কক্সবাংলা ডটকম(১২ মে) :: রাতে পড়াশোনার পর সকালে তা আর মনে থাকছে না। পরীক্ষার সময় ভীতি কাজ করে যদি পুরো বিষয়টা মনে রাখতে না পারেন? কিন্তু মনোযোগের অভাব ধরে নিয়ে এ বিষয়ে ক্ষান্ত দেয়া যাবে না। স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়ার অনেক কারণ রয়েছে। হয়তো আলস্যে ব্যায়াম না করা বা বুদ্ধিবৃত্তিক খেলায় অংশ না নেয়া এর অন্যতম কারণ—
সঠিক খাবার: আমরা সাধারণত যেসব খাবার খাই তা মস্তিষ্কের ওপরও প্রভাব বিস্তার করে। তাজা শাকসবজি ও স্বাস্থ্যকর ফ্যাট মস্তিষ্কের জন্য খুবই উপকারী। সেলারি, ব্রোকলি, ফুলকপি ও আখরোট অ্যান্টি-অক্সিডেন্টসমৃদ্ধ খাবার মস্তিষ্কে নতুন কোষ বেড়ে ওঠায় সহায়তা করে। একই সঙ্গে বাড়াতে হবে প্রাণিভিত্তিক ওমেগা-৩ ফ্যাট গ্রহণ। পাশাপাশি এড়িয়ে যেতে হবে চিনি ও কার্বোহাইড্রেট।
ব্যায়াম: ২০১০ সালের এক গবেষণায় দেখা গেছে, প্রাত্যহিক ব্যায়াম শুধুমাত্র মস্তিষ্কে রক্ত চলাচলই বাড়ায় না বরং এটি দ্রুত শেখার ক্ষমতাও বাড়ায়।
একসঙ্গে একাধিক কাজ না করা: একসঙ্গে একাধিক কাজ করলে ধীরগতিতে এগোয় এবং কমে যায় মনে রাখার ক্ষমতা। কারণ গবেষণায় দেখা গেছে আমাদের মস্তিষ্কে তথ্য জমা হতে সময় লাগে ৮ সেকেন্ড। যদি এমন হয় আপনি ফোনে কথা বলতে বলতে বই কিনছেন এবং কেনার পর কথা বলতে বলতেই গাড়িতে উঠলেন। সেক্ষেত্রে এটুকু সময়ের মধ্যে ঘটে যাওয়া টুকরো টুকরো ঘটনার অনেকগুলোই মনে রাখা সম্ভব হবে না আপনার।
রাতে পরিপূর্ণ ঘুম: স্মৃতিশক্তি বাড়াতে ঘুম খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পরিপূর্ণ ঘুম বাড়ায় কর্মদক্ষতা। রাতে মাত্র ৪ থেকে ৬ ঘণ্টা যদি পরিপূর্ণভাবে ঘুমানো যায়, তাহলেই তা মানসিক কার্যকারিতা বাড়িয়ে দিতে পারে।
বৃদ্ধিবৃত্তিক খেলা: বুদ্ধিবৃত্তিক খেলা স্মৃতিশক্তি ভালো রাখে। তবে এ খেলার সময় যদি মস্তিষ্ক আনন্দের চেয়ে বেশি ব্যস্ত অনুভব করে, তাহলে তা উপকার দেয় না। খেলায় আনন্দ অনুভূত না হলে করা যেতে পারে অন্যান্য শখের চর্চা বা দক্ষতা বৃদ্ধিতে কিছু শিখলেও তা কাজে দেবে। আর তা হতে পারে বাগানচর্চা, বাদ্যযন্ত্র শেখা, ছবি আঁকা ইত্যাদি।
সূত্র: বিব্রেইনফিট
Posted ৩:৪৭ অপরাহ্ণ | শনিবার, ১২ মে ২০১৮
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta