শুক্রবার ১৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৩রা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম

শুক্রবার ১৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম

সমঝোতার বলি হচ্ছেন যেসব নৌকার মাঝি

বৃহস্পতিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩
41 ভিউ
সমঝোতার বলি হচ্ছেন যেসব নৌকার মাঝি

কক্সবাংলা ডটকম(৭ ডিসেম্বর) :: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আসন সমঝোতা নিয়ে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সঙ্গে দেন-দরবার চলছে জাতীয় পার্টি ও কেন্দ্রীয় ১৪ দলীয় জোটের শরিকদের।

আওয়ামী লীগ ৩০০ আসনের মধ্যে ২টি ফাঁকা রেখে ২৯৮ আসনে দলী মনোনয়ন দিয়েছে। ইতিমধ্যে ৬টি আসনে নৌকার প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে।

প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, আওয়ামী লীগের সঙ্গে জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের শরিকদের মধ্যে আসন সমঝোতায় আরও কত নৌকার মাঝি সমঝোতার বলি হচ্ছেন!

সূত্র জানায়, বর্তমান একাদশ জাতীয় সংসদে জাতীয় পার্টি থেকে ২৩ জন এমপি রয়েছেন। তবে আগামী নির্বাচনে জাতীয় পার্টি লাঙ্গল প্রতীকে নির্বাচন করলেও আওয়ামী লীগের কাছ থেকে কমবেশি ৩৫টি আসনে ছাড় পেতে যাচ্ছে।

বর্তমান সংসদে জাতীয় পার্টির এমপিরা হলেন-ঠাকুরগাঁও-৩ হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, নীলফামারী-৩ রানা মোহাম্মদ সোহেল, নীলফামারী-৪ আহসান আদেলুর রহমান, লালমনিরহাট-৩ গোলাম মোহাম্মদ কাদের, রংপুর-১ মো. মসিউর রহমান রাঙ্গা, রংপুর-৩ রাহগির আল মাহি এরশাদ, কুড়িগ্রাম-২ পনিরউদ্দিন আহমেদ, গাইবান্ধা-১ শামীম হায়দার পাটোয়ারি, বগুড়া-২ শরিফুল ইসলাম জিন্নাহ, বগুড়া-৩ মো. নুরুল ইসলাম তালুকদার, বরিশাল-৪ গোলাম কিবরিয়া টিপু, বরিশাল-৬ নাসরিন জাহান রত্না, পিরোজপুর-৩ মো. রুস্তুম আলী ফরাজী, ময়মনসিংহ-৪ রওশন এরশাদ, ময়মনসিংহ-৮ ফখরুল ইমাম, কিশোরগঞ্জ-৩ মো. মুজিবুল হক, ঢাকা-৪ সৈয়দ আবু হোসেন, ঢাকা-৬ কাজী ফিরোজ রশিদ, নারায়ণগঞ্জ-৩ লিয়াকত হোসেন খোকা, নারায়ণগঞ্জ-৫ এ কে এম সেলিম ওসমান, সুনামগঞ্জ-৪ পীর ফজলুর রহমান, ফেনী-৩ মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী, চট্টগ্রাম-৫ আনিসুল ইসলাম মাহমুদ।

আওয়ামী লীগের সঙ্গে সমঝোতা হলে যে কোনোভাবেই এ ২৩টি আসনে থাকতে চাইবে জাতীয় পার্টি। এতে এসব আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার না করলেও তাদের ডামি ক্যান্ডিডেট হিসেবে রাখা হতে পারে। যদিও ফাঁকা রাখা হয়েছে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসন। তবে এ আসনে জাতীয় পার্টির বর্তমান এমপি এ কে এম সেলিম ওসমানকেই দেওয়া হতে পারে।

সঙ্গত কারণে বর্তমানে জাতীয় পার্টির ২৩টি আসনের মধ্যে অন্তত ২২ জন নৌকার মাঝিকে সমঝোতার বলি হতে হচ্ছে।

এতে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ঠাকুরগাঁও-৩ মো. ইমদাদুল হক, নীলফামারী-৩ মো. গোলাম মোস্তফা, নীলফামারী-৪ মো. জাকির হোসেন বাবুল, লালমনিরহাট-৩ মো. মতিয়ার রহমান, রংপুর-১ মো. রেজাউল করিম রাজু, রংপুর-৩ তুষার কান্তি ম-ল, কুড়িগ্রাম-২ মো. জাফর আলী, গাইবান্ধা-১ আফরোজা বারী, বগুড়া-২ তৌহিদুর রহমান মানিক, বগুড়া-৩ মো. সিরাজুল ইসলাম খান রাজু, বরিশাল-৪ শাম্মী আহমেদ, বরিশাল-৬ আবদুল হাফিজ মল্লিক, পিরোজপুর-৩ মো. আশরাফুর রহমান, ময়মনসিংহ-৪ মোহাম্মদ মোহিত উর রহমান, ময়মনসিংহ-৮ মো. আব্দুছ ছাত্তার, কিশোরগঞ্জ-৩ মো. নাসিরুল ইসলাম খান, ঢাকা-৪ সানজিদা খানম, ঢাকা-৬ মোহাম্মদ সাঈদ খোকন, নারায়ণগঞ্জ-৩ আব্দুল্লাহ-আল-কায়সার, সুনামগঞ্জ-৪ মোহম্মদ সাদিক, ফেনী-৩ মো. আবুল বাশার, চট্টগ্রাম-৫ মোহাম্মদ আবদুস সালামকে নৌকার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করতে হবে।

আর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার না করলেও তাদের ডামি ক্যান্ডিডেট হিসেবে থাকতে হবে। অর্থাৎ সমঝোতার খেলায় বলি হচ্ছেন নৌকার এ মাঝিরা।

এ ছাড়া আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের শরিকদের ৫টি আসনে ছাড় দেবে এমন আভাস দিয়েছে দলটি। এর মধ্যে কুষ্টিয়া-২ আসনে কোনো প্রার্থী দেয়নি আওয়ামী লীগ। ফলে এ আসনটি জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনুকে দেওয়া হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন মনোনয়নপত্র তুলেছেন বরিশাল-২ ও ৩ আসন থেকে। তিনি চান বরিশাল-২ আসন। এ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী তালুকদার মো. ইউনুস। ফলে মেননকে রবিশাল-২ আসনে নৌকা দিতে হলে তালুকদার মো. ইউনুসকে মনোনয়ন প্রত্যাহার করতে হবে।

এ ছাড়া জাতীয় পার্টির (জেপি) চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু পিরোজপুর-২ আসন চান। কিন্তু পিরোজপুর-২-এ কানাই লাল বিশ্বাসকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। এ আসনে মঞ্জুকে নৌকা দিতে হলে কানাই লাল বিশ্বাসকে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করতে হবে। তরিকত ফেডারেশনের সভাপতি নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারি চট্টগ্রাম-২ আসন চান। এ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী খাদিজাতুল আনোয়ার। তাকে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করতে হবে। নৌকা চান বাসদ আহ্বায়ক রেজাউর রশিদ খানও।

এ ছাড়া জাসদ সাধারণ সম্পাদক শিরিন আখতার ফেনী-১ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য। তিনিও নৌকা চান। কিন্তু এ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী আলাউদ্দিন আহম্মদ চৌধুরী। ফলে শিরিন আখতারকে এ আসনে নৌকা দিতে হলে আলাউদ্দিনকে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করতে হবে। কিন্তু শিরিন আখতারকে নৌকা দিতে নারাজ আওয়ামী লীগ। তাকে সংরক্ষিত আসনে সংসদ সদস্য করতে চায় আওয়ামী লীগ।

এর বাইরেও ঝালকাঠি-১ (রাজাপুর-কাঁঠালিয়া) আসনে আওয়ামী লীগের আলোচিত প্রার্থী বিএনপির সাবেক নেতা মেজর (অব.) শাহজাহান ওমরের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। এ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য বজলুল হক হারুনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে।

মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইকালে কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সালাহ উদ্দীন আহমদের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।

মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে নোয়াখালী-৩ (বেগমগঞ্জ) আসনে বর্তমান এমপি আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মামুনুর রশিদ কিরণের। বরিশাল-৪ আসনের আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী শাম্মী আহমেদ এবং কিশোরগঞ্জ-৩ (করিমগঞ্জ-তাড়াইল) আসনে নাসিরুল ইসলাম খান আওলাদেরও মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে।

এ ছাড়া কক্সবাজার-১ আসনে বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিমের মনোনয়পত্র বৈধ হয়েছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের এক সদস্য ও দলের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সদস্য বলেন, আওয়ামী লীগ একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন উপহার দিতে চায়। ইতিমধ্যে প্রায় ২৯টি দল নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

যেহেতু বিএনপি নির্বাচনে আসেনি, সে ক্ষেত্রে নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে অনেক কিছু হিসাব-নিকাশ করতে হচ্ছে আওয়ামী লীগকে। কোন দল বিরোধী দল হিসেবে সংসদে প্রতিনিধিত্ব করবে, সেই হিসাবটাও করতে হচ্ছে।

ইতিমধ্যে আসন বণ্টন নিয়ে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় ১৪ দলীয় জোটের শরিকদের সঙ্গে আলাপ আলোচনা হয়েছে। এই শরিক দলগুলোকে ৫-৬টি আসন দেওয়া হতে পারে।

যেসব আসনে তাদের প্রার্থী করা হবে, সেখানে নৌকার প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করবে। এ ছাড়া জাতীয় পার্টির সঙ্গেও আলোচনা চলছে। তাদের সঙ্গে সমঝোতা হলে, সেখানে কি আওয়ামী লীগের প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করবে না ডামি ক্যান্ডিডেট হিসেবে থাকবে, সেটি আলোচনার ভিত্তিতে সমাধান হবে।

আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য ও দলের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সদস্য কাজী জাফর উল্ল্যাহ বলেন, নৌকার প্রার্থী কে থাকবে বা থাকবে না, সেটি এখনই বলা যাবে না। জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলীয় জোটের শরিকদের সঙ্গে আলোচনা চলছে। এখনও অনেক সময় বাকি। দেখা যাক কী হয়।

আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য আবদুর রহমান বলেন, সমঝোতা হলে অনেক কিছুই হতে পারে। তবে সমঝোতা কতটুকু হয়, সেটি আগে দেখি। এখনও অনেক সময় আছে। এখনও আলোচনা চলছে। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের আগের দিন পর্যন্ত এটি চলবে।

বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বলেন, আমার সঙ্গে আওয়ামী লীগের কোনো সমঝোতা হয়নি। আর আমি কোনো সমঝোতা করতেও চাই না। কারণ আমার পার্টির প্রতীক হাতঘড়ি। আমার দল হাতঘড়ি প্রতীক নিয়েই নির্বাচনে অংশ নিতে চায়।

নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন আগামী ১৭ ডিসেম্বর। প্রতীক বরাদ্দ ১৮ ডিসেম্বর আর ভোটগ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি।

 

41 ভিউ

Posted ৮:২৯ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩

coxbangla.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

এ বিভাগের আরও খবর

Editor & Publisher

Chanchal Dash Gupta

Member : coxsbazar press club & coxsbazar journalist union (cbuj)
cell: 01558-310550 or 01736-202922
mail: chanchalcox@gmail.com
Office : coxsbazar press club building(1st floor),shaheed sharanee road,cox’sbazar municipalty
coxsbazar-4700
Bangladesh
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
বাংলাদেশের সকল পত্রিকা সাইট
Bangla Newspaper

ABOUT US :

coxbangla.com is a dedicated 24x7 news website which is published 2010 in coxbazar city. coxbangla is the news plus right and true information. Be informed be truthful are the only right way. Because you have the right. So coxbangla always offiers the latest news coxbazar, national and international news on current offers, politics, economic, entertainment, sports, health, science, defence & technology, space, history, lifestyle, tourism, food etc in Bengali.

design and development by : webnewsdesign.com