কক্সবাংলা ডটকম(১৩ নভেম্বর) :: নিজভূমেই পরবাসী তারা৷ দেশের গণ্ডির মধ্যে তারা প্রবেশ করলেই মৃত্যু অনিবার্য৷ কার্যত আশ্রয় হীন রোহিঙ্গারা৷ সৌজন্যে অবশ্যই মায়ানমারের অন সাঙ সুকির সরকার৷ সামরিক শাসকের বিপক্ষে দীর্ঘ লড়াই করে আজ দেশের প্রধান সুকি৷ ক্ষমতায় এসেই পালটে গিয়েছে সব৷
মানবাধিকার কর্মীদের কাচে সুকি এখন নির্যাতনের প্রতীক৷ তাই সুকিকে দেওয়া সর্বোচ্চ ‘বিবেক সম্মান’ কেড়ে নিল আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন অ্যামিনেস্টি ইন্টারন্যাশানাল৷
সংগঠনের সেক্রেটরি জেনারেল কুমি নাইডুর এক ট্যুইট বার্তায় জানান, ‘সুকি তাঁর জীবন দিয়ে বিশ্ববাসীর সামনে হয়ে উঠেছিলেন আশার মূর্ত প্রতীক৷ কিন্তু বর্তমানে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে তার ব্যবহার সেই আশায় জল ঢেলে দিয়েছে৷ ফলে অ্যামিনেস্টি ইন্টারন্যাশানালের বিবেক সম্মানের যোগ্যতা হারিয়েছেন তিনি৷’
তিনি আরও বলেন, ‘সুকির আচরণঅত্যন্ত বেদনার৷’ তাঁর ভোল পাল্টানোকেও অ্যামিনেস্টির সেক্রেটরি জেনারেল বিপদ ঘন্টার সঙ্গে তুলনা করেছেন৷ তাঁর মতে, ‘ক্ষমতা হাতে পেলে মানুষ তার অতীত ভুলে যায়৷ এটা দুর্ভাগ্যের৷’
আক্ষেপের সুরে নাইডু জানান, ‘সংখ্যালঘুদের সঙ্গে মানবাধিকার লংঘন করছে সুকির সরকার৷ অনুরোধ, আবেদনেও কাজ হয়নি৷ আলোচনাতেও বসতে রাজি নয় সে৷ এই অবস্থায় তাই ১৯৯১-এর নোবেলের শান্তি পুরস্কার প্রাপ্তকে বিবেক সম্মানে সম্মানিত করে রাখার কোন যুক্তি নেই৷’
দেশ থেকে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের উৎখাতে নির্যাতন চালায় সুকির সেনা৷ অসহায় অবস্থায় প্রতিবেশী বাংলাদেশে পালায়তারা৷ সেনার হাতে শেষ হয়েছে অসংখ্য রোহিঙ্গার প্রাণ৷ বিশ্বজুড়ে ধিকৃত সুকির আচরণ৷ তাতে অবশ্য পরোয়া করছেন না একদা মানবতার মুখ সুকি৷ নিজের সিদ্ধান্তেই অটল তিনি৷ ফলে খোয়াচ্ছেন সম্মান, হারাতে হচ্ছে সম্মান৷
Posted ১১:৪৪ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ১৩ নভেম্বর ২০১৮
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta