কক্সবাংলা ডটকম(১৫ জুন) :: ভারতীয় বিমান বাহিনীতে থাকা সুখোই-৩০ এমকেআই মাল্টিরোল জঙ্গিবিমানে ইসরাইলের তৈরি ডেরবি ক্ষেপনাস্ত্র সংযোজন করতে যাচ্ছে ভারত ।
ভারতীয় প্রতিরক্ষা সূত্রগুলো জানায়, লাইসেন্স টেকনিক্যাল ডকুমেন্টেশন অনুযায়ী তৃতীয় কোন দেশের অস্ত্র সংযোজনের জন্য ফাইটারগুলোতে পরিবর্তন করার জন্য মূল নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে অনুমতি সম্পন্ন করেছে।
গত মাসে বেশ কয়েকটি ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয় যে, আইএএফ ২০২২ সালের মধ্যে সু-৩০এমকেআই জঙ্গিবিমানে ইসরাইলের রাফালে কোম্পানির আই-ডেরবি ক্ষেপনাস্ত্র সংযোজন করবে। বর্তমানে ফাইটারগুলো যে আর-৭৭ বিভিআর ক্ষেপনাস্ত্র বহন করে সেগুলোর পাল্লা সীমিত।
এদিকে রাশিয়ার ক্ষেপনাস্ত্র প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ভিমপেল ভারতের কাছে স্বল্প পাল্লার আরভিভি-এমডি, মাঝারি পাল্লার আরভিভি-এসডি ও দূর পাল্লার আরভিভি-বিডি ক্ষেপনাস্ত্র বিক্রির প্রস্তাব দিয়েছে।
ভারতের ভাণ্ডারে অন্য যে বিভিআর ক্ষেপনাস্ত্র রয়েছে – মিরেজে সংযোজিত এমবিডিএ মিকা- সু ৩০এমকেআই-এ সংযোজন করা যাবে না ফরাসী সরকারের বিধিনিষেধের কারণে।
আই-ডেরবি সম্প্রসারিত পাল্লাযুক্ত দৃষ্টি-সীমার বাইরে এয়ার টু এয়ার মিসাইল (বিভিআরএএএম)-কে স্বল্প ও মাঝারি পাল্লার লড়াইয়ে লিপ্ত হওয়ার জন্য অত্যন্ত সক্ষম অস্ত্র হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
যেকোন আবহাওয়ায় দৃষ্টিসীমার বাইরে থাকা লক্ষ্যবস্তুকে ঘায়েল করতে ‘ছোঁড়ার পর নিশ্চিত থাকার জন্য’ এই ক্ষেপনাস্ত্রে রাডার-সিকার সফটওয়্যার ও ডুয়েল পালস সলিড রকেট মটর ব্যবহার করা হয়েছে।
এর পাল্লা ১০০ কিলোমিটার এবং আইএএফ’র তেজাস লাইট কমব্যাট এয়ারক্রাফটের জন্য প্রাথমিকভাবে এই ক্ষেপনাস্ত্রকে বাছাই করা হয়েছে।
বর্তমানে ভারতীয় বিমান বাহিনীতে প্রায় ২০০ সু-৩০এমকেআই মাল্টিরোল ফাইটার জেট রয়েছে।
রাশিয়ার কাছ থেকে লাইসেন্স নিয়ে রাষ্ট্রায়ত্ব হিন্দুস্তান এরোনটিক লিমিটেড (এইচএএল) এসব বিমান তৈরি ও সংযোজন করছে।
বাঙ্গালোর ভিত্তিক প্রতিষ্ঠানটি প্রাথমিকভাবে আইএএফ-কে ২৭২টি সু-৩০এমকেআই সরবরাহের চুক্তি করেছিলো। পরে আরো ৪০টি ফাইটার তৈরির প্রস্তাব দেয়া হয়।
Posted ৯:২৬ অপরাহ্ণ | শনিবার, ১৫ জুন ২০১৯
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta