাজেটেই পাস হয়েছে। প্রথমে পেনশনারদের জন্যই সঞ্চয়পত্রের বিষয়টি আসে। এরপর এটির বিস্তৃতি ঘটে। তবে বিস্তৃতির পর এক্ষেত্রে অপব্যবহার বেড়ে গেছে। ফলে সঞ্চয়পত্রের সুবিধা গরিব ও পেনশনারদের পরিবর্তে পাচ্ছেন ধনীরা।
তিনি বলেন, সঞ্চয়পত্রে পেনশনারদের ক্ষেত্রে বাজেটের আগেও যে সুবিধা ছিল, এখনো সেটা বলবৎ থাকবে। আর ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের
জন্য সব ক্ষেত্রে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগে মুনাফার ওপর উৎসে কর ৫ শতাংশ। এজন্য শিগগিরই এনবিআর এ-সংক্রান্ত এসআরও জারি করবে। এটির কার্যকারিতা ১ জুলাই থেকেই ধরা হবে। ৫ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগে উৎসে কর হবে ১০ শতাংশ।
সঞ্চয়পত্রে আপনার কোনো বিনিয়োগ আছে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে অর্থমন্ত্রী বলেন, সঞ্চয়পত্রে আমার কোনো বিনিয়োগ নেই, যা আছে তা এফডিআর।
ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষার বিষয়ে আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, যারা অন্য জায়গায় বিনিয়োগ করতে পারে না, তারা সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ করুক, এটা আমরা চাই। কিন্তু এখানে অপব্যবহার হচ্ছে। তাই আমরা সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগের বিষয়টিতে আরো স্বচ্ছতা আনতে চাই।
৫ লাখ টাকার পরিমাণটা অনেক কম হয়ে যাচ্ছে কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, সঞ্চয়পত্রের বিকল্প হিসেবে আমরা বন্ড মার্কেট নিয়ে আসব। ভারতে সঞ্চয়পত্রের চেয়ে বন্ড মার্কেটে বিনিয়োগ বেশি। বন্ড মার্কেটটা চালু করতে পারলে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীসহ সবাই এতে বিনিয়োগ করে একটা নির্দিষ্ট মুনাফা পাবে। এক্ষেত্রে কোনো অপব্যবহার হবে না।
এক প্রশ্নের উত্তরে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমরা চাই না, মানুষ সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ করুক। আমরা চাই তারা ব্যাংকে বিনিয়োগ করুক। যেখানে বিনিয়োগ করলে অর্থনীতি শক্তিশালী হবে, আমরা সেখানেই বিনিয়োগ নিয়ে যেতে চাই। আর সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগে স্বচ্ছতা থাকে না। আমরা তো দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দিতে পারি না। আমরা এক্ষেত্রে স্বচ্ছতা আনতে ডাটাবেজ তৈরি করেছি। ডাটাবেজ দেখে নিশ্চিত হব, কে কোথায় কত টাকা বিনিয়োগ করেছে। তারপর পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেব।
Posted ২:৪৩ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ৩০ জুলাই ২০১৯
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta