মঙ্গলবার ২রা জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৮ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম

মঙ্গলবার ২রা জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম

সম্পদের হিসাব দিতে আমলাদের অনীহা : দিচ্ছে না পুলিশ সদস্যরাও

রবিবার, ৩০ জুন ২০২৪
17 ভিউ
সম্পদের হিসাব দিতে আমলাদের অনীহা : দিচ্ছে না পুলিশ সদস্যরাও

কক্সবাংলা ডটকম(৩০ জুন) :: সরকারি চাকুরেদের প্রতি পাঁচ বছর পর সম্পদের হিসাব বিবরণী জমা দিতে হবে। বিদ্যমান ‘সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা, ১৯৭৯-এ এমনটাই বলা আছে। কিন্তু আইনের এই নির্দেশনা মানছেন না সরকারি চাকুরেরা।

প্রভাবশালী কর্মকর্তাদের অনেকে চাকরিরত অবস্থায় সম্পদের পাহাড় গড়লেও তার কোনো হিসাব নেই সরকারি দপ্তরে। এতে বেড়েছে দুর্নীতি ও অবৈধ আয়ে সম্পদ গড়ার প্রবণতা।

সম্প্রতি ছেলের ছাগল-কাণ্ডে ফাঁস হয়েছে শুল্ক কর্মকর্তা মতিউর রহমান ও তাঁর পরিবারের বিপুল সম্পদের তথ্য। এ নিয়ে বিতর্কের মধ্যেই জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে তাঁকে।

উচ্চপদস্থ আরেক কর্মকর্তা এনবিআরের প্রথম সচিব আবু মাহমুদ ফয়সালের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে হাজার কোটি টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগ এনেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

এসব নিয়ে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশের পর থেকেই সরকারি চাকরিজীবীদের সম্পদের হিসাব দেওয়ার বিষয়টি আবার সামনে উঠে এসেছে।

গত ২০ জুন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন জাতীয় সংসদে বলেছেন, ‘সরকারি কর্মচারীদের স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের বার্ষিক হিসাব বাধ্যতামূলক করা এখন সময়ের দাবি। কিছুসংখ্যক দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তার কারণে দেশের সুনাম নষ্ট হচ্ছে।

স্বচ্ছতা, জবাবদিহি ও কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করলে দুর্নীতি কমবে। আমলাদের একটি অংশ দুর্নীতিপরায়ণ হয়ে উঠেছে এবং তাতে জনগণের হয়রানি বাড়ছে।’

বিদ্যমান ‘সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা, ১৯৭৯’ অনুযায়ী সরকারি চাকরিজীবীদের প্রতি পাঁচ বছর পর সম্পদের হিসাব বিবরণী জমা দিতে হবে।

এতে বলা হয়েছে, ‘প্রত্যেক সরকারি কর্মচারী প্রতি পাঁচ বছর অন্তর প্রদর্শিত সম্পত্তির হ্রাস-বৃদ্ধির হিসাব বিবরণী যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে সরকারের কাছে দাখিল করবেন।

প্রত্যেক সরকারি কর্মচারী চাকরিতে প্রবেশের সময় যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে সরকারের কাছে তার অথবা তার পরিবারের সদস্যদের মালিকানাধীন বা দখলে থাকা শেয়ার, সার্টিফিকেট, সিকিউরিটি, বিমা পলিসি এবং ৫০ হাজার টাকা বা ততধিক মূল্যের অলঙ্কারাদিসহ স্থাবর/অস্থাবর সম্পত্তির ঘোষণা দেবেন।’

কিন্তু ৪৫ বছর আগের আইনটি মানছেন না অধিকাংশ সরকারি চাকরিজীবী।

আইনটি কার্যকর করতে ২০২২ সালের ১৬ জুন জাতীয় সংসদে অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে তৎকালীন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছিলেন, ‘সরকারি চাকরিজীবীদের সম্পদের হিসাবের বিবরণ দেওয়া বাধ্যতামূলক করতে আচরণ বিধিমালা, ১৯৭৯ হালনাগাদ করা হচ্ছে।’

প্রতিমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের পর উল্টো সম্পদের হিসাবে ছাড় দেওয়ার প্রস্তাব করে সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা, ২০২২ এর খসড়া চূড়ান্ত করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

এতে বলা হয়, যাঁরা নিয়মিত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর) আয়কর রিটার্ন দাখিল করেন, তাঁদের আলাদাভাবে কোনো সম্পদের হিসাব জমা দিতে হবে না।

সরকার প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট কর্মচারীর এনবিআরে দাখিল করা সম্পত্তির হিসাব বিবরণী সংগ্রহ করবে।

সম্পদের হিসাব না দিতেই আমলারা এ বিধান সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা, ২০২২ এর খসড়ায় অন্তর্ভুক্ত করেছেন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

প্রশাসন বিশেষজ্ঞ, প্রশাসনবিষয়ক বহু গ্রন্থের প্রণেতা ও সরকারের সাবেক অতিরিক্ত সচিব মো. ফিরোজ মিয়া বলেন, ‘প্রতিবেশী দেশ ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আয়কর রিটার্নের পাশাপাশি প্রতিবছর সরকারি কর্মচারীরা সম্পদের হিসাব দিয়ে থাকেন।

ভারতে শুধু সম্পদের হিসাব প্রদান তদারকির জন্য একজন উপসচিবের নেতৃত্বে একটি সেল কাজ করছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আয়কর রিটার্ন ও সম্পদের হিসাব প্রদান এক নয়। কালোটাকা সাদা করা ও আয়করের মাধ্যমে রাজস্ব বৃদ্ধি করা এনবিআরের কাজ।

আর সম্পদের হিসাব অন্য জিনিস। কীভাবে, কোন উৎস থেকে সম্পদ বাড়ল, তার তদারক করা এনবিআরের কাজ নয়। সুতরাং দুটি দুই জিনিস, উদ্দেশ্যও আলাদা।’

জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৯ সালের ১৭ জানুয়ারি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় পরিদর্শনের সময় দুর্নীতি বন্ধে সরকারি কর্মচারীদের বিভিন্ন নির্দেশনা দেন।

এগুলোর মধ্যে দুর্নীতি প্রতিরোধে কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব দেওয়ার বিষয়টিও ছিল।

প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসনের পর সম্পদ বিবরণী দাখিল ও স্থাবর সম্পত্তি অর্জন বা বিক্রির নিয়ম মানতে সব মন্ত্রণালয়ে ২০২১ সালের ২৪ জুন চিঠি দেয় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। কিন্তু এতে সাড়া দেননি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

এরপর ২০২২ সালের মার্চে আবার তাগিদ দিয়ে সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগে চিঠি দেয় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। তারপরও সাড়া মেলেনি।

উল্টো দিন দিন বাড়ছে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবৈধ সম্পদ অর্জনের প্রতিযোগিতা।

সরকারি চাকুরেদের দুর্নীতির বিষয়ে গত ২৫ জুন জাতীয় সংসদে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ প্রস্তাবিত বাজেট আলোচনায় অংশ নিয়ে বলেছেন, দুর্নীতি সরকারের সব অর্জন ম্লান করে দিচ্ছে। সরকার বারবার দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করেছে। তারপরও দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি।

সরকারি কর্মচারীদের দফায় দফায় বেতন বাড়ানোর পরও দুর্নীতি কেন হবে? তাই সরকারি কর্মচারীরা যাতে দুর্নীতিতে না জড়ান, সে জন্য আইন আরও কঠোর করতে পরামর্শ দেন হানিফ।

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান এ বিষয়ে বলেন, ‘সরকারি চাকরিতে ঢোকার সময় সম্পদের হিসাব দেওয়া এবং প্রতিবছর সেটা হালনাগাদ করার কথা।

আমাদের দেশে দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার, জালিয়াতি-প্রতারণা, অবৈধ অর্থ সম্পদের মালিকানা—এসবের অন্যতম কারণ হচ্ছে, আইনের প্রয়োগ নেই।

এখন যেসব বিধিমালা আছে, সেসব মানা হয় না। যারা করে না, তাদের জবাবদিহি নিশ্চিত করা হয় না। সে কারণে প্রতিনিয়ত দুর্নীতি হচ্ছে। তবে আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে।’

সম্পদের হিসাব দিচ্ছে না পুলিশ সদস্যরাও

কোনো পুলিশ সদস্য নিজ জেলায় সম্পত্তি কিনতে চাইলে পুলিশ সদর দপ্তর বা ইউনিটের প্রধানের পূর্বানুমতি নিতে হয়। একইভাবে অনুমতি নিতে হয় অন্য জেলায় থাকা সম্পত্তি বিক্রির ক্ষেত্রেও। এই নির্দেশনা দেওয়া আছে পুলিশ প্রবিধানে।

শুধু অনুমতি নয়, বছর শেষে একটি নির্দিষ্ট মাসে সমস্ত সম্পদের হিসাব দেওয়ার বাধ্যবাধকতাও আছে তাঁদের। কিন্তু বছরের পর বছর পুলিশ প্রবিধানে উল্লেখিত এসব নিয়মনীতির ধার ধারছেন না পুলিশ সদস্যরা।

কোনো প্রকার জবাবদিহি ছাড়াই বৈধ ও অবৈধ আয়ে কাঁড়ি কাঁড়ি সম্পদ গড়ছেন পুলিশ কর্মকর্তারা।

সম্প্রতি পুলিশের শীর্ষস্থানীয় সাবেক দুই কর্মকর্তা এবং বর্তমানে কাজ করা ঊর্ধ্বতন একাধিক কর্মকর্তার অস্বাভাবিক সম্পদ নিয়ে সারা দেশে আলোচনা হচ্ছে।

প্রশ্ন উঠছে, একজন সরকারি কর্মকর্তা হয়ে কোনো প্রকার জবাবদিহি ছাড়া কীভাবে এত সম্পদ গড়ে তুললেন তাঁরা।

পুলিশে কর্মরত থাকা অবস্থায় দেশের বিভিন্ন জেলায় বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি কিনেছেন এমন একজন হলেন পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ। চলতি মাসে ঢাকার একটি আদালত দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তের জন্য বেনজীর ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের সম্পদ জব্দের আদেশ দিলে বেরিয়ে আসে তাঁর বিপুল সম্পত্তির তথ্য।

দুদকের নথিতে দেখা যায়, বেনজীর ও তাঁর পরিবার ২০০৯ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে অন্তত ২০৪ দশমিক ৫ একর জমি কিনেছেন। এর মধ্যে ১১২ একর কিনেছেন তিনি পুলিশ ও র‍্যাবপ্রধান থাকাকালে।

এ পর্যন্ত তদন্তকারীরা ঢাকা, গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর ও কক্সবাজারে তাঁর এবং তাঁর স্ত্রী ও তিন মেয়ের মালিকানাধীন জমির সন্ধান পেয়েছেন। এর মধ্যে প্রায় ১১২ একর জমি তাঁর নিজ জেলা গোপালগঞ্জে।

আরেক অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়ার সম্পদ অনুসন্ধান করে জনমনের বিভ্রান্তি দূর করার জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) আবেদন জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী।

দুদকে গৃহীত ১৪ পৃষ্ঠার ওই আবেদনে তাঁর স্ত্রী, সন্তান ও কয়েকজন আত্মীয়স্বজনের সম্পদের বিবরণ তুলে ধরেছেন তিনি।

পুলিশের সিটি এসবির অতিরিক্ত ডিআইজি শেখ রফিকুল ইসলাম শিমুলের বিরুদ্ধেও অনুসন্ধান শুরু করেছে দুদক। শিমুলের বিষয়ে তথ্য চেয়ে সম্প্রতি পুলিশ সদর দপ্তরে চিঠি পাঠিয়েছে সংস্থাটি।

সেখানে দাবি করা হয়, এই কর্মকর্তা ঘুষ-দুর্নীতির মাধ্যমে শত শত কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের মালিক হয়েছেন।

অবৈধ উপার্জিত অর্থ দিয়ে রফিকুল ইসলাম নিজের ও স্ত্রীর পাশাপাশি ভাইবোন, ভাইবোনের ছেলেমেয়ে, শ্যালক, শ্যালকের স্ত্রী, শ্যালিকা, শ্যালিকার স্বামীসহ বিভিন্নজনের নামে অঢেল সম্পদ গড়েছেন।

কিন্তু কর্মকর্তাদের এত সম্পদের বিষয়ে কিছুই জানে না পুলিশ সদর দপ্তরের সংস্থাপন শাখা। সেখানকার কর্মকর্তারা বলছেন, যদি অনুমোদন না নিয়ে কেউ সম্পত্তি কিনে থাকেন, তাহলে সেটা পুলিশ প্রবিধান অনুসারে অপরাধ।

প্রসঙ্গত, পুলিশ প্রবিধানের ১১২ (ঙ) ধারায় স্পষ্ট বলা হয়েছে, ‘পুলিশ অফিসারগণ নিজ জেলা ব্যতীত অন্য কোনো স্থানে ইন্সপেক্টর জেনারেলের পূর্বানুমতি ব্যতীত স্বনামে, স্ত্রী, পুত্র, কন্যা, আত্মীয়স্বজন, চাকরবাকর বা আশ্রিত ব্যক্তির নামে বা বেনামে জমি বা অন্য কোনো স্থাবর সম্পত্তি ক্রয় করতে পারবেন না।

নিজ জেলা ব্যতীত অন্য কোনো জেলায় মালিকানা থাকলেও ইন্সপেক্টর জেনারেলের পূর্বানুমতি ব্যতীত তাহা বিক্রয় করিতে পারিবেন না।’ ওই ধারায় আরও বলা হয়, প্রতিবছরের মার্চ মাসে তাঁদের (পুলিশ সদস্যরা) সম্পত্তির হিসাব কর্তৃপক্ষের কাছে দাখিল করবেন।

সম্পত্তি কেনার আগে অনুমতি নেওয়ার নিয়ম থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছেন পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক মো. আনোয়ার হোসেন।

তিনি বলেন, সরকারি কর্মচারী হিসেবে পুলিশ সদস্যদের সম্পত্তি কেনার আগে পুলিশ সদর দপ্তর হয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে অনুমতি নেওয়ার বিধান রয়েছে। পুলিশ অধিদপ্তরের সদস্য হিসেবে এই অনুমতি নেওয়া সবার জন্য বাধ্যতামূলক।

বাধ্যতামূলক হলেও অনুমতি নিয়ে সম্পদ গড়ার চর্চা পুলিশে নেই । নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, সম্পত্তি কেনা বা সম্পদ তৈরির ক্ষেত্রে পুলিশপ্রধানের অনুমতি নেওয়ার পুরো ব্যবস্থাটি ভেঙে পড়েছে।

বেশির ভাগ পুলিশ সদস্যই অনুমতি না নিয়ে গোপনে স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি গড়ছেন। এসব নিয়ে কোনো নজরদারিও নেই।

টানা তিন বছর পুলিশ মহাপরিদর্শকের দায়িত্ব পালন করেছিলেন এ কে এম শহীদুল হক। পুরো চাকরিজীবনে পুলিশ সদস্যদের সম্পত্তির হিসাব দেওয়ার রীতি দেখেননি তিনি। সাবেক এই আইজিপি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পুলিশ প্রবিধান ব্রিটিশ আমলের। সে সময় কোনো পুলিশ সদস্য সম্পদের হিসাব দিত কি না জানি না।

তবে আমাদের চাকরিজীবনে পুলিশ সদস্যদের এমন হিসাব জমা দেওয়া ও অনুমতি নেওয়ার রীতি দেখিনি। আসলে এসব তথ্য জমা দিয়েও কোনো লাভ নেই। হয়তো কেউ কেউ নয়ছয় করেই জমা দিলেন, এভাবে কখনো দুর্নীতি কমানো সম্ভব না। যত দিন না পুলিশকর্তারা নিজেদের মানসিকতা থেকে দুর্নীতিকে মুছে ফেলবে, তত দিন দুর্নীতি কমবে না।’

এ বিষয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, সরকারি বিধি অনুযায়ী কর্মকর্তা কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব দেওয়ার নিয়ম আছে। পুলিশের নিজেদের আইনের যেহেতু একই নিয়ম আছে, তাই কর্মকর্তা ও পুলিশ সদস্যরা এটা মানতে বাধ্য। তবে এখানে শুধু পুলিশ সদস্যদের দোষ দিলে হবে না।

এর পেছনের ব্যর্থতার দায় পুলিশের কর্তাদের। তাঁরা নিজেরা সম্পদের হিসাব দিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারতেন। অন্য সদস্যদের উৎসাহ দিতে পারতেন। তা করেননি, নিজেরা সম্পদ গোপন করে নিচের সদস্যদেরও উৎসাহ দিয়েছেন।

17 ভিউ

Posted ১২:৩১ অপরাহ্ণ | রবিবার, ৩০ জুন ২০২৪

coxbangla.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

Editor & Publisher

Chanchal Dash Gupta

Member : coxsbazar press club & coxsbazar journalist union (cbuj)
cell: 01558-310550 or 01736-202922
mail: chanchalcox@gmail.com
Office : coxsbazar press club building(1st floor),shaheed sharanee road,cox’sbazar municipalty
coxsbazar-4700
Bangladesh
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
বাংলাদেশের সকল পত্রিকা সাইট
Bangla Newspaper

ABOUT US :

coxbangla.com is a dedicated 24x7 news website which is published 2010 in coxbazar city. coxbangla is the news plus right and true information. Be informed be truthful are the only right way. Because you have the right. So coxbangla always offiers the latest news coxbazar, national and international news on current offers, politics, economic, entertainment, sports, health, science, defence & technology, space, history, lifestyle, tourism, food etc in Bengali.

design and development by : webnewsdesign.com