কক্সবাংলা ডটকম(৬ অক্টোবর) :: মিয়ানমারের মানচিত্রে সেন্ট মার্টিনকে অন্তর্ভুক্ত করায় দেশটির রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
শনিবার (৬ অক্টোবর) ঢাকায় নিযুক্ত মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত ইউ লিউন ও-কে তলব করে এর তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে এ ব্যাপারে অবিলম্বে মিয়ানমারকে ব্যাখ্যা দিতে বলেছে ঢাকা।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থাকে (বাসস) বলেন, ‘মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত আসামাত্র আমরা কঠোর প্রতিবাদ জানিয়েছি। এ-সংক্রান্ত একটি প্রতিবাদলিপি তাকে দিয়েছি। মিয়ানমারের এ ধরনের ভুয়া দাবি উত্থাপনের দ্রুত ব্যাখ্যা দেওয়ার দাবি জানিয়েছি আমরা।’
সম্প্রতি দুটি ওয়েবসাইটে মিয়ানমার তাদের মানচিত্র আপলোড করেছে। তাতে সেন্ট মার্টিনকে তাদের ভূখণ্ডের অংশ হিসেবে দেখানো হয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওই কর্মকর্তা বলেন, মিয়ানমারের ভূখণ্ডের অংশ হিসেবে সেন্ট মার্টিনকে দেখানোর পেছনে তাদের ‘অস্পষ্ট মনোভাব’-এর বিষয়ে ঢাকা চিন্তিত। কারণ, দ্বীপটি ব্রিটিশ আমল থেকে কখনোই তাদের ভূখণ্ডের অংশ ছিল না এবং ‘এখন পর্যন্ত ভূখণ্ডগত মালিকানা নিয়ে তাদের সঙ্গে কোনও ধরনের বিবাদও হয়নি।’
তিনি বলেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সমুদ্রসীমাবিষয়ক (মেরিটাইম) ইউনিটের সেক্রেটারি রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) এম খুরশেদ আলম মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত লিউইন ওকে বলেন, ব্রিটিশ ভারত থেকে বার্মা যখন আলাদা হয় সেন্ট মার্টিন তখন অবিভক্ত ভারতের অংশ ছিল।
তিনি বলেন, ‘এরপর ১৯৪৭ সালে ভারত-পাকিস্তান বিভাজনের সময় সেন্ট মার্টিন স্বাভাবিকভাবে তৎকালীন পাকিস্তানের অংশ থাকে এবং ১৯৭১ সালে পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর দ্বীপটি নিশ্চিতভাবে আমাদের ভূখণ্ডের অংশ হয়।’
সমুদ্রসীমাবিষয়ক (মেরিটাইম) ইউনিটের সেক্রেটারি মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে এ-ও মনে করিয়ে দেন যে, ২০১২ সালে সমুদ্রসীমা নিয়ে আন্তর্জাতিক আদালতের রায় বাংলাদেশের পক্ষে যায়। ‘এবং এ রায় আবারও নিশ্চিত করে যে সেন্ট মার্টিন বাংলাদেশের অভিন্ন অংশ।’
Posted ১২:২৩ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ০৭ অক্টোবর ২০১৮
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta