রবিবার ৫ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২২শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম

রবিবার ৫ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম

 ২০১৭-১৮ অর্থবছরের ৯ মাসে ৬০ হাজার কোটি টাকার সঞ্চয়পত্র বিক্রি

বৃহস্পতিবার, ০৩ মে ২০১৮
350 ভিউ
 ২০১৭-১৮ অর্থবছরের ৯ মাসে ৬০ হাজার কোটি টাকার সঞ্চয়পত্র বিক্রি

কক্সবাংলা ডটকম(৩ মে) :: ২০১৭-১৮ অর্থবছরের নয় মাসে (জুলাই থেকে মার্চ) ৬০ হাজার ১২৪ কোটি ৯১ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এতথ্য জানা গেছে।

এ অর্থবছর শেষ হতে আরও তিন মাস বাকি রয়েছে। এই তিন মাসে আরও ১৫ থেকে ১৮ হাজার কোটি টাকার সঞ্চয়পত্র বিক্রি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমান অর্থবছরের ৯ মাসে ৬০ হাজার ১২৪ কোটি ৯১ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র বিক্রি হলেও সরকার এই সময়ে এখাত থেকে নিট ঋণ নিয়েছে ৩৬ হাজার ৭০৯ কোটি টাকা। বাজেটের ঘাটতি মেটাতে এই খাত থেকে গোটা অর্থবছরে সরকারের ঋণ নেওয়ার কথা ছিল ৩০ হাজার ১৫০ কোটি টাকা। অথচ ৯ মাসেই সরকার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে সঞ্চয়পত্র থেকে সাড়ে ৬ হাজার কোটি টাকা বেশি ঋণ নিয়েছে। যা গোটা অর্থবছরের জন্য নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার ১২১.৭৫ শতাংশ।

এর মধ্যে আগে বিক্রি হওয়া সঞ্চয়পত্রের মূল ও মুনাফা পরিশোধে সরকারের ব্যয় হয়েছে ২৩ হাজার ৪১৫ কোটি ৯১ লাখ টাকা। শুধু মুনাফা পরিশোধেই ব্যয় হয়েছে ১৪ হাজার ৭৩৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে শুধু মার্চ মাসেই সরকারের নেওয়া ঋণের পরিমাণ তিন হাজার ৫৮৯ কোটি টাকা।

গত মার্চ মাসে সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে ছয় হাজার ২৯৩ কোটি ২৭ লাখ টাকা। এর মধ্যে থেকে মূল ও মুনাফা বাবদ সরকারের ব্যয় হয়েছে দুই হাজার ৭০৪ কোটি টাকা। ফলে নিট ঋণ দাঁড়ায় তিন হাজার ৫৮৯ কোটি ২৩ লাখ টাকা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ৯ মাসে সঞ্চয় স্কিমগুলোর মধ্যে বরাবরের মতো সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগ এসেছে পরিবার সঞ্চয়পত্র থেকে। পরিবার সঞ্চয়পত্র খাতে গত ৯ মাসে নিট ঋণ এসেছে ১৩ হাজার ১২০ কোটি টাকা। এরপর রয়েছে তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র, নিট ঋণ ১০ হাজার ৭৪ কোটি টাকা।

পেনশনার সঞ্চয়পত্রে নিট ঋণ এসেছে তিন হাজার ১০৮ কোটি টাকা। পাঁচ বছর মেয়াদি সঞ্চয়পত্রে নিট ঋণ এসেছে দুই হাজার ৭৭৬ কোটি টাকা। এছাড়া মেয়াদি হিসাবে জমাকৃত অর্থ রয়েছে পাঁচ হাজার ৭২৫ কোটি টাকা। ওয়েজ আর্নার্স ডেভেলপমেন্ট বন্ডে নিট ঋণ আছে এক হাজার ৩৯৮ কোটি টাকা।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত ফেব্রুয়ারি মাসে সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ হয়েছে বা গ্রাহকরা সঞ্চয়পত্র কিনেছেন— এমন অর্থের পরিমাণ ছয় হাজার ৬০২ কোটি টাকা ৪০ লাখ টাকা। জানুয়ারিতে এই অর্থের পরিমাণ ছিল আট হাজার ৬০ কোটি টাকা। একক মাস হিসেবে এ অর্থবছরে এটাই সর্বোচ্চ।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, এ অর্থবছরের চতুর্থ মাস অক্টোবরে জাতীয় সঞ্চয়পত্রের বিক্রি বাড়লেও আগস্ট ও সেপ্টেম্বরের মতো নভেম্বরেও সঞ্চয়পত্রের বিক্রি কমে যায়। কিন্তু ব্যাংক খাতে উদ্বেগ সৃষ্টি হওয়ায় জানুয়ারি থেকে আবারও বাড়তে শুরু করে সঞ্চয়পত্রের বিক্রি।

এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘অর্থবছরের শুরুতে ব্যাংক আমানতের ওপর  সুদের হার কম ছিল, ওই সময় সঞ্চয়পত্রের বিক্রি বাড়ে। এখন ব্যাংক খাতের প্রতি মানুষের আস্থা কমেছে। ফলে ব্যাংক আমানতে সুদের হার বাড়লেও অনেকেই ব্যাংক থেকে টাকা উঠিয়ে সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ করছেন। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে পুরো ব্যাংক খাতে। যদিও ব্যাংক খাতে আমানতের সুদের হার এখন দুই অঙ্কে ছাড়িয়ে গেছে।’

এ প্রসঙ্গে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘ব্যাংক খাতে অনাস্থা আছে, আবার পুঁজিবাজারে এখনও আস্থা ফেরেনি। এসব কারণে নিরাপদ বিনিয়োগ মনে করা হচ্ছে সঞ্চয়পত্রকেই।

’ তিনি বলেন, ‘ফারমার্স ব্যাংকের মতো পরিস্থিতিতে পড়তে পারে—এমন ভাবনা থেকেও অনেকে ব্যাংক থেকে আমানত তুলে সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ করছেন। ফলে ব্যাংক আমানতে সুদের হার বাড়লেও মানুষ সঞ্চয়পত্রকেই বেছে নিচ্ছে।’

প্রসঙ্গত, অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে গত ২০১৬-১৭ অর্থবছরে সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয় ৭৫ হাজার কোটি টাকারও বেশি। ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রথম আট মাসেই প্রায় ৫৪ হাজার কোটি টাকার সঞ্চয়পত্র বিক্রি হওয়ায় এই অর্থবছরে সঞ্চয়পত্র বিক্রির পরিমাণ আগের বছরের রেকর্ডও ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সঞ্চয়পত্রের দিকে মানুষের আগ্রহের বড় কারণ বিভিন্ন সঞ্চয় প্রকল্পের সুদের হার ব্যাংকের কাছাকাছি হলেও এই খাতে বিনিয়োগ নিরাপদ। পাঁচ বছর মেয়াদি পরিবার সঞ্চয়পত্রের মেয়াদ শেষে পাওয়া যায় ১১ দশমিক ৫২ শতাংশ সুদ। পাঁচ বছর মেয়াদি পেনশন সঞ্চয়পত্রের সুদের হার ১১ দশমিক ৭৬ শতাংশ। আর পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্রের সুদের হার এখন ১১ দশমিক ২৮ শতাংশ।

অন্যদিকে, তিন বছর মেয়াদি মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্রের সুদের হার ১১ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ এবং তিন বছর মেয়াদি ডাকঘর সঞ্চয়পত্রের সুদের হার ১১ দশমিক ২৮ শতাংশ।

350 ভিউ

Posted ১১:২৮ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ০৩ মে ২০১৮

coxbangla.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

এ বিভাগের আরও খবর

Editor & Publisher

Chanchal Dash Gupta

Member : coxsbazar press club & coxsbazar journalist union (cbuj)
cell: 01558-310550 or 01736-202922
mail: chanchalcox@gmail.com
Office : coxsbazar press club building(1st floor),shaheed sharanee road,cox’sbazar municipalty
coxsbazar-4700
Bangladesh
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
বাংলাদেশের সকল পত্রিকা সাইট
Bangla Newspaper

ABOUT US :

coxbangla.com is a dedicated 24x7 news website which is published 2010 in coxbazar city. coxbangla is the news plus right and true information. Be informed be truthful are the only right way. Because you have the right. So coxbangla always offiers the latest news coxbazar, national and international news on current offers, politics, economic, entertainment, sports, health, science, defence & technology, space, history, lifestyle, tourism, food etc in Bengali.

design and development by : webnewsdesign.com