কক্সবাংলা ডটকম(৫ জুন) :: ৭ জুন বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকারের দ্বিতীয় মেয়াদের শেষ বাজেট পেশ হচ্ছে। ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রস্তাবিত এ বাজেট দেয়া হচ্ছে জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে। নতুন বাজেটের আকার হতে পারে ৪ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার। ধরা হচ্ছে ৩ লাখ ৪০ হাজার কোটি টাকার উচ্চাভিলাষী রাজস্ব আদায় লক্ষ্যমাত্রা। এবারের বাজেটে নতুন কোনো কর আরোপ হচ্ছে না বলে জানিয়েছন অথমন্ত্রী।
নির্বাচনের ৬ মাস আগে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের জন্য বিশাল বাজেট ঘোষণা করতে যাচ্ছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। সংশোধিত বাজেটের চেয়ে ৯৭ হাজার কোটি টাকা বেড়ে এ বাজেটের আকার হতে পারে ৪ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকা। আগের বারের আকার ছিল ৪ লাখ ২৬৬ কোটি টাকা।
আগামী অর্থবছরে এনবিআরকে ২ লাখ ৯৬ হাজার কোটি টাকার বিশাল লক্ষ্য বেঁধে দিচ্ছেন অর্থমন্ত্রী। যা চলতি অর্থবছরের সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রার ৩২ ভাগ বেশি। বরাবরের মতো আগামী বছরেও ভ্যাট থেকে আদায় করতে হবে সবচেয়ে বেশি ১ লাখ ১০ হাজার কোটি টাকা। করদাতাদেরও কিছুটা স্বস্তি দেয়ার চেষ্টা থাকবে এবার।
আগামী বাজেটে ঘাটতি বরাবরের মতো ৫ শতাংশের মধ্যেই থাকছে। এজন্য ধার করতে হবে প্রায় ১ লাখ ২৭ হাজার কোটি টাকা। ঘাটতি পূরণের বড় উৎস হিসেবে ভাবা হচ্ছে ব্যাংক ব্যবস্থাকে। আর কমিয়ে আনা হচ্ছে সঞ্চয়পত্র বিক্রি ও বিদেশি ঋণের লক্ষ্যমাত্রা।
বাজেটে জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য থাকছে সাত দশমিক আট শতাংশ। মূল্যস্ফীতি ৫ তশমিক ৬ শতাংশে রাখার পরিকল্পনাও থাকছে।
নতুন অর্থবছরের জন্য বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি হচ্ছে ১ লাখ ৮০ হাজার ৮৬৯ কোটি টাকা। নির্বাচন সামনে রেখে পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মতো অগ্রাধিকারের ১০ প্রকল্পে ৩০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ থাকছে।
কালো টাকা সাদা করা নিয়ে নৈতিকতার প্রশ্ন উঠলেও আসছে বাজেটেও এ সুযোগ বহাল থাকছে। সেই সাথে বাড়ানো হচ্ছে সামাজিক নিরাপত্তা খাতে উপকার ভোগীর সংখ্যা। রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসনে ৪০০ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব থাকছে।
বাজেটে সম্ভাব্য ভর্তুকি ও প্রণোদনা খাতে বরাদ্দ থাকছে ৩১ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। ব্যবসায়ীদের দাবির প্রেক্ষিতে এবার নতুন করে ভর্তুকি দেয়া হচ্ছে এলএনজিতে। নির্বাচনের বছরে গ্রাহকের ওপর চাপ কমাতে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হচ্ছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
ব্যাংক খাতে লুটপাট ও খেলাপি ঋণ নিয়ে কম সমালোচনা হয়নি। এবার সেই সমালোচকদের মুখ বন্ধ করতে গঠন করা হচ্ছে ব্যাংকিং কমিশন। বাজেট বক্তৃতায় সে ব্যাপারে ঘোষণা আসতে পারে। বাজেটে সবার জন্য পেনশন পদ্ধতির একটি রূপরেখা দেয়ার কথা বলেছেন অর্থমন্ত্রী।
